ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
সমাজে যাঁরা পাশাপাশি বসবাস করেন, তাঁদের প্রতিবেশী বলা হয়। ইমাম যুহরি (রহ.) বলেন, ‘নিজের ঘরের সামনে-পেছনে চল্লিশ ঘর এবং ডানে-বাঁয়ে চল্লিশ ঘর পর্যন্ত প্রতিবেশী বলে ধরা হবে।’ প্রতিবেশীকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। এক. আত্মীয় মুসলিম প্রতিবেশী। দুই. মুসলিম প্রতিবেশী। তিন. অমুসলিম প্রতিবেশী। এ ছাড়া ভাড়াটিয়া, ভ্রমণসঙ্গীরাও প্রতিবেশীর অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্য পালনে গুরুত্ব দিয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিবেশীর ব্যাপারে জিবরাইল (আ.) আমাকে এমনভাবে উপদেশ দিলেন, মনে হয় তাদের আমার উত্তরাধিকার নিযুক্ত করবেন।’ তাই প্রতিবেশীর অধিকার জানা ও বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. প্রতিবেশীর নিরাপত্তা দেওয়া। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’
দুই. প্রতিবেশীকে অভাব-অনটনে সাহায্য করা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী অভুক্ত রাত যাপন করে, সে প্রকৃত মুমিন নয়।’
তিন. প্রতিবেশীর সম্মান রক্ষা করা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের দোষত্রুটি গোপন করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষত্রুটি গোপন করবেন।’
চার. প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা বাবা-মা, নিকটাত্মীয়, এতিম-মিসকিন, প্রতিবেশী, পার্শ্বসঙ্গী, অসহায় পথিক ও দাসদাসীদের সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা নিসা: ৩৬) এ ছাড়া রয়েছে পারস্পরিক সহানুভূতি প্রকাশ, সালাম বিনিময়, দাওয়াতে সাড়া দেওয়া, অসুস্থ হলে খোঁজ নেওয়া, সুখে সুখী হওয়া, দুঃখ লাঘবে এগিয়ে আসা, কেউ মৃত্যুবরণ করলে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা, ঘরের ছাদ প্রতিবেশীর ঘর থেকে উঁচু না করা, পথ সংকীর্ণ না করা, অনর্থক আলাপ দীর্ঘায়িত না করা ইত্যাদি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সমাজে যাঁরা পাশাপাশি বসবাস করেন, তাঁদের প্রতিবেশী বলা হয়। ইমাম যুহরি (রহ.) বলেন, ‘নিজের ঘরের সামনে-পেছনে চল্লিশ ঘর এবং ডানে-বাঁয়ে চল্লিশ ঘর পর্যন্ত প্রতিবেশী বলে ধরা হবে।’ প্রতিবেশীকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। এক. আত্মীয় মুসলিম প্রতিবেশী। দুই. মুসলিম প্রতিবেশী। তিন. অমুসলিম প্রতিবেশী। এ ছাড়া ভাড়াটিয়া, ভ্রমণসঙ্গীরাও প্রতিবেশীর অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্য পালনে গুরুত্ব দিয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিবেশীর ব্যাপারে জিবরাইল (আ.) আমাকে এমনভাবে উপদেশ দিলেন, মনে হয় তাদের আমার উত্তরাধিকার নিযুক্ত করবেন।’ তাই প্রতিবেশীর অধিকার জানা ও বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. প্রতিবেশীর নিরাপত্তা দেওয়া। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’
দুই. প্রতিবেশীকে অভাব-অনটনে সাহায্য করা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী অভুক্ত রাত যাপন করে, সে প্রকৃত মুমিন নয়।’
তিন. প্রতিবেশীর সম্মান রক্ষা করা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের দোষত্রুটি গোপন করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষত্রুটি গোপন করবেন।’
চার. প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা বাবা-মা, নিকটাত্মীয়, এতিম-মিসকিন, প্রতিবেশী, পার্শ্বসঙ্গী, অসহায় পথিক ও দাসদাসীদের সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা নিসা: ৩৬) এ ছাড়া রয়েছে পারস্পরিক সহানুভূতি প্রকাশ, সালাম বিনিময়, দাওয়াতে সাড়া দেওয়া, অসুস্থ হলে খোঁজ নেওয়া, সুখে সুখী হওয়া, দুঃখ লাঘবে এগিয়ে আসা, কেউ মৃত্যুবরণ করলে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা, ঘরের ছাদ প্রতিবেশীর ঘর থেকে উঁচু না করা, পথ সংকীর্ণ না করা, অনর্থক আলাপ দীর্ঘায়িত না করা ইত্যাদি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৫ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫