মুফতি খালিদ কাসেমি
মহানবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী। তাঁর চরিত্রের সুষমায় সবাই বিমোহিত হয়েছে। শিশুদের প্রতি ছিল নবীজির গভীর মমত্ববোধ। শিশুদের তিনি খুব ভালোবাসতেন। এ বিষয়ে বহু ঘটনা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) শিশুদের চুমু খেতেন। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার মহানবী (সা.) তাঁর নাতি হাসান (রা.)-কে চুমু খেলেন।
আকরা ইবনে হাবিস (রা.) পাশে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমার ১০টা সন্তান, একজনকেও আমি কখনো চুমু দেইনি।’ নবীজি (সা.) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘নিশ্চয় যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হবে না।’ (বুখারি) শিশুদের মাথায় রাসুল (সা.) হাত বুলিয়ে আদর করতেন। হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) আনসারি সাহাবিদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। আনসারি শিশুরা নবীজির চতুর্দিকে ভিড় করত।
তিনি শিশুদের সালাম দিতেন, মাথায় হাত বুলাতেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতেন। (নাসায়ি) শিশুদের সঙ্গে মহানবী (সা.) রসিকতা করতেন। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) প্রায়ই আমাকে বলতেন, ‘হে দুই কানের অধিকারী।’ বর্ণনাকারী আবু উসামা বলেন, অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে তিনি (এ কথা বলে) রসিকতা করতেন। (তিরমিজি) শিশুদের প্রতি যে দয়া করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের অধিকারের প্রতি লক্ষ করে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আপনারা শিশুদের চুমু দেন, কিন্তু আমরা দেই না।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ যদি তোমার হৃদয় হতে দয়া উঠিয়ে নেন, তবে তোমার ওপর আমার কি কোনো অধিকার আছে?’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী। তাঁর চরিত্রের সুষমায় সবাই বিমোহিত হয়েছে। শিশুদের প্রতি ছিল নবীজির গভীর মমত্ববোধ। শিশুদের তিনি খুব ভালোবাসতেন। এ বিষয়ে বহু ঘটনা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) শিশুদের চুমু খেতেন। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার মহানবী (সা.) তাঁর নাতি হাসান (রা.)-কে চুমু খেলেন।
আকরা ইবনে হাবিস (রা.) পাশে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমার ১০টা সন্তান, একজনকেও আমি কখনো চুমু দেইনি।’ নবীজি (সা.) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘নিশ্চয় যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হবে না।’ (বুখারি) শিশুদের মাথায় রাসুল (সা.) হাত বুলিয়ে আদর করতেন। হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) আনসারি সাহাবিদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। আনসারি শিশুরা নবীজির চতুর্দিকে ভিড় করত।
তিনি শিশুদের সালাম দিতেন, মাথায় হাত বুলাতেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতেন। (নাসায়ি) শিশুদের সঙ্গে মহানবী (সা.) রসিকতা করতেন। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) প্রায়ই আমাকে বলতেন, ‘হে দুই কানের অধিকারী।’ বর্ণনাকারী আবু উসামা বলেন, অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে তিনি (এ কথা বলে) রসিকতা করতেন। (তিরমিজি) শিশুদের প্রতি যে দয়া করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের অধিকারের প্রতি লক্ষ করে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আপনারা শিশুদের চুমু দেন, কিন্তু আমরা দেই না।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ যদি তোমার হৃদয় হতে দয়া উঠিয়ে নেন, তবে তোমার ওপর আমার কি কোনো অধিকার আছে?’ (বুখারি)
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫