ইসলাম ডেস্ক
মানুষের সবচেয়ে নিকৃষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো মুনাফিকি তথা দ্বিচারিতা। ইসলামের পরিভাষায় মুখে ইমানের কথা বলে অন্তরে কুফর লালন করাই মুনাফিকি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে মুনাফিকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। মুনাফিকের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
১. তারা দুমুখো স্বভাবের হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তারা মুমিনদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ইমান এনেছি। আবার যখন নিরিবিলি তাদের শয়তানদের (কাফির নেতাদের সঙ্গে) মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই আছি।’ (সুরা বাকারা: ১৪)
২. তারা খুবই ধূর্ত ও প্রতারক হয়। তারা আল্লাহ ও মুমিনদের সঙ্গে প্রতারণা করে। তারা এই কাজকে সফলতা ও বিজয় মনে করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ ও ইমানদারদের তারা ধোঁকা দিতে চায়, আসলে তারা অন্য কাউকে ধোঁকা দিচ্ছে না, বরং নিজেদেরই প্রতারিত করছে, অথচ তাদের সেই অনুভূতি নেই।’ (সুরা বাকারা: ৯)
৩. তাদের বিশ্বাসে সন্দেহ, অস্বীকৃতি ও মিথ্যা থাকার কারণে তাদের অন্তরকে অসুস্থ অন্তর বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের অন্তরে রয়েছে ব্যাধি। এরপর আল্লাহ সেই ব্যাধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের মিথ্যাচারের কারণে। তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা বাকারা: ১০)
৪. তারা ইসলাম ও সামাজিক স্থিতিশীলতার বিরোধিতা করে এবং অশান্তি সৃষ্টি করে। কিন্তু তারা নিজেদের ভ্রষ্টতা ও অজ্ঞতার কারণে তা অনুভব করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সাবধান! এরাই ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, কিন্তু তাদের সেই অনুভূতি নেই।’ (সুরা বাকারা: ১২)
৫. তারা নিজেদের বুদ্ধিমান ও চালাক মনে করে। আর মুমিন ও নেককারদের নির্বোধ ও বোকা বলে মনে করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের বলা হয়—অন্য লোকজনের মতো তোমরাও ইমান আনো, তখন তারা বলে—আমরা কি সেই নির্বোধদের মতো ইমান আনব? আসলে তারাই নির্বোধ, কিন্তু তাদের সেই জ্ঞান নেই।’ (সুরা বাকারা: ১৩)
৬. তারা মিথ্যুক। তারা আল্লাহ ও রাসুল সম্পর্কে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুনাফিকেরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুনাফিকুন: ১)
৭. তারা অহংকারী ও দাম্ভিক। আল্লাহ বলেন, ‘আপনি তাদের দেখবেন যে তারা অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেয়।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৬)
মানুষের সবচেয়ে নিকৃষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো মুনাফিকি তথা দ্বিচারিতা। ইসলামের পরিভাষায় মুখে ইমানের কথা বলে অন্তরে কুফর লালন করাই মুনাফিকি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে মুনাফিকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। মুনাফিকের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
১. তারা দুমুখো স্বভাবের হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তারা মুমিনদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ইমান এনেছি। আবার যখন নিরিবিলি তাদের শয়তানদের (কাফির নেতাদের সঙ্গে) মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই আছি।’ (সুরা বাকারা: ১৪)
২. তারা খুবই ধূর্ত ও প্রতারক হয়। তারা আল্লাহ ও মুমিনদের সঙ্গে প্রতারণা করে। তারা এই কাজকে সফলতা ও বিজয় মনে করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ ও ইমানদারদের তারা ধোঁকা দিতে চায়, আসলে তারা অন্য কাউকে ধোঁকা দিচ্ছে না, বরং নিজেদেরই প্রতারিত করছে, অথচ তাদের সেই অনুভূতি নেই।’ (সুরা বাকারা: ৯)
৩. তাদের বিশ্বাসে সন্দেহ, অস্বীকৃতি ও মিথ্যা থাকার কারণে তাদের অন্তরকে অসুস্থ অন্তর বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের অন্তরে রয়েছে ব্যাধি। এরপর আল্লাহ সেই ব্যাধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের মিথ্যাচারের কারণে। তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা বাকারা: ১০)
৪. তারা ইসলাম ও সামাজিক স্থিতিশীলতার বিরোধিতা করে এবং অশান্তি সৃষ্টি করে। কিন্তু তারা নিজেদের ভ্রষ্টতা ও অজ্ঞতার কারণে তা অনুভব করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সাবধান! এরাই ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, কিন্তু তাদের সেই অনুভূতি নেই।’ (সুরা বাকারা: ১২)
৫. তারা নিজেদের বুদ্ধিমান ও চালাক মনে করে। আর মুমিন ও নেককারদের নির্বোধ ও বোকা বলে মনে করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের বলা হয়—অন্য লোকজনের মতো তোমরাও ইমান আনো, তখন তারা বলে—আমরা কি সেই নির্বোধদের মতো ইমান আনব? আসলে তারাই নির্বোধ, কিন্তু তাদের সেই জ্ঞান নেই।’ (সুরা বাকারা: ১৩)
৬. তারা মিথ্যুক। তারা আল্লাহ ও রাসুল সম্পর্কে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুনাফিকেরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুনাফিকুন: ১)
৭. তারা অহংকারী ও দাম্ভিক। আল্লাহ বলেন, ‘আপনি তাদের দেখবেন যে তারা অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেয়।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৬)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১৮ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১৯ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১৯ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৯ দিন আগে