ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
ইসলামের কোনো বিধান মানুষের সাধ্যের বাইরে নেই। কারণ সাধ্যের বাইরে গিয়ে ইবাদত করার আদেশ দেয়নি ইসলাম। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ সাধ্যের বাইরে কোনো কর্তব্য কারও ওপর চাপিয়ে দেন না।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)
ইসলামের সব ফরজ বিধানে মানুষের সামর্থ্য বিবেচনা করা হয়েছে। নামাজের ক্ষেত্রেও অসুস্থ, রোগী, প্রতিবন্ধী ও অক্ষমদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
কখন অক্ষম বিবেচনা করা হবে
নামাজে দাঁড়ানো, রুকু করা ও সিজদা করা ফরজ। এই ফরজগুলো যথাযথভাবে আদায় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। সক্ষমতা সত্ত্বেও এই ফরজগুলো আদায় না করলে নামাজ হবে না। তবে প্রকৃতপক্ষেই যদি কেউ এসবের কোনো একটি আদায় করতে সক্ষম না হন, তবে তিনি ওই ফরজের জন্য শরিয়তের দৃষ্টিতে অক্ষম সাব্যস্ত হবেন। তাঁর জন্য সেই ফরজটি ইশারায় আদায় করা বৈধ হবে। এতে নামাজের পূর্ণ সওয়াবও পাওয়া যাবে। (বুখারি: ১১১৭; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৪৪২)
মুসল্লির অক্ষমতা নির্ণয়ের মানদণ্ড
বয়স্ক এবং প্রকাশ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা, এ বিষয়ক মাসআলাগুলো জানা থাকলে নিজেদের অপারগতা সম্পর্কে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে উত্তম পন্থা হচ্ছে, নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ মুফতির শরণাপন্ন হয়ে জেনে নেওয়া।
আর যারা বাহ্যিকভাবে সুস্থ, কিন্তু বিশেষ রোগের কারণে বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বস্ত ডাক্তার তাঁদের রুকু-সিজদা করতে নিষেধ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও অক্ষম হওয়ার হুকুম প্রযোজ্য হবে। তবে তাঁদের জন্যও উচিত, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিজ্ঞ মুফতিদের শরণাপন্ন হওয়া।
চেয়ারে বসে নামাজ পড়া কখন বৈধ, কখন অবৈধ
কেউ যদি নামাজে দাঁড়াতে সক্ষম না হন, তবে মাটিতে বসে সিজদা করতে সক্ষম, তাহলে তাঁকে মাটিতে বসে সিজদা করে নামাজ আদায় করতে হবে। চেয়ারে বসে রুকু-সিজদা করলে নামাজ হবে না। (রদ্দুল মুহতার: ২ / ৯৯)
কেউ যদি দাঁড়াতেও সক্ষম না হন, মাটিতে বসে সিজদা করতেও সক্ষম না হন এবং চেয়ার বা নিচে বসে ইশারায় সিজদা করা ছাড়া তাঁর উপায় নেই, তিনি যথাসম্ভব মাটিতে বসেই ইশারা করার চেষ্টা করবে। এটাই উত্তম। কারণ বৈঠকে অধিক বিনয় প্রকাশ পায় এবং বৈঠক সিজদার কাছের অবস্থান। (আল-হিদায়া: ১ / ১৬২)
তবে কেউ যদি মাটিতে বসতে সক্ষম না হন কিংবা এতে তাঁর অধিক কষ্ট হয়, তাঁর জন্য চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করতে কোনো বাধা নেই। নিঃসন্দেহে তাঁর নামাজ বিশুদ্ধভাবে আদায় হয়ে যাবে। (ইবনে আবি শায়বা: ৮৮৭৩)
হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়
সিজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি যদি নামাজের কিছু অংশে দাঁড়াতে সক্ষম হন এবং পুরো সময় দাঁড়িয়ে থাকতে অপারগ থাকেন, সে ক্ষেত্রে যেটুকু সময় দাঁড়াতে পারবেন, তা কোনো লাঠি বা দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে হলেও সেটুকু দাঁড়ানো ফরজ। এ অবস্থায় যদি না দাঁড়ান এবং কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসেই নামাজ আদায় করেন, তবে নামাজ হবে না। (দুররে মুখতার: ২ / ২৬৭)
কেউ যদি দাঁড়াতে সক্ষম হন, কিন্তু রুকু-সিজদা বা শুধু সিজদা করতে অক্ষম হন, তাঁর জন্য বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। তিনি ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা করবেন। এ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করার চেয়ে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করা উত্তম। (দুররে মুখতার: ২ / ৫৬৭; ফাতওয়ায়ে আলমগিরি: ১ / ১৩৬)
নফল নামাজ বসে পড়ার হুকুম
রুকু সেজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি নফল নামাজ বসে আদায় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি অর্ধেক সওয়াব পাবেন। ফজরের সুন্নত নামাজ ছাড়া অন্যান্য ওয়াক্তের সুন্নত নামাজগুলোও বসে আদায় করা যাবে। তবে দাঁড়িয়ে রুকু–সেজদা করে নামাজ আদায় করাই উত্তম। (বুখারি: ১১১৬) তবে এ ক্ষেত্রেও চেয়ারে না বসে মাটিতে বসে পড়াই উত্তম।
মোটকথা, ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা তখনই জায়েজ হবে, যখন নিচে বসে নামাজ পড়ার সক্ষমতা থাকবে না। ছোটখাটো অসুস্থতায় চেয়ারে বসার অভ্যাস করা শরিয়তের দৃষ্টিতে মোটেও উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে শরিয়তের নীতিমালা মেনে চলা আবশ্যক।
ইসলামের কোনো বিধান মানুষের সাধ্যের বাইরে নেই। কারণ সাধ্যের বাইরে গিয়ে ইবাদত করার আদেশ দেয়নি ইসলাম। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ সাধ্যের বাইরে কোনো কর্তব্য কারও ওপর চাপিয়ে দেন না।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)
ইসলামের সব ফরজ বিধানে মানুষের সামর্থ্য বিবেচনা করা হয়েছে। নামাজের ক্ষেত্রেও অসুস্থ, রোগী, প্রতিবন্ধী ও অক্ষমদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
কখন অক্ষম বিবেচনা করা হবে
নামাজে দাঁড়ানো, রুকু করা ও সিজদা করা ফরজ। এই ফরজগুলো যথাযথভাবে আদায় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। সক্ষমতা সত্ত্বেও এই ফরজগুলো আদায় না করলে নামাজ হবে না। তবে প্রকৃতপক্ষেই যদি কেউ এসবের কোনো একটি আদায় করতে সক্ষম না হন, তবে তিনি ওই ফরজের জন্য শরিয়তের দৃষ্টিতে অক্ষম সাব্যস্ত হবেন। তাঁর জন্য সেই ফরজটি ইশারায় আদায় করা বৈধ হবে। এতে নামাজের পূর্ণ সওয়াবও পাওয়া যাবে। (বুখারি: ১১১৭; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৪৪২)
মুসল্লির অক্ষমতা নির্ণয়ের মানদণ্ড
বয়স্ক এবং প্রকাশ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা, এ বিষয়ক মাসআলাগুলো জানা থাকলে নিজেদের অপারগতা সম্পর্কে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে উত্তম পন্থা হচ্ছে, নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ মুফতির শরণাপন্ন হয়ে জেনে নেওয়া।
আর যারা বাহ্যিকভাবে সুস্থ, কিন্তু বিশেষ রোগের কারণে বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বস্ত ডাক্তার তাঁদের রুকু-সিজদা করতে নিষেধ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও অক্ষম হওয়ার হুকুম প্রযোজ্য হবে। তবে তাঁদের জন্যও উচিত, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিজ্ঞ মুফতিদের শরণাপন্ন হওয়া।
চেয়ারে বসে নামাজ পড়া কখন বৈধ, কখন অবৈধ
কেউ যদি নামাজে দাঁড়াতে সক্ষম না হন, তবে মাটিতে বসে সিজদা করতে সক্ষম, তাহলে তাঁকে মাটিতে বসে সিজদা করে নামাজ আদায় করতে হবে। চেয়ারে বসে রুকু-সিজদা করলে নামাজ হবে না। (রদ্দুল মুহতার: ২ / ৯৯)
কেউ যদি দাঁড়াতেও সক্ষম না হন, মাটিতে বসে সিজদা করতেও সক্ষম না হন এবং চেয়ার বা নিচে বসে ইশারায় সিজদা করা ছাড়া তাঁর উপায় নেই, তিনি যথাসম্ভব মাটিতে বসেই ইশারা করার চেষ্টা করবে। এটাই উত্তম। কারণ বৈঠকে অধিক বিনয় প্রকাশ পায় এবং বৈঠক সিজদার কাছের অবস্থান। (আল-হিদায়া: ১ / ১৬২)
তবে কেউ যদি মাটিতে বসতে সক্ষম না হন কিংবা এতে তাঁর অধিক কষ্ট হয়, তাঁর জন্য চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করতে কোনো বাধা নেই। নিঃসন্দেহে তাঁর নামাজ বিশুদ্ধভাবে আদায় হয়ে যাবে। (ইবনে আবি শায়বা: ৮৮৭৩)
হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়
সিজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি যদি নামাজের কিছু অংশে দাঁড়াতে সক্ষম হন এবং পুরো সময় দাঁড়িয়ে থাকতে অপারগ থাকেন, সে ক্ষেত্রে যেটুকু সময় দাঁড়াতে পারবেন, তা কোনো লাঠি বা দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে হলেও সেটুকু দাঁড়ানো ফরজ। এ অবস্থায় যদি না দাঁড়ান এবং কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসেই নামাজ আদায় করেন, তবে নামাজ হবে না। (দুররে মুখতার: ২ / ২৬৭)
কেউ যদি দাঁড়াতে সক্ষম হন, কিন্তু রুকু-সিজদা বা শুধু সিজদা করতে অক্ষম হন, তাঁর জন্য বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। তিনি ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা করবেন। এ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করার চেয়ে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করা উত্তম। (দুররে মুখতার: ২ / ৫৬৭; ফাতওয়ায়ে আলমগিরি: ১ / ১৩৬)
নফল নামাজ বসে পড়ার হুকুম
রুকু সেজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি নফল নামাজ বসে আদায় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি অর্ধেক সওয়াব পাবেন। ফজরের সুন্নত নামাজ ছাড়া অন্যান্য ওয়াক্তের সুন্নত নামাজগুলোও বসে আদায় করা যাবে। তবে দাঁড়িয়ে রুকু–সেজদা করে নামাজ আদায় করাই উত্তম। (বুখারি: ১১১৬) তবে এ ক্ষেত্রেও চেয়ারে না বসে মাটিতে বসে পড়াই উত্তম।
মোটকথা, ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা তখনই জায়েজ হবে, যখন নিচে বসে নামাজ পড়ার সক্ষমতা থাকবে না। ছোটখাটো অসুস্থতায় চেয়ারে বসার অভ্যাস করা শরিয়তের দৃষ্টিতে মোটেও উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে শরিয়তের নীতিমালা মেনে চলা আবশ্যক।
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫