আবরার নাঈম
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের প্রতিটি কাজেই রয়েছে কিছু নীতিমালা ও শিষ্টাচার, যা মেনে চললে কাজ হয় সুন্দর ও পরিপাটি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পানাহার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই এখানেও রয়েছে কিছু শিষ্টাচার ও বিধিনিষেধ। এখানে পানাহারের কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
১. বাঁ হাতে পানাহার করা: বাঁ হাতে পানাহার করা অভদ্রতা ও দৃষ্টিকটু। রাসুল (সা.) ডান হাতেই খেতেন। আমাদেরও তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, বাঁ হাতে যেন তোমাদের কেউ না খায় এবং পান না করে। কেননা বাঁ হাতে শয়তান পানাহার করে।’ (তিরমিজি: ১৭৯৯)
২. একসঙ্গে খেলে অন্যের চেয়ে বেশি খাওয়া: যৌথ খাবারে অনুমতি ছাড়া অন্যদের চেয়ে বেশি খাওয়া অনুচিত। প্লেটে গোশত কিংবা মাছ বা তরকারি যা-ই থাকুক, সবার সঙ্গে পরিমিত আহার করা উচিত। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একই থালায় একসঙ্গে খেতে বসলে সঙ্গীর সম্মতি ছাড়া একসঙ্গে দুটি খেজুর খেতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। (তিরমিজি: ১৮১৪)
৩. হেলান দিয়ে খাবার খাওয়া: এতে খাবারের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ পায় এবং অহংকার প্রকাশিত হয়। নবী (সা.) কখনো কোনো কিছুতে হেলান দিয়ে খাবার খেতেন না। হজরত আবু জুহায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি হেলান দিয়ে কখনো খাবার খাই না।’ (তিরমিজি: ১৮৩০)
৪. খাবারের দোষ ধরা: খাবারের দোষ ধরা মোটেও উচিত নয়। মহানবী (সা.) কখনোই খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি: ৫১৯৮)
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের প্রতিটি কাজেই রয়েছে কিছু নীতিমালা ও শিষ্টাচার, যা মেনে চললে কাজ হয় সুন্দর ও পরিপাটি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পানাহার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই এখানেও রয়েছে কিছু শিষ্টাচার ও বিধিনিষেধ। এখানে পানাহারের কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
১. বাঁ হাতে পানাহার করা: বাঁ হাতে পানাহার করা অভদ্রতা ও দৃষ্টিকটু। রাসুল (সা.) ডান হাতেই খেতেন। আমাদেরও তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, বাঁ হাতে যেন তোমাদের কেউ না খায় এবং পান না করে। কেননা বাঁ হাতে শয়তান পানাহার করে।’ (তিরমিজি: ১৭৯৯)
২. একসঙ্গে খেলে অন্যের চেয়ে বেশি খাওয়া: যৌথ খাবারে অনুমতি ছাড়া অন্যদের চেয়ে বেশি খাওয়া অনুচিত। প্লেটে গোশত কিংবা মাছ বা তরকারি যা-ই থাকুক, সবার সঙ্গে পরিমিত আহার করা উচিত। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একই থালায় একসঙ্গে খেতে বসলে সঙ্গীর সম্মতি ছাড়া একসঙ্গে দুটি খেজুর খেতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। (তিরমিজি: ১৮১৪)
৩. হেলান দিয়ে খাবার খাওয়া: এতে খাবারের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ পায় এবং অহংকার প্রকাশিত হয়। নবী (সা.) কখনো কোনো কিছুতে হেলান দিয়ে খাবার খেতেন না। হজরত আবু জুহায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি হেলান দিয়ে কখনো খাবার খাই না।’ (তিরমিজি: ১৮৩০)
৪. খাবারের দোষ ধরা: খাবারের দোষ ধরা মোটেও উচিত নয়। মহানবী (সা.) কখনোই খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি: ৫১৯৮)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫