মুফতি খালিদ কাসেমি
দানশীলতা ও উদারতা ছিল মহানবী (সা.)-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তিনি বড় দানশীল ছিলেন। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো।’ (বুখারি) দানশীল ব্যক্তিদের বিশেষ একটি গুণ হলো, তারা অতিথিদের খুব আদর-আপ্যায়ন করেন। আরবের লোকদের এ গুণ ছিল স্বভাবজাত। জাহেলি যুগেও তারা অতিথিদের খুব আদর-আপ্যায়ন করতেন।
আতিথেয়তা মহানবী (সা.)-এর বিশেষ সুন্নত। মহানবী (সা.)-এর ব্যাপারে খাদিজা (রা.) ছিলেন সম্যক অবগত। তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায় দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন, অতিথির সমাদর করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (বুখারি)
আতিথেয়তার গুরুত্ব বর্ণনা করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের প্রতি যে ইমান রাখে, সে যেন অতিথির সমাদর করে।’ (বুখারি) এ হাদিসে আতিথেয়তাকে ইমানের আলামত বলা হয়েছে।
অতিথির আপ্যায়ন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাতে আসা অতিথির আপ্যায়ন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। আর যদি তার কাছে অতিথি ভোর পর্যন্ত থাকে, তবে সে সময়ের আপ্যায়নও মেজবানের ওপর অতিথির পাওনাস্বরূপ। এখন চাইলে সে এই পাওনা শোধও করতে পারে, ইচ্ছা করলে তা ছেড়েও দিতে পারে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
সাধ্য অনুযায়ী অতিথিদের জন্য উত্তম খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আতিথেয়তার ঘটনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, ‘এরপর তিনি অবিলম্বে আতিথেয়তার জন্য একটি ভুনা করা বাছুর নিয়ে এলেন।’ 85 (সুরা হুদ: ৬৯)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
দানশীলতা ও উদারতা ছিল মহানবী (সা.)-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তিনি বড় দানশীল ছিলেন। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো।’ (বুখারি) দানশীল ব্যক্তিদের বিশেষ একটি গুণ হলো, তারা অতিথিদের খুব আদর-আপ্যায়ন করেন। আরবের লোকদের এ গুণ ছিল স্বভাবজাত। জাহেলি যুগেও তারা অতিথিদের খুব আদর-আপ্যায়ন করতেন।
আতিথেয়তা মহানবী (সা.)-এর বিশেষ সুন্নত। মহানবী (সা.)-এর ব্যাপারে খাদিজা (রা.) ছিলেন সম্যক অবগত। তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায় দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন, অতিথির সমাদর করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (বুখারি)
আতিথেয়তার গুরুত্ব বর্ণনা করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের প্রতি যে ইমান রাখে, সে যেন অতিথির সমাদর করে।’ (বুখারি) এ হাদিসে আতিথেয়তাকে ইমানের আলামত বলা হয়েছে।
অতিথির আপ্যায়ন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাতে আসা অতিথির আপ্যায়ন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। আর যদি তার কাছে অতিথি ভোর পর্যন্ত থাকে, তবে সে সময়ের আপ্যায়নও মেজবানের ওপর অতিথির পাওনাস্বরূপ। এখন চাইলে সে এই পাওনা শোধও করতে পারে, ইচ্ছা করলে তা ছেড়েও দিতে পারে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
সাধ্য অনুযায়ী অতিথিদের জন্য উত্তম খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আতিথেয়তার ঘটনা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, ‘এরপর তিনি অবিলম্বে আতিথেয়তার জন্য একটি ভুনা করা বাছুর নিয়ে এলেন।’ 85 (সুরা হুদ: ৬৯)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৩ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৪ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
২৪ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
২৪ দিন আগে