আবদুর রহিম মোল্লা, ঢাকা
প্রশ্ন: পবিত্র হজ সম্পাদন শেষে দেশে ফেরার পর হাজিরা কী কী আমল করবেন, শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ হব। আবদুর রহিম মোল্লা, ঢাকা
উত্তর: হজ ইসলামের অন্যতম সেরা ইবাদত। তবে তা আদায় করার সুযোগ-সামর্থ্য কেবল মুষ্টিমেয় লোকেরই আনুকূল্যে থাকে। তাই যাঁরা হজ সম্পাদনের সুযোগ পান, তাঁদের পবিত্র হজ সম্পাদন শেষে দেশে ফেরার পর হাজিরা কী কী আমল করবেন, শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ হব। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা উচিত। হজ-পরবর্তী জীবনও শুদ্ধভাবে পরিচালিত করা উচিত।
হজ থেকে ফিরে হাজিদের কয়েকটি তাৎক্ষণিক করণীয় রয়েছে। যথা—
» হজ থেকে ফিরে এসে মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। হজরত কাব বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদে (নফল) নামাজ আদায় করতেন। (বুখারি)
» শুকরিয়াস্বরূপ গরিব-মিসকিন ও আত্মীয়স্বজনের জন্য পানাহারের আয়োজন করা যায়। ফিকহের পরিভাষায় এই খাবারকে ‘নকিয়াহ’ বলা হয়। হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) যখন মদিনায় এসেছেন, তখন একটি গরু জবাইয়ের নির্দেশ দেন। জবাইয়ের পর সাহাবিরা তা থেকে আহার করেছেন।’ (বুখারি)
» ঘরে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, ‘যখন তুমি ঘর থেকে বের হবে, তখন দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। সেই নামাজ তোমাকে ঘরের বাইরের বিপদাপদ থেকে হেফাজত করবে। আর যখন ঘরে ফিরবে, তখনো দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। সেই নামাজ তোমাকে ঘরের অভ্যন্তরীণ বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করবে।’ (মুসনাদে বাজ্জার)
» জমজমের পানি লোকজনকে পান করানো মুস্তাহাব। অসুস্থ রোগীদের গায়ে ব্যবহার করাও বৈধ। (মুয়াল্লিমুল হুজ্জাজ: ৩০৩) আয়েশা (রা.) জমজমের পানি সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘রাসুল (সা.) জমজমের পানি সঙ্গে নিয়ে যেতেন।’ (তিরমিজি)
» আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে হাদিয়া-তোহফা দেওয়া সুন্নত। তবে হাজিদের হাদিয়া দেওয়া এবং তাঁদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা এখন প্রথায় পরিণত হয়েছে। তাই তা বর্জন করা উচিত। (আপকে মাসায়েল: ৪/ ১৬১)
উত্তর দিয়েছেন— মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: পবিত্র হজ সম্পাদন শেষে দেশে ফেরার পর হাজিরা কী কী আমল করবেন, শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ হব। আবদুর রহিম মোল্লা, ঢাকা
উত্তর: হজ ইসলামের অন্যতম সেরা ইবাদত। তবে তা আদায় করার সুযোগ-সামর্থ্য কেবল মুষ্টিমেয় লোকেরই আনুকূল্যে থাকে। তাই যাঁরা হজ সম্পাদনের সুযোগ পান, তাঁদের পবিত্র হজ সম্পাদন শেষে দেশে ফেরার পর হাজিরা কী কী আমল করবেন, শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ হব। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা উচিত। হজ-পরবর্তী জীবনও শুদ্ধভাবে পরিচালিত করা উচিত।
হজ থেকে ফিরে হাজিদের কয়েকটি তাৎক্ষণিক করণীয় রয়েছে। যথা—
» হজ থেকে ফিরে এসে মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। হজরত কাব বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদে (নফল) নামাজ আদায় করতেন। (বুখারি)
» শুকরিয়াস্বরূপ গরিব-মিসকিন ও আত্মীয়স্বজনের জন্য পানাহারের আয়োজন করা যায়। ফিকহের পরিভাষায় এই খাবারকে ‘নকিয়াহ’ বলা হয়। হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) যখন মদিনায় এসেছেন, তখন একটি গরু জবাইয়ের নির্দেশ দেন। জবাইয়ের পর সাহাবিরা তা থেকে আহার করেছেন।’ (বুখারি)
» ঘরে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, ‘যখন তুমি ঘর থেকে বের হবে, তখন দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। সেই নামাজ তোমাকে ঘরের বাইরের বিপদাপদ থেকে হেফাজত করবে। আর যখন ঘরে ফিরবে, তখনো দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। সেই নামাজ তোমাকে ঘরের অভ্যন্তরীণ বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করবে।’ (মুসনাদে বাজ্জার)
» জমজমের পানি লোকজনকে পান করানো মুস্তাহাব। অসুস্থ রোগীদের গায়ে ব্যবহার করাও বৈধ। (মুয়াল্লিমুল হুজ্জাজ: ৩০৩) আয়েশা (রা.) জমজমের পানি সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘রাসুল (সা.) জমজমের পানি সঙ্গে নিয়ে যেতেন।’ (তিরমিজি)
» আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে হাদিয়া-তোহফা দেওয়া সুন্নত। তবে হাজিদের হাদিয়া দেওয়া এবং তাঁদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা এখন প্রথায় পরিণত হয়েছে। তাই তা বর্জন করা উচিত। (আপকে মাসায়েল: ৪/ ১৬১)
উত্তর দিয়েছেন— মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫