গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন। গত শুক্রবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন। এ বিষয়ে ইসরায়েলের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের সরবরাহ করা অস্ত্রের অপব্যবহার করে থাকতে পারে ইসরায়েল। প্রতিবেদনটি কংগ্রেসে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সম্পূর্ণ তথ্য না থাকায় ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আপাতত বন্ধ করছে না যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্রগুলো ইসরায়েলসহ অন্য ছয়টি দেশ কীভাবে ব্যবহার করেছে, তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গাজায় ইসরায়েলের কিছু অভিযানের বিষয়ে স্পষ্টভাবে সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মানবতাবিবর্জিত কিছু হামলায় এসব অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
তবে হামাসকে মোকাবিলা করার জন্য ইসরায়েলের ‘উন্নত সামরিক সক্ষমতার’ প্রয়োজন রয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আইন মেনে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েল আশ্বাস দিয়েছিল।
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হামাস সামরিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক অবকাঠামো ও বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তাই সক্রিয় যুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েলের বৈধ লক্ষ্যবস্তুগুলো নির্ধারণ করা কঠিন ছিল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন অস্ত্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ইসরায়েল। তাঁদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সম্পর্কে জানার কথা। বেসামরিক ক্ষতি কমানোর সর্বোত্তম চেষ্টাও হয়তো করেছিল। তবে গাজায় অসংখ্য বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহতের কারণে ওই আইন মেনে যথাযথভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েলকে বারবার অনুরোধ করে আসছে জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে এসব সংস্থার মতামতও নেওয়া হয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েল যে চেষ্টা করেছিল তা ‘অসংগত, অকার্যকর ও অপর্যাপ্ত’।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধান বলছে, গত বছর সংঘাত শুরুর পর প্রথম কয়েক মাস গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে বর্তমানে এই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
অন্যদের সঙ্গে প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন তুরস্কে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্যাটারফিল্ড। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনার আওতায় আসতে যাচ্ছে। আমরা পর্যালোচনার ফলাফল খুব খোলামেলা এবং বিশ্বাসযোগ্য করতে চাইছি। তাই সব দিকই বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় অভিযান চালানোর ব্যাপারে শক্ত মনোভাব ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার পূর্ব রাফাহ এবং উত্তর গাজা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন ইসরায়েলি সেনারা।
গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন। গত শুক্রবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন। এ বিষয়ে ইসরায়েলের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের সরবরাহ করা অস্ত্রের অপব্যবহার করে থাকতে পারে ইসরায়েল। প্রতিবেদনটি কংগ্রেসে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সম্পূর্ণ তথ্য না থাকায় ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আপাতত বন্ধ করছে না যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্রগুলো ইসরায়েলসহ অন্য ছয়টি দেশ কীভাবে ব্যবহার করেছে, তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গাজায় ইসরায়েলের কিছু অভিযানের বিষয়ে স্পষ্টভাবে সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মানবতাবিবর্জিত কিছু হামলায় এসব অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
তবে হামাসকে মোকাবিলা করার জন্য ইসরায়েলের ‘উন্নত সামরিক সক্ষমতার’ প্রয়োজন রয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আইন মেনে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েল আশ্বাস দিয়েছিল।
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হামাস সামরিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক অবকাঠামো ও বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তাই সক্রিয় যুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েলের বৈধ লক্ষ্যবস্তুগুলো নির্ধারণ করা কঠিন ছিল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন অস্ত্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ইসরায়েল। তাঁদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সম্পর্কে জানার কথা। বেসামরিক ক্ষতি কমানোর সর্বোত্তম চেষ্টাও হয়তো করেছিল। তবে গাজায় অসংখ্য বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহতের কারণে ওই আইন মেনে যথাযথভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েলকে বারবার অনুরোধ করে আসছে জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে এসব সংস্থার মতামতও নেওয়া হয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েল যে চেষ্টা করেছিল তা ‘অসংগত, অকার্যকর ও অপর্যাপ্ত’।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধান বলছে, গত বছর সংঘাত শুরুর পর প্রথম কয়েক মাস গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে বর্তমানে এই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
অন্যদের সঙ্গে প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন তুরস্কে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্যাটারফিল্ড। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনার আওতায় আসতে যাচ্ছে। আমরা পর্যালোচনার ফলাফল খুব খোলামেলা এবং বিশ্বাসযোগ্য করতে চাইছি। তাই সব দিকই বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় অভিযান চালানোর ব্যাপারে শক্ত মনোভাব ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার পূর্ব রাফাহ এবং উত্তর গাজা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন ইসরায়েলি সেনারা।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫