নাঈমুল হাসান তানযীম
ইসলাম সাদাসিধে জীবনযাপনে উৎসাহ দেয়। বিলাসিতা কিংবা জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন ইসলামি বিধিবিধান পালনে অনেক সময় অন্তরায় হয়ে যায়। রাসুল (সা.) অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতে পছন্দ করতেন। তাঁর জীবন ছিল নিতান্তই সাদাসিধে। ভীষণ খাদ্যকষ্টেও তিনি দিনাতিপাত করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কি শুনছ না? তোমরা কি শুনছ না? সাদাসিধে জীবনযাপন করাই ইমানের অঙ্গ, সাদাসিধে জীবনযাপন করাই ইমানের অঙ্গ।’ (আবু দাউদ: ৪১৬১)
এ হাদিসে বারবার সাধাসিধে জীবনযাপন করার কথা বলার মাধ্যমে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। অন্যদিকে বিলাসী জীবন পরিহার করতে রাসুল (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে আদেশ করেছেন। বর্ণিত আছে, তিনি যখন মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে শাসনভার অর্পণ করে ইয়েমেনে পাঠাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম উপদেশ ছিল, ‘হে মুয়াজ, নিজেকে বিলাসিতা থেকে বাঁচিয়ে রেখো। কেননা আল্লাহর খাস বান্দারা বিলাসী জীবনযাপন করে না।’ (শুআবুল ইমান: ৫৭৬৬)
প্রকৃত মুমিন বান্দা তো জান্নাতের সুখ-শান্তির জন্যই সব পার্থিব আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে থাকেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে আয়েশা, যদি তুমি (ইহকাল ও পরকালে) আমার সান্নিধ্য লাভের ইচ্ছা রাখো, তবে দুনিয়ার সম্পদ থেকে এ পরিমাণই নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করো, যে পরিমাণ একজন মুসাফিরের পাথেয় হিসেবে যথেষ্ট হয় এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সাহচর্য হতে বেঁচে থাকো, আর তালি না লাগানো পর্যন্ত কোনো কাপড়কে পুরোনো মনে কোরো না।’ (তিরমিজি: ১৭৮)
এই ছিল রাসুল (সা.)-এর অনাড়ম্বর জীবনযাপনের দৃশ্য। তাঁর জীবনাদর্শে রয়েছে আমাদের ইহকাল ও পরকালের সফলতা।
লেখক: নাঈমুল হাসান তানযীম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম সাদাসিধে জীবনযাপনে উৎসাহ দেয়। বিলাসিতা কিংবা জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন ইসলামি বিধিবিধান পালনে অনেক সময় অন্তরায় হয়ে যায়। রাসুল (সা.) অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতে পছন্দ করতেন। তাঁর জীবন ছিল নিতান্তই সাদাসিধে। ভীষণ খাদ্যকষ্টেও তিনি দিনাতিপাত করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কি শুনছ না? তোমরা কি শুনছ না? সাদাসিধে জীবনযাপন করাই ইমানের অঙ্গ, সাদাসিধে জীবনযাপন করাই ইমানের অঙ্গ।’ (আবু দাউদ: ৪১৬১)
এ হাদিসে বারবার সাধাসিধে জীবনযাপন করার কথা বলার মাধ্যমে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। অন্যদিকে বিলাসী জীবন পরিহার করতে রাসুল (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে আদেশ করেছেন। বর্ণিত আছে, তিনি যখন মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে শাসনভার অর্পণ করে ইয়েমেনে পাঠাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম উপদেশ ছিল, ‘হে মুয়াজ, নিজেকে বিলাসিতা থেকে বাঁচিয়ে রেখো। কেননা আল্লাহর খাস বান্দারা বিলাসী জীবনযাপন করে না।’ (শুআবুল ইমান: ৫৭৬৬)
প্রকৃত মুমিন বান্দা তো জান্নাতের সুখ-শান্তির জন্যই সব পার্থিব আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে থাকেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে আয়েশা, যদি তুমি (ইহকাল ও পরকালে) আমার সান্নিধ্য লাভের ইচ্ছা রাখো, তবে দুনিয়ার সম্পদ থেকে এ পরিমাণই নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করো, যে পরিমাণ একজন মুসাফিরের পাথেয় হিসেবে যথেষ্ট হয় এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সাহচর্য হতে বেঁচে থাকো, আর তালি না লাগানো পর্যন্ত কোনো কাপড়কে পুরোনো মনে কোরো না।’ (তিরমিজি: ১৭৮)
এই ছিল রাসুল (সা.)-এর অনাড়ম্বর জীবনযাপনের দৃশ্য। তাঁর জীবনাদর্শে রয়েছে আমাদের ইহকাল ও পরকালের সফলতা।
লেখক: নাঈমুল হাসান তানযীম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫