মাহমুদ হাসান ফাহিম
পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল। তাই তো ফেরাউনের ধ্বংসের খবরের সঙ্গে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সুসংবাদও এসেছে পবিত্র কোরআনে।
ফেরাউনের ঔদ্ধত্য, মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি এবং তাদের একটি শ্রেণিকে দুর্বল করে রাখা ইত্যাদি নীতির ফলে কোরআনে তাকে ‘অনর্থ সৃষ্টিকারী’ বলা হয়েছে। যাদের সে দুর্বল করে রেখেছিল, আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি অনুগ্রহ করলেন, পৃথিবীর নেতৃত্ব তাদের হাতে দিলেন। একসময়ের প্রতাপশালী ফেরাউন ও হামানরা যা দিয়ে মজলুমদের দুর্বল করে রাখত, পরে সেসব অবস্থা তাদের ভাগ্যেই দেখা দেয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোরআন এক চিরন্তন বিধানের সংবাদ দেয়। ইরশাদ হয়েছে, পৃথিবীটা যেন জাঁকজমক ও শক্তি-প্রতিপত্তি দেখার কেন্দ্রস্থল এবং সেই সঙ্গে দুর্বলদের নিধনের যজ্ঞশালা। শক্তিশালী জাতিগুলো দুর্বল জাতিগুলোকে দাস বানিয়ে রাখে, তাদের ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন দল ও শ্রেণিতে ভাগ করে রেখে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেয় না। কারণ, তারা সংহত হয়ে গেলে আর দুর্বল থাকবে না। ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং জালিমের তখ্ত উল্টে ফেলবে।
আবার এমনও হয়, যখন অত্যাচার ও অহংকার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন পৃথিবীটা শক্তিশালীদের হাত থেকে ছিনিয়ে দুর্বলদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন যে মাটিতে দুর্বলকে বলিদান করা হতো, সেখানে সবলদের নিধনস্থান গড়ে ওঠে। সেদিন ছোটকে বড় এবং বড়কে ছোট করে দেওয়া হয়। যারা দুর্বল, অসহায়, যারা শুধু কান্না, হাহাকার, মাতম ও গড়াগড়ি খাওয়ার লোক, তারাই আল্লাহর অনুগ্রহে ধন্য হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—হে আল্লাহ, সার্বভৌম শক্তির মালিক, আপনি যাকে চান ক্ষমতা দান করেন, আর যার থেকে চান ক্ষমতা কেড়ে নেন। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে চান লাঞ্ছিত করেন। সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। (সুরা আল ইমরান: ২৬)
আল্লাহ তাআলা রাজত্ব দিয়ে কাউকে সম্মানিত করেন, কাউকে করেন পরীক্ষা। যারা ন্যায় ও ইনসাফের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে, এটি তাদের জন্য সম্মানের। আর যারা ক্ষমতাকে নিজের অর্জন মনে করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে, ইতিহাসে রয়েছে তাদের জন্য পরম শিক্ষা।
লেখক: শিক্ষক
পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল। তাই তো ফেরাউনের ধ্বংসের খবরের সঙ্গে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সুসংবাদও এসেছে পবিত্র কোরআনে।
ফেরাউনের ঔদ্ধত্য, মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি এবং তাদের একটি শ্রেণিকে দুর্বল করে রাখা ইত্যাদি নীতির ফলে কোরআনে তাকে ‘অনর্থ সৃষ্টিকারী’ বলা হয়েছে। যাদের সে দুর্বল করে রেখেছিল, আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি অনুগ্রহ করলেন, পৃথিবীর নেতৃত্ব তাদের হাতে দিলেন। একসময়ের প্রতাপশালী ফেরাউন ও হামানরা যা দিয়ে মজলুমদের দুর্বল করে রাখত, পরে সেসব অবস্থা তাদের ভাগ্যেই দেখা দেয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোরআন এক চিরন্তন বিধানের সংবাদ দেয়। ইরশাদ হয়েছে, পৃথিবীটা যেন জাঁকজমক ও শক্তি-প্রতিপত্তি দেখার কেন্দ্রস্থল এবং সেই সঙ্গে দুর্বলদের নিধনের যজ্ঞশালা। শক্তিশালী জাতিগুলো দুর্বল জাতিগুলোকে দাস বানিয়ে রাখে, তাদের ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন দল ও শ্রেণিতে ভাগ করে রেখে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেয় না। কারণ, তারা সংহত হয়ে গেলে আর দুর্বল থাকবে না। ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং জালিমের তখ্ত উল্টে ফেলবে।
আবার এমনও হয়, যখন অত্যাচার ও অহংকার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন পৃথিবীটা শক্তিশালীদের হাত থেকে ছিনিয়ে দুর্বলদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন যে মাটিতে দুর্বলকে বলিদান করা হতো, সেখানে সবলদের নিধনস্থান গড়ে ওঠে। সেদিন ছোটকে বড় এবং বড়কে ছোট করে দেওয়া হয়। যারা দুর্বল, অসহায়, যারা শুধু কান্না, হাহাকার, মাতম ও গড়াগড়ি খাওয়ার লোক, তারাই আল্লাহর অনুগ্রহে ধন্য হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—হে আল্লাহ, সার্বভৌম শক্তির মালিক, আপনি যাকে চান ক্ষমতা দান করেন, আর যার থেকে চান ক্ষমতা কেড়ে নেন। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে চান লাঞ্ছিত করেন। সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। (সুরা আল ইমরান: ২৬)
আল্লাহ তাআলা রাজত্ব দিয়ে কাউকে সম্মানিত করেন, কাউকে করেন পরীক্ষা। যারা ন্যায় ও ইনসাফের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে, এটি তাদের জন্য সম্মানের। আর যারা ক্ষমতাকে নিজের অর্জন মনে করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে, ইতিহাসে রয়েছে তাদের জন্য পরম শিক্ষা।
লেখক: শিক্ষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
১২ আগস্ট ২০২৫পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
১২ আগস্ট ২০২৫ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ আগস্ট ২০২৫আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১১ আগস্ট ২০২৫