মুফতি খালিদ কাসেমি
একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এ শিক্ষা দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জিত হয়। মহান আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন, তাকেই তিনি ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যার কল্যাণ চান, তাকে ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। আল্লাহই দানকারী আর আমি বণ্টনকারী।’ (মুসলিম)
কোরআন ও হাদিসে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।’ (সুরা যুমার: ৯)
অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উন্নত করবেন; তোমরা যা করো আল্লাহ তাআলা সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা মুজাদালা: ১১)
কোরআনের জ্ঞান অর্জনকারীকে সর্বোত্তম ব্যক্তি বলা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’ (আবু দাউদ)
ধর্মীয় শিক্ষার লাভের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতের কোনো একটি পথ সহজ করে দেন। ফেরেশতারা জ্ঞান অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য আসমান ও জমিনে যারা আছে, তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করে; এমনকি পানির গভীরে বসবাসকারী মাছও। ইবাদতকারী ব্যক্তির ওপর আলিমের মর্যাদা হলো, যেমন সব তারার ওপর পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা। জ্ঞানীরা হলেন নবীদের উত্তরসূরি। নবীগণ কোনো স্বর্ণ বা রৌপ্যমুদ্রা উত্তরাধিকার সূত্রে রেখে যাননি; তাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে রেখে গেছেন শুধু ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে, সে পূর্ণ অংশ লাভ করেছে।’ (আবু দাউদ)
মুফতি খালিদ কাসেমি, ইসলামবিষয়ক গবেষক
একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এ শিক্ষা দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জিত হয়। মহান আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন, তাকেই তিনি ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যার কল্যাণ চান, তাকে ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। আল্লাহই দানকারী আর আমি বণ্টনকারী।’ (মুসলিম)
কোরআন ও হাদিসে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।’ (সুরা যুমার: ৯)
অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উন্নত করবেন; তোমরা যা করো আল্লাহ তাআলা সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা মুজাদালা: ১১)
কোরআনের জ্ঞান অর্জনকারীকে সর্বোত্তম ব্যক্তি বলা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’ (আবু দাউদ)
ধর্মীয় শিক্ষার লাভের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতের কোনো একটি পথ সহজ করে দেন। ফেরেশতারা জ্ঞান অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য আসমান ও জমিনে যারা আছে, তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করে; এমনকি পানির গভীরে বসবাসকারী মাছও। ইবাদতকারী ব্যক্তির ওপর আলিমের মর্যাদা হলো, যেমন সব তারার ওপর পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা। জ্ঞানীরা হলেন নবীদের উত্তরসূরি। নবীগণ কোনো স্বর্ণ বা রৌপ্যমুদ্রা উত্তরাধিকার সূত্রে রেখে যাননি; তাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে রেখে গেছেন শুধু ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে, সে পূর্ণ অংশ লাভ করেছে।’ (আবু দাউদ)
মুফতি খালিদ কাসেমি, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫