আমজাদ ইউনুস
কোমলতা ও নম্রতা মানুষের অনন্য গুণ। মুমিনের মাঝে এ গুণ থাকা আবশ্যক ও অপরিহার্য। এ গুণের কারণে মানুষ অন্যের কাছে প্রশংসনীয় হয়। কোমল স্বভাবের লোক সবার কাছে প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন। দ্বীনের প্রচার-প্রসারে কোমলতার অনেক প্রয়োজন রয়েছে। ইসলাম কোমলতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তার সৌন্দর্য ও মর্যাদা তুলে ধরেছে।
মহান আল্লাহ তাআলা কোমল স্বভাবের লোকদের ভালোবাসেন; তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তার মধ্যে কোমলতা ঢেলে দেন।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা নিজে কোমল, তিনি কোমলতা ভালোবাসেন। আর তিনি কোমলতার প্রতি যত অনুগ্রহ করেন, কঠোরতা এবং অন্য কোনো আচরণের প্রতি তত অনুগ্রহ করেন না।’ (মুসলিম)
রাসুল (সা.) কোমল স্বভাবের ছিলেন। তাঁর কোমলতা বিষয়ে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে তুমি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলে; যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর চিত্ত হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা করো এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং কাজকর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
রাসুল (সা.) সব সময় সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে কোমল আচরণ করতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন। কেউ তাঁকে কাঁটার আঘাতে জর্জরিত করলে তাকেও কোমলতার সৌরভে সুবাসিত করতেন। তিনি স্বীয় অনুসারীদের কোমলতা গ্রহণে উৎসাহিত করেছেন এবং কঠোরতা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আয়িশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোমলতাকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও এবং কঠোরতা ও নির্লজ্জতা থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা, যে জিনিসের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা থাকে সে নম্রতা ও কোমলতাই তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কারণ হয়। আর যে জিনিসে কোমলতা থাকে না তা দোষণীয় হয়ে পড়ে।’ (মিশকাত)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোমলতা ও নম্রতা মানুষের অনন্য গুণ। মুমিনের মাঝে এ গুণ থাকা আবশ্যক ও অপরিহার্য। এ গুণের কারণে মানুষ অন্যের কাছে প্রশংসনীয় হয়। কোমল স্বভাবের লোক সবার কাছে প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন। দ্বীনের প্রচার-প্রসারে কোমলতার অনেক প্রয়োজন রয়েছে। ইসলাম কোমলতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তার সৌন্দর্য ও মর্যাদা তুলে ধরেছে।
মহান আল্লাহ তাআলা কোমল স্বভাবের লোকদের ভালোবাসেন; তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তার মধ্যে কোমলতা ঢেলে দেন।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা নিজে কোমল, তিনি কোমলতা ভালোবাসেন। আর তিনি কোমলতার প্রতি যত অনুগ্রহ করেন, কঠোরতা এবং অন্য কোনো আচরণের প্রতি তত অনুগ্রহ করেন না।’ (মুসলিম)
রাসুল (সা.) কোমল স্বভাবের ছিলেন। তাঁর কোমলতা বিষয়ে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে তুমি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলে; যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর চিত্ত হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা করো এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং কাজকর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
রাসুল (সা.) সব সময় সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে কোমল আচরণ করতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন। কেউ তাঁকে কাঁটার আঘাতে জর্জরিত করলে তাকেও কোমলতার সৌরভে সুবাসিত করতেন। তিনি স্বীয় অনুসারীদের কোমলতা গ্রহণে উৎসাহিত করেছেন এবং কঠোরতা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আয়িশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোমলতাকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও এবং কঠোরতা ও নির্লজ্জতা থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা, যে জিনিসের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা থাকে সে নম্রতা ও কোমলতাই তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কারণ হয়। আর যে জিনিসে কোমলতা থাকে না তা দোষণীয় হয়ে পড়ে।’ (মিশকাত)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৫ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৫ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫