আমজাদ ইউনুস
অল্পতেই পরিতৃপ্ত ও হাসিখুশি থাকা মুমিনদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুমিনরা পার্থিব ব্যাপারে নিজের ভাগ্য ও ভাগ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন। তাঁদের ভেতরে লোভ-লালসা থাকে না। অতিরিক্ত বিষয়াসক্তি তাঁদের অসৎ পথে নামায় না। ধনী না হলেও তাঁদের হৃদয়-মনে ধনশালিতা থাকে, যা পান তাতেই তুষ্ট হন। অন্যের ভোগ্যসামগ্রীর ওপর অধিকার লাভের বাসনা থাকে না।
অল্পে তুষ্ট থাকার অনেক উপকারিতা রয়েছে। অল্পে তুষ্ট থাকা লোক সম্মানের জীবনযাপন করেন। রাসুল (সা.) অল্পে তুষ্ট থাকা লোকদের সবচেয়ে বড় সফলকাম, ধনী ও কৃতজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির ইসলাম কবুল করার সৌভাগ্য হয়েছে, যাকে প্রয়োজন পরিমাণ রিজিক দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাআলা তাকে যে সম্পদ দিয়েছেন এর ওপর পরিতৃপ্ত হওয়ারও শক্তি দিয়েছেন, সে-ই (জীবনে) সফলতা লাভ করেছে।’ (মুসলিম)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের চেয়ে কম সম্পদশালী মানুষদের প্রতি (পার্থিব ব্যাপারে) দৃষ্টি দিও, তোমাদের চেয়ে ধনশালী মানুষদের দিকে নয়। এতে করে তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলার দেওয়া নেয়ামতসমূহ নগণ্য মনে হবে না।’ (তিরমিজি)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ ও হারাম জিনিস থেকে বেঁচে থাকো, তাহলে তুমি মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় আবেদ (ইবাদতকারী) গণ্য হবে। আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন, তাতেই পরিতুষ্ট থাকো, তবে তুমিই মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় ধনী হবে। প্রতিবেশীর প্রতি অনুগ্রহ করো, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুমিন বিবেচিত হবে। মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ করো, যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ করো, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুসলিম গণ্য হবে। আর খুব বেশি হাসবে না। কারণ বেশি হাসি অন্তরকে মেরে ফেলে।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
অল্পতেই পরিতৃপ্ত ও হাসিখুশি থাকা মুমিনদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুমিনরা পার্থিব ব্যাপারে নিজের ভাগ্য ও ভাগ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন। তাঁদের ভেতরে লোভ-লালসা থাকে না। অতিরিক্ত বিষয়াসক্তি তাঁদের অসৎ পথে নামায় না। ধনী না হলেও তাঁদের হৃদয়-মনে ধনশালিতা থাকে, যা পান তাতেই তুষ্ট হন। অন্যের ভোগ্যসামগ্রীর ওপর অধিকার লাভের বাসনা থাকে না।
অল্পে তুষ্ট থাকার অনেক উপকারিতা রয়েছে। অল্পে তুষ্ট থাকা লোক সম্মানের জীবনযাপন করেন। রাসুল (সা.) অল্পে তুষ্ট থাকা লোকদের সবচেয়ে বড় সফলকাম, ধনী ও কৃতজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির ইসলাম কবুল করার সৌভাগ্য হয়েছে, যাকে প্রয়োজন পরিমাণ রিজিক দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাআলা তাকে যে সম্পদ দিয়েছেন এর ওপর পরিতৃপ্ত হওয়ারও শক্তি দিয়েছেন, সে-ই (জীবনে) সফলতা লাভ করেছে।’ (মুসলিম)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের চেয়ে কম সম্পদশালী মানুষদের প্রতি (পার্থিব ব্যাপারে) দৃষ্টি দিও, তোমাদের চেয়ে ধনশালী মানুষদের দিকে নয়। এতে করে তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলার দেওয়া নেয়ামতসমূহ নগণ্য মনে হবে না।’ (তিরমিজি)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ ও হারাম জিনিস থেকে বেঁচে থাকো, তাহলে তুমি মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় আবেদ (ইবাদতকারী) গণ্য হবে। আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন, তাতেই পরিতুষ্ট থাকো, তবে তুমিই মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় ধনী হবে। প্রতিবেশীর প্রতি অনুগ্রহ করো, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুমিন বিবেচিত হবে। মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ করো, যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ করো, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুসলিম গণ্য হবে। আর খুব বেশি হাসবে না। কারণ বেশি হাসি অন্তরকে মেরে ফেলে।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৪ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৪ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫