হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ তাআলা কর্তৃক জীবনবিধানে যা হালাল, তা সুন্দর ও গ্রহণীয়। আর যা হারাম, তা অসুন্দর ও পরিত্যাজ্য। মানুষকে হালাল উপার্জনের জন্য যেকোনো বৈধ পেশা গ্রহণ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইমানদার পেশাজীবী বান্দাকে পছন্দ করেন।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৮৯৩৪) অন্য হাদিসে তিনি এরশাদ করেছেন, ‘এর চেয়ে উত্তম খাদ্য আর নেই, যা মানুষ নিজ হাতে উপার্জনের মাধ্যমে ক্রয় করে। নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।’ (বুখারি: ২০৭২) অন্যত্র হজরত জাকারিয়া (আ.) সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘জাকারিয়া (আ.) কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৯৪৭)
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হজরত জাকারিয়া (আ.) যখনই কক্ষে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তখনই তাঁর কাছে খাদ্যসামগ্রী দেখতে পেতেন। তিনি বলতেন, ‘হে মারইয়াম, এসব তুমি কোথায় পেলে?’ সে বলত, ‘এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত রিজিক দান করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩৭) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘হে জাকারিয়া, আমি তোমাকে এমন এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া। এই নামে আমি পূর্বে কারও নামকরণ করিনি।’ (সুরা মারইয়াম: ৭) এ ঘটনা দুটি জাকারিয়া (আ.)-এর নিজের জীবনের। তিনি চোখের সামনে দেখেছেন, মারইয়াম (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো উপকরণহীনভাবেই রিজিক পাচ্ছেন এবং তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে সন্তানের বাবা হয়েছেন। তারপরও তিনি হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। নিজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন একটি পেশা। একটি হালাল উপার্জনের পন্থা। আল্লাহর নবী-রাসুল হয়েও নিজের জন্য কাঠমিস্ত্রির পেশাকে বেছে নিতে তাঁর কোনো সমস্যা হয়নি।
অতএব, কোনো হালাল পেশাই ছোট নয়। পেশায় কোনো উঁচু-নিচুর ফারাক নেই, বরং হালাল পেশা নবীগণের সুন্নত। আর শরিয়ত অনুমোদিত সব পেশাই মর্যাদার বিবেচনায় সমান।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ তাআলা কর্তৃক জীবনবিধানে যা হালাল, তা সুন্দর ও গ্রহণীয়। আর যা হারাম, তা অসুন্দর ও পরিত্যাজ্য। মানুষকে হালাল উপার্জনের জন্য যেকোনো বৈধ পেশা গ্রহণ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইমানদার পেশাজীবী বান্দাকে পছন্দ করেন।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৮৯৩৪) অন্য হাদিসে তিনি এরশাদ করেছেন, ‘এর চেয়ে উত্তম খাদ্য আর নেই, যা মানুষ নিজ হাতে উপার্জনের মাধ্যমে ক্রয় করে। নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।’ (বুখারি: ২০৭২) অন্যত্র হজরত জাকারিয়া (আ.) সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘জাকারিয়া (আ.) কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৯৪৭)
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হজরত জাকারিয়া (আ.) যখনই কক্ষে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তখনই তাঁর কাছে খাদ্যসামগ্রী দেখতে পেতেন। তিনি বলতেন, ‘হে মারইয়াম, এসব তুমি কোথায় পেলে?’ সে বলত, ‘এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত রিজিক দান করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩৭) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘হে জাকারিয়া, আমি তোমাকে এমন এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া। এই নামে আমি পূর্বে কারও নামকরণ করিনি।’ (সুরা মারইয়াম: ৭) এ ঘটনা দুটি জাকারিয়া (আ.)-এর নিজের জীবনের। তিনি চোখের সামনে দেখেছেন, মারইয়াম (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো উপকরণহীনভাবেই রিজিক পাচ্ছেন এবং তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে সন্তানের বাবা হয়েছেন। তারপরও তিনি হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। নিজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন একটি পেশা। একটি হালাল উপার্জনের পন্থা। আল্লাহর নবী-রাসুল হয়েও নিজের জন্য কাঠমিস্ত্রির পেশাকে বেছে নিতে তাঁর কোনো সমস্যা হয়নি।
অতএব, কোনো হালাল পেশাই ছোট নয়। পেশায় কোনো উঁচু-নিচুর ফারাক নেই, বরং হালাল পেশা নবীগণের সুন্নত। আর শরিয়ত অনুমোদিত সব পেশাই মর্যাদার বিবেচনায় সমান।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে যখন পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, তখন ইসলামি শিক্ষার প্রচলন...
২২ দিন আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
২২ দিন আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
২৩ দিন আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
২৩ দিন আগে