মাহমুদ হাসান ফাহিম
ইসলামে প্রতিবেশীর প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে জোর দেওয়া হয়েছে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবনযাপন করা বা আশপাশের মানুষজনের বিরাগভাজন হয়ে সমাজে বসবাস করা ইসলামে নিন্দনীয়। তাই প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা এবং সমাজবদ্ধ জীবন রাঙানো মুমিনের একান্ত কর্তব্য।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে জোর দিয়ে বলেন, ‘হজরত জিবরাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে এত বেশি তাগিদ করেছেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রতিবেশীকে সম্পদের উত্তরাধিকার বানিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
প্রতিবেশী চার ধরনের হতে পারে। স্তরভেদে তাদের অধিকারেও কমবেশি হয়।
এক. অনাত্মীয় অমুসলিম প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর যেসব সাধারণ অধিকারের কথা কোরআন-হাদিসে এসেছে, সবই তাঁরা পাবেন। অমুসলিম বলে কোনো ধরনের অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা অনুচিত।
দুই. অনাত্মীয় মুসলিম প্রতিবেশী, যিনি প্রতিবেশী হওয়ার পাশাপাশি একজন মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অন্য মুসলিম ভাইয়ের যেসব দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, তাও পাবেন।
তিন. আত্মীয় অমুসলিম প্রতিবেশী। এমন ব্যক্তির প্রতিও সদ্ব্যবহারের নির্দেশ হয়েছে। মহানবী (সা.) অমুসলিম আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর রাখতেন এবং তাঁদের যত্ন নিতেন।
চার. আত্মীয় মুসলিম প্রতিবেশী। এমন ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি সমাদর পাওয়ার যোগ্য। এদের প্রতি একজন মুমিনের দায়িত্ব-কর্তব্য সবচেয়ে বেশি।
তবে প্রতিটি শ্রেণিই যেহেতু প্রতিবেশী, তাই প্রতিবেশীর সব হকের ক্ষেত্রে সবাই সমান দাবিদার। প্রতিবেশীর খোঁজখবর রাখা, বিপদ-আপদে এগিয়ে আসা, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা, উপহার আদানপ্রদান করা, সেবা-শুশ্রূষা করা, কেউ মারা গেলে সান্ত্বনা দেওয়া, একে অন্যের প্রয়োজন পূরণ করা, প্রতিবেশীর প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া, প্রতিবেশীর কষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি প্রতিবেশীর হক।
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ইমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ করে।’ (মুসলিম)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে প্রতিবেশীর প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে জোর দেওয়া হয়েছে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবনযাপন করা বা আশপাশের মানুষজনের বিরাগভাজন হয়ে সমাজে বসবাস করা ইসলামে নিন্দনীয়। তাই প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা এবং সমাজবদ্ধ জীবন রাঙানো মুমিনের একান্ত কর্তব্য।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে জোর দিয়ে বলেন, ‘হজরত জিবরাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে এত বেশি তাগিদ করেছেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রতিবেশীকে সম্পদের উত্তরাধিকার বানিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
প্রতিবেশী চার ধরনের হতে পারে। স্তরভেদে তাদের অধিকারেও কমবেশি হয়।
এক. অনাত্মীয় অমুসলিম প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর যেসব সাধারণ অধিকারের কথা কোরআন-হাদিসে এসেছে, সবই তাঁরা পাবেন। অমুসলিম বলে কোনো ধরনের অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা অনুচিত।
দুই. অনাত্মীয় মুসলিম প্রতিবেশী, যিনি প্রতিবেশী হওয়ার পাশাপাশি একজন মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অন্য মুসলিম ভাইয়ের যেসব দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, তাও পাবেন।
তিন. আত্মীয় অমুসলিম প্রতিবেশী। এমন ব্যক্তির প্রতিও সদ্ব্যবহারের নির্দেশ হয়েছে। মহানবী (সা.) অমুসলিম আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর রাখতেন এবং তাঁদের যত্ন নিতেন।
চার. আত্মীয় মুসলিম প্রতিবেশী। এমন ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি সমাদর পাওয়ার যোগ্য। এদের প্রতি একজন মুমিনের দায়িত্ব-কর্তব্য সবচেয়ে বেশি।
তবে প্রতিটি শ্রেণিই যেহেতু প্রতিবেশী, তাই প্রতিবেশীর সব হকের ক্ষেত্রে সবাই সমান দাবিদার। প্রতিবেশীর খোঁজখবর রাখা, বিপদ-আপদে এগিয়ে আসা, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা, উপহার আদানপ্রদান করা, সেবা-শুশ্রূষা করা, কেউ মারা গেলে সান্ত্বনা দেওয়া, একে অন্যের প্রয়োজন পূরণ করা, প্রতিবেশীর প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া, প্রতিবেশীর কষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি প্রতিবেশীর হক।
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ইমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ করে।’ (মুসলিম)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৪ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৫ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫