ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
মুমিনের প্রতিটি কাজকর্ম ইবাদত, যদি তাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়। সারা দিন পরিশ্রান্ত থাকার পর মানুষ যখন রাতে ঘুমাতে যায়, তখন কিছু দোয়া পড়তে হয়। যেন ঘুমটিও ইবাদতে পরিণত হয়। দোয়াগুলোর ফজিলত অনেক বেশি। এসব দোয়া বান্দার মর্যাদা আরও বহু গুণে বাড়িয়ে দেয় এবং আল্লাহর নৈকট্য দান করে।
এক. ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করা, যা আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি)।
দুই. ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তথা ২৮৫-২৮৬ নম্বর পাঠ করলে অনেক কল্যাণ সাধিত হয়। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার জন্য তা (সব সমস্যার সমাধানে) যথেষ্ট হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তিন. একইভাবে ঘুমানোর সময় সুরা মুলক পাঠ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হজরত জাবির (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না।’ (মিশকাত)
চার. সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পড়াও সুন্নত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি কি তোমাদের উত্তম জিনিসের সন্ধান দিব না? যখন তোমরা বিছানায় যাবে, তখন ৩৪ বার “আল্লাহু আকবর”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ” বলবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম প্রতিদান।’ (বুখারি)
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মুমিনের প্রতিটি কাজকর্ম ইবাদত, যদি তাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়। সারা দিন পরিশ্রান্ত থাকার পর মানুষ যখন রাতে ঘুমাতে যায়, তখন কিছু দোয়া পড়তে হয়। যেন ঘুমটিও ইবাদতে পরিণত হয়। দোয়াগুলোর ফজিলত অনেক বেশি। এসব দোয়া বান্দার মর্যাদা আরও বহু গুণে বাড়িয়ে দেয় এবং আল্লাহর নৈকট্য দান করে।
এক. ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করা, যা আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি)।
দুই. ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তথা ২৮৫-২৮৬ নম্বর পাঠ করলে অনেক কল্যাণ সাধিত হয়। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার জন্য তা (সব সমস্যার সমাধানে) যথেষ্ট হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তিন. একইভাবে ঘুমানোর সময় সুরা মুলক পাঠ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হজরত জাবির (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না।’ (মিশকাত)
চার. সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পড়াও সুন্নত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি কি তোমাদের উত্তম জিনিসের সন্ধান দিব না? যখন তোমরা বিছানায় যাবে, তখন ৩৪ বার “আল্লাহু আকবর”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ” বলবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম প্রতিদান।’ (বুখারি)
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫