ড. মো. শাহজাহান কবীর
ইসলামে মানসিক স্বাস্থ্য আর শারীরিক স্বাস্থ্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল। একজন মানুষের ভালো বা স্বস্তিকর অবস্থা বজায় রাখতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন। পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানসিক স্বস্তি এবং ধৈর্যের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
অতীতকালের বহু মুসলিম চিকিৎসক ও দার্শনিক মানুষের মানসিক রোগ-বালাইয়ের অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তাঁরা এ রোগ নির্ণয় ও নিরসনের উপায় নিয়েও নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
ভয়ের অনুভূতি প্রশমনের জন্য ধর্মীয় উপদেশ বা নীতি মেনে চলা খুবই জরুরি। মুসলমানমাত্রই বিশ্বাস করে, প্রতিটি অসুস্থতা এবং রোগের প্রতিকার অবশ্যই আছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ দেননি, যার কোনো প্রতিষেধক নেই’। (বুখারি) এ হাদিসের মর্মার্থ হলো, ইসলাম চিকিৎসার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা কখনো কোনো জাতির অবস্থার ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)
মানুষ যখন মনের গভীরে মজবুত বিশ্বাস পোষণ করে, আল্লাহ অবশ্যই তার সমস্যা দূর করবেন, তখন তার থেকে সব অনিশ্চয়তা, ভীতি ও উদ্বেগ প্রশমিত হতে শুরু করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি যখন একবার সংকল্প করে নেবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাঁর ওপর নির্ভরশীল মানুষদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
একজন বিশ্বাসী মানুষ জানে, আল্লাহ তাআলা চরম কষ্ট ও দুর্ভোগের পর রেখেছেন প্রশান্তি। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে রয়েছে সুখ। অতএব, যখনই তুমি অবসর পাবে, তখনই কঠোর ইবাদতে রত হও। আর তোমার রবের প্রতি আকৃষ্ট হও।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৮)
ইসলামে মানসিক স্বাস্থ্য আর শারীরিক স্বাস্থ্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল। একজন মানুষের ভালো বা স্বস্তিকর অবস্থা বজায় রাখতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন। পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানসিক স্বস্তি এবং ধৈর্যের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
অতীতকালের বহু মুসলিম চিকিৎসক ও দার্শনিক মানুষের মানসিক রোগ-বালাইয়ের অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তাঁরা এ রোগ নির্ণয় ও নিরসনের উপায় নিয়েও নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
ভয়ের অনুভূতি প্রশমনের জন্য ধর্মীয় উপদেশ বা নীতি মেনে চলা খুবই জরুরি। মুসলমানমাত্রই বিশ্বাস করে, প্রতিটি অসুস্থতা এবং রোগের প্রতিকার অবশ্যই আছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ দেননি, যার কোনো প্রতিষেধক নেই’। (বুখারি) এ হাদিসের মর্মার্থ হলো, ইসলাম চিকিৎসার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা কখনো কোনো জাতির অবস্থার ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)
মানুষ যখন মনের গভীরে মজবুত বিশ্বাস পোষণ করে, আল্লাহ অবশ্যই তার সমস্যা দূর করবেন, তখন তার থেকে সব অনিশ্চয়তা, ভীতি ও উদ্বেগ প্রশমিত হতে শুরু করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি যখন একবার সংকল্প করে নেবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাঁর ওপর নির্ভরশীল মানুষদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
একজন বিশ্বাসী মানুষ জানে, আল্লাহ তাআলা চরম কষ্ট ও দুর্ভোগের পর রেখেছেন প্রশান্তি। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে রয়েছে সুখ। অতএব, যখনই তুমি অবসর পাবে, তখনই কঠোর ইবাদতে রত হও। আর তোমার রবের প্রতি আকৃষ্ট হও।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৮)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২৩ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২৪ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
২৪ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
২৪ দিন আগে