শরিফ আহমাদ
মানবশিশু আল্লাহ তাআলার দেওয়া বড় নিয়ামত ও আমানত। আজকের শিশু আগামীর কর্ণধার। ওরাই সভ্যতার রক্ষাকবচ। তাই শিশুদের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার হাত ঊর্ধ্বে রাখতে হয়। ইসলাম শিশুদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে। শিশুহত্যাকে কবিরা গুনাহ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্থির করা; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ আমি বললাম, ‘এটা তো বড় গুনাহ বটে। এরপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘আপন সন্তানকে এ আশঙ্কায় হত্যা করা যে সে তোমার আহারের সঙ্গী হবে।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।’ (তিরমিজি: ৩১৮২; আবু দাউদ: ২০০০)
শিশুদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। তিনি তাদের সঙ্গে খেলা করতেন। আদর করতেন। চুমু খেতেন। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এক গ্রাম্য লোক এসে বলল, ‘আপনি কি শিশুদের চুমু দেন? আমরা তো চুমু দিই না।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমার অন্তর থেকে দয়া তুলে নিলে আমার কী করার আছে?’ (বুখারি: ৫৯৯৮)
প্রতিটি শিশু পবিত্রতা, নিরাপত্তা, লালন-পালন ও শিক্ষা-দীক্ষার অধিকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করে। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য তাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দেওয়া। তাদের ভয় দেখানো, জুলুম-নির্যাতন করা এবং হত্যা করা কোনোভাবেই বৈধ নয়। আমর ইবনে শুয়াইব (রহ.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান বোঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি: ২০৪৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানবশিশু আল্লাহ তাআলার দেওয়া বড় নিয়ামত ও আমানত। আজকের শিশু আগামীর কর্ণধার। ওরাই সভ্যতার রক্ষাকবচ। তাই শিশুদের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার হাত ঊর্ধ্বে রাখতে হয়। ইসলাম শিশুদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে। শিশুহত্যাকে কবিরা গুনাহ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্থির করা; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ আমি বললাম, ‘এটা তো বড় গুনাহ বটে। এরপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘আপন সন্তানকে এ আশঙ্কায় হত্যা করা যে সে তোমার আহারের সঙ্গী হবে।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।’ (তিরমিজি: ৩১৮২; আবু দাউদ: ২০০০)
শিশুদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। তিনি তাদের সঙ্গে খেলা করতেন। আদর করতেন। চুমু খেতেন। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এক গ্রাম্য লোক এসে বলল, ‘আপনি কি শিশুদের চুমু দেন? আমরা তো চুমু দিই না।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমার অন্তর থেকে দয়া তুলে নিলে আমার কী করার আছে?’ (বুখারি: ৫৯৯৮)
প্রতিটি শিশু পবিত্রতা, নিরাপত্তা, লালন-পালন ও শিক্ষা-দীক্ষার অধিকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করে। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য তাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দেওয়া। তাদের ভয় দেখানো, জুলুম-নির্যাতন করা এবং হত্যা করা কোনোভাবেই বৈধ নয়। আমর ইবনে শুয়াইব (রহ.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান বোঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি: ২০৪৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৪ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৫ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫