মুনীরুল ইসলাম
সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
রমজানে প্রতিটি ইবাদতেই ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোজাই রমজানের প্রধান ইবাদত। তবে রোজার চেয়ে নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। অন্য সময় তো নামাজ পড়বেনই, রমজানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের মাত্রাও বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখানে কয়েকটি বিশেষ ইবাদতের কথা তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অনেক গুণ বেশি। যাঁরা শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, তাঁরা এ মাসে তা শিখে নিতে পারেন।
২. চলাফেরা ও চালচলনে শালীন হওয়া উচিত। নারীদের খোলামেলা চালচলন তাঁদের নিজেদের রোজার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অন্যদের রোজা হালকা করার জন্যও দায়ী।
৩. পরচর্চা, কুৎসা, নিরর্থক বিষয় নিয়ে মাতামাতি ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে হবে। এগুলো রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকারক। না খেয়ে উপোস থাকা যেমন রোজার অংশ, তেমনি বাকসংযমও। তাই রমজানে নারীদের জন্য উচিত যথাসম্ভব বাকসংযম করা।
৪. অধিক হারে দান-সদকা করা উচিত। কেননা, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রমজানে দান-সদকার ফজিলত অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে দারুণ সুযোগ। সংসারের নিয়ন্তা হিসেবে তাঁরা এ মাসে গরিব-দুঃখীর দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. রোজা রেখে ক্ষুধা-পিপাসার প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে প্রকাশ না পায়। সাংসারিক কাজের ঝামেলার কারণে রোজা রেখে মেজাজ খারাপ করে রাখা যাবে না। সংসারের শৃঙ্খলার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বছরের অন্যান্য সময় থেকে যেহেতু রমজানের রুটিন কিছুটা ভিন্ন, সে জন্য সাংসারিক কাজকর্ম কিংবা পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তা নিরসন করার দায়িত্ব নারীদের ওপরই বর্তায় সাধারণত।
৬. পরিবারের সব কাজের ভার নিজের কাঁধে তুলে না নিয়ে পুরুষদেরও কিছু কাজ ভাগ করে দেওয়া উচিত। স্ত্রীকে কাজে সহযোগিতা করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তাই মিলেমিশে কাজ করে নিজের ওপর কাজের চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং সেই সময়টি ইবাদতে ব্যয় করা উচিত।
৭. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। তবে তা অন্দরমহলে পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে। মহানবী (সা.)-এর স্ত্রীরাও রমজানের শেষ ১০ দিন নিজ নিজ কক্ষে ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের মাধ্যমে রমজানের হক যেমন ভালোভাবে আদায় করা যায়, তেমনি মহিমান্বিত রাত শবে কদরের ফজিলত ও বরকত লাভে ধন্য হওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
রমজানে প্রতিটি ইবাদতেই ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোজাই রমজানের প্রধান ইবাদত। তবে রোজার চেয়ে নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। অন্য সময় তো নামাজ পড়বেনই, রমজানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের মাত্রাও বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখানে কয়েকটি বিশেষ ইবাদতের কথা তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অনেক গুণ বেশি। যাঁরা শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, তাঁরা এ মাসে তা শিখে নিতে পারেন।
২. চলাফেরা ও চালচলনে শালীন হওয়া উচিত। নারীদের খোলামেলা চালচলন তাঁদের নিজেদের রোজার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অন্যদের রোজা হালকা করার জন্যও দায়ী।
৩. পরচর্চা, কুৎসা, নিরর্থক বিষয় নিয়ে মাতামাতি ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে হবে। এগুলো রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকারক। না খেয়ে উপোস থাকা যেমন রোজার অংশ, তেমনি বাকসংযমও। তাই রমজানে নারীদের জন্য উচিত যথাসম্ভব বাকসংযম করা।
৪. অধিক হারে দান-সদকা করা উচিত। কেননা, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রমজানে দান-সদকার ফজিলত অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে দারুণ সুযোগ। সংসারের নিয়ন্তা হিসেবে তাঁরা এ মাসে গরিব-দুঃখীর দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. রোজা রেখে ক্ষুধা-পিপাসার প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে প্রকাশ না পায়। সাংসারিক কাজের ঝামেলার কারণে রোজা রেখে মেজাজ খারাপ করে রাখা যাবে না। সংসারের শৃঙ্খলার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বছরের অন্যান্য সময় থেকে যেহেতু রমজানের রুটিন কিছুটা ভিন্ন, সে জন্য সাংসারিক কাজকর্ম কিংবা পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তা নিরসন করার দায়িত্ব নারীদের ওপরই বর্তায় সাধারণত।
৬. পরিবারের সব কাজের ভার নিজের কাঁধে তুলে না নিয়ে পুরুষদেরও কিছু কাজ ভাগ করে দেওয়া উচিত। স্ত্রীকে কাজে সহযোগিতা করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তাই মিলেমিশে কাজ করে নিজের ওপর কাজের চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং সেই সময়টি ইবাদতে ব্যয় করা উচিত।
৭. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। তবে তা অন্দরমহলে পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে। মহানবী (সা.)-এর স্ত্রীরাও রমজানের শেষ ১০ দিন নিজ নিজ কক্ষে ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের মাধ্যমে রমজানের হক যেমন ভালোভাবে আদায় করা যায়, তেমনি মহিমান্বিত রাত শবে কদরের ফজিলত ও বরকত লাভে ধন্য হওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৪ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৫ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫