প্রায় অর্ধেক কর্মজীবী নারী দিনের বেশিরভাগ সময় কর্মক্ষেত্রে চাপ অনুভব করেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা ও পরামর্শদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ। ২০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন জরিপ করে, গত বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করে গ্যালাপ। এই সংখ্যা পুরুষদের ক্ষেত্রে চার জনের মধ্যে একজন।
গ্যালাপের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ এবং পরিবারের মধ্যে নারীর চাহিদা এই সমস্যার বড় কারণ। মা ও অভিভাবকের বয়সী এই কর্মজীবী নারীরা জানান, অনেকেই ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে পদোন্নতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেউ কেউ পদোন্নতি পেলেও, নিতে দেরি করেছেন। এছাড়া অধিকাংশ কর্মজীবী নারী স্বীকার করেছেন, হঠাৎ শিশু পরিচর্যার প্রয়োজন হলে সাধারণত মায়েরাই প্রথম সাড়া দেন।
গ্যালাপের গবেষণায় অংশ নেওয়া মোট নারীর মধ্যে ১৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা দিনে একাধিকবার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দায়িত্বের মুখোমুখি হন। অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যা ১১ শতাংশ।
গ্যালাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলানা রন লেভি বলেছেন, ‘নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সফল হতে সাহায্য করার জন্য প্রচুর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে আমরা নারীদের মধ্যে রেকর্ড পর্যায়ের মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং কর্মক্ষেত্রের ক্লান্তি দেখছি।’
তবে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস সামিটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কারেন গুগেনহাইম জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে প্রচলিত সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং নারীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিলেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘কেন আমাদের বেছে নিতে হবে? কেন আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করছি, যেখানে মানুষকে সেরা মা, সঙ্গী, বন্ধু বা মেয়ে হওয়ার পাশাপাশি কাজেও সফল হওয়াদের বেছে নিতে হবে? নারীদের কল্যাণে বিনিয়োগ শুধু ব্যবসার জন্য ভালো নয়, এটি একটি সামাজিক অগ্রগতির রূপরেখা।’
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিশুর পরিচর্যা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কর্মজীবী মায়েরা কর্মজীবী বাবাদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশী সময় কমিয়ে আনার কথা ভাবেন বা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে দেশব্যাপী শিশু পরিচর্যার সংকট আরও স্পষ্ট হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, পরিবারে শিশুর পরিচর্যা এই দেশে থাকা ‘অত্যাবশ্যক’। তিনি আমদানি পণ্যের উপর উচ্চ হারে কর আরোপ করে শিশুর পরিচর্যা সংস্কারের খরচ মেটানোর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত জেডি ভ্যান্স বাইডেন প্রসাশনের সমলোচনা করে বলেছেন, ‘শিশু পরিচর্যার অত্যধিক ব্যয়—কিছু পরিবারের জন্য বাড়ি ভাড়ার থেকেও বেশি হতে পারে। অথচ আমাদের আগের প্রসাশন শিশুদের কেয়ার সেন্টারে রাখতে প্ররোচিত করেছে।’
গবেষকরা বলছেন, যদি কর্মজীবী নারীদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সুষম ভারসাম্য বজায় রাখা হয় তাহলে তারা কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সম্পৃক্ত হবেন এবং নতুন চাকরির খোঁজ করবেন না।
প্রায় অর্ধেক কর্মজীবী নারী দিনের বেশিরভাগ সময় কর্মক্ষেত্রে চাপ অনুভব করেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা ও পরামর্শদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ। ২০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে চারটি ভিন্ন ভিন্ন জরিপ করে, গত বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করে গ্যালাপ। এই সংখ্যা পুরুষদের ক্ষেত্রে চার জনের মধ্যে একজন।
গ্যালাপের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ এবং পরিবারের মধ্যে নারীর চাহিদা এই সমস্যার বড় কারণ। মা ও অভিভাবকের বয়সী এই কর্মজীবী নারীরা জানান, অনেকেই ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে পদোন্নতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেউ কেউ পদোন্নতি পেলেও, নিতে দেরি করেছেন। এছাড়া অধিকাংশ কর্মজীবী নারী স্বীকার করেছেন, হঠাৎ শিশু পরিচর্যার প্রয়োজন হলে সাধারণত মায়েরাই প্রথম সাড়া দেন।
গ্যালাপের গবেষণায় অংশ নেওয়া মোট নারীর মধ্যে ১৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা দিনে একাধিকবার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দায়িত্বের মুখোমুখি হন। অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যা ১১ শতাংশ।
গ্যালাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলানা রন লেভি বলেছেন, ‘নারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সফল হতে সাহায্য করার জন্য প্রচুর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে আমরা নারীদের মধ্যে রেকর্ড পর্যায়ের মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং কর্মক্ষেত্রের ক্লান্তি দেখছি।’
তবে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস সামিটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কারেন গুগেনহাইম জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে প্রচলিত সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং নারীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিলেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘কেন আমাদের বেছে নিতে হবে? কেন আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করছি, যেখানে মানুষকে সেরা মা, সঙ্গী, বন্ধু বা মেয়ে হওয়ার পাশাপাশি কাজেও সফল হওয়াদের বেছে নিতে হবে? নারীদের কল্যাণে বিনিয়োগ শুধু ব্যবসার জন্য ভালো নয়, এটি একটি সামাজিক অগ্রগতির রূপরেখা।’
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিশুর পরিচর্যা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কর্মজীবী মায়েরা কর্মজীবী বাবাদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশী সময় কমিয়ে আনার কথা ভাবেন বা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে দেশব্যাপী শিশু পরিচর্যার সংকট আরও স্পষ্ট হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, পরিবারে শিশুর পরিচর্যা এই দেশে থাকা ‘অত্যাবশ্যক’। তিনি আমদানি পণ্যের উপর উচ্চ হারে কর আরোপ করে শিশুর পরিচর্যা সংস্কারের খরচ মেটানোর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত জেডি ভ্যান্স বাইডেন প্রসাশনের সমলোচনা করে বলেছেন, ‘শিশু পরিচর্যার অত্যধিক ব্যয়—কিছু পরিবারের জন্য বাড়ি ভাড়ার থেকেও বেশি হতে পারে। অথচ আমাদের আগের প্রসাশন শিশুদের কেয়ার সেন্টারে রাখতে প্ররোচিত করেছে।’
গবেষকরা বলছেন, যদি কর্মজীবী নারীদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সুষম ভারসাম্য বজায় রাখা হয় তাহলে তারা কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সম্পৃক্ত হবেন এবং নতুন চাকরির খোঁজ করবেন না।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫