তানবিরুল হক আবিদ
ইসলামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো পবিত্রতা। পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ। সার্বক্ষণিক পবিত্রতা রক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। যারা সর্বদা পবিত্র থাকে ফেরেশতারা তাদের সঙ্গ পছন্দ করে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা: ২২২)
ফরজ গোসলে ইসলামিক নির্দেশনা মানা আবশ্যক অন্যথায় গোসল শুদ্ধ হবে না। ফলে নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কবুল হবে না। চলুন জেনে নিই কী কী ভুলের কারণে ফরজ গোসল শুদ্ধ হয় না—
১. ফরজ গোসলে কুলি এবং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি না পৌঁছালে গোসল শুদ্ধ হবে না। কারণ এগুলো গোসলের ফরজ।
২. সমস্ত শরীর একবার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া ফরজ। তাই ফরজ গোসলের পর শরীরে একটি চুল পরিমাণ শুকনো থাকলেও গোসল শুদ্ধ হবে না।
৩. নাকের ভেতর জমাটবদ্ধ শুকনো ময়লা থাকলে তার নিচে পানি পৌঁছানো আবশ্যক। অন্যথায় ফরজ গোসল আদায় হবে না।
৪. ভ্রু, মোচ, দাড়ির চুল এবং তার নিচের চামড়া শুকনো থাকলে ফরজ গোসল হবে না।
৫. নখের নিচে গ্লু, আটার খামির, বা তৈলাক্ত এমন ময়লা যা পানি পৌঁছাতে বাধা প্রদান করে থাকলে ফরজ গোসল শুদ্ধ হবে না।
৬. গোসলের পর শরীরে প্রলেপযুক্ত রং, সুপার গ্লু, মাছের আঁশ, ইত্যাদি (যা পানি পৌঁছাতে বাধা প্রদান করে) থাকলে গোসল শুদ্ধ হবে না।
৭. মহিলাদের চুল খোঁপা করা থাকলে গোড়ায় পানি পৌঁছানো ওয়াজিব। আর পুরুষের চুল খোঁপা করা থাক বা না থাক সর্ব অবস্থায় পূর্ণ চুল ও চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছানো ওয়াজিব।
৮. কান-নাকের ছিদ্র, হাতের আংটি, ব্রেসলেট, নূপুর ও পায়েলের নিচ, নাভির ভেতরে অংশ ভেজানো না হলে ফরজ গোসল হবে না।
৯. নারীরা ফরজ গোসল করার সময় তাদের গোপনাঙ্গের বাইরের অংশ পানিতে না ভেজালে গোসল শুদ্ধ হবে না। উল্লেখ্য, গোসলের সময় গুপ্তাঙ্গে আঙুল প্রবেশ করানো ঠিক নয়।
১০. যারা নকল দাঁত বা ক্যাপ ব্যবহার করেন সম্ভব হলে দাঁত বা ক্যাপ খুলে মুখে পানি দিয়ে কুলি করবে। এটা কষ্টসাধ্য বা সম্ভব না হলে, ওই অবস্থায় গোসল করলে ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৬৪-৬৫, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৮ / ১৭১, দুররুল মুখতার: ১ / ২৮৭, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১ / ২৭৭-২৭৮, হাশিয়াতু তাহতাবি: ১০২-১০৩)
ইসলামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো পবিত্রতা। পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ। সার্বক্ষণিক পবিত্রতা রক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। যারা সর্বদা পবিত্র থাকে ফেরেশতারা তাদের সঙ্গ পছন্দ করে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা: ২২২)
ফরজ গোসলে ইসলামিক নির্দেশনা মানা আবশ্যক অন্যথায় গোসল শুদ্ধ হবে না। ফলে নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কবুল হবে না। চলুন জেনে নিই কী কী ভুলের কারণে ফরজ গোসল শুদ্ধ হয় না—
১. ফরজ গোসলে কুলি এবং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি না পৌঁছালে গোসল শুদ্ধ হবে না। কারণ এগুলো গোসলের ফরজ।
২. সমস্ত শরীর একবার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া ফরজ। তাই ফরজ গোসলের পর শরীরে একটি চুল পরিমাণ শুকনো থাকলেও গোসল শুদ্ধ হবে না।
৩. নাকের ভেতর জমাটবদ্ধ শুকনো ময়লা থাকলে তার নিচে পানি পৌঁছানো আবশ্যক। অন্যথায় ফরজ গোসল আদায় হবে না।
৪. ভ্রু, মোচ, দাড়ির চুল এবং তার নিচের চামড়া শুকনো থাকলে ফরজ গোসল হবে না।
৫. নখের নিচে গ্লু, আটার খামির, বা তৈলাক্ত এমন ময়লা যা পানি পৌঁছাতে বাধা প্রদান করে থাকলে ফরজ গোসল শুদ্ধ হবে না।
৬. গোসলের পর শরীরে প্রলেপযুক্ত রং, সুপার গ্লু, মাছের আঁশ, ইত্যাদি (যা পানি পৌঁছাতে বাধা প্রদান করে) থাকলে গোসল শুদ্ধ হবে না।
৭. মহিলাদের চুল খোঁপা করা থাকলে গোড়ায় পানি পৌঁছানো ওয়াজিব। আর পুরুষের চুল খোঁপা করা থাক বা না থাক সর্ব অবস্থায় পূর্ণ চুল ও চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছানো ওয়াজিব।
৮. কান-নাকের ছিদ্র, হাতের আংটি, ব্রেসলেট, নূপুর ও পায়েলের নিচ, নাভির ভেতরে অংশ ভেজানো না হলে ফরজ গোসল হবে না।
৯. নারীরা ফরজ গোসল করার সময় তাদের গোপনাঙ্গের বাইরের অংশ পানিতে না ভেজালে গোসল শুদ্ধ হবে না। উল্লেখ্য, গোসলের সময় গুপ্তাঙ্গে আঙুল প্রবেশ করানো ঠিক নয়।
১০. যারা নকল দাঁত বা ক্যাপ ব্যবহার করেন সম্ভব হলে দাঁত বা ক্যাপ খুলে মুখে পানি দিয়ে কুলি করবে। এটা কষ্টসাধ্য বা সম্ভব না হলে, ওই অবস্থায় গোসল করলে ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৬৪-৬৫, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৮ / ১৭১, দুররুল মুখতার: ১ / ২৮৭, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১ / ২৭৭-২৭৮, হাশিয়াতু তাহতাবি: ১০২-১০৩)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১৮ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১৯ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১৯ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৯ দিন আগে