পাকিস্তানের রাজনীতিতে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। সর্বশেষ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কর্তৃক বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়টিও বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে পার্লামেন্ট আবারও পুনর্বহাল হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল আবারও বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে ইমরান খানকে। কেবল অনাস্থা ভোট নয়, আরও একগাদা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে দেশটিতে।
যা ঘটতে যাচ্ছে পাকিস্তানে:
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের অধিবেশন ডাকতে হবে স্পিকারকে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, ‘চলতি অধিবেশনেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন ডাকা স্পিকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এবং তিনি অবিলম্বে যেকোনো সময় অধিবেশন ডাকতে পারবেন, তবে তা কোনোভাবেই শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পরও যাবে না। ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিংবা কোনো ছুটি থাকলে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন কোনোভাবেই স্থগিত করা যাবে না।
আজ শুক্রবার যেকোনো সময় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকারের নির্দেশনা অনুসারে সংশ্লিষ্ট সচিবালয় শনিবার অধিবেশন আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ জারি করবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আদেশ জারি করা হয়নি।
এর আগে, ইমরান খান ও তাঁর জোটের বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গত ৭ মার্চ দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সচিবালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। পরে যাচাইবাছাই শেষে স্পিকার তা পার্লামেন্টে পেশ করেন ২৫ মার্চ। নিয়ম অনুসারে, স্পিকার ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রস্তাবটি ভোটে দিতে বাধ্য ছিলেন।
সেই মোতাবেক ৩ এপ্রিল দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আলোচ্যসূচির চারটি বিষয়বস্তুর একটি ছিল—২৮ মার্চ বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরীফ কর্তৃক প্রেরিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবের ওপর ভোটদান: ‘সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের ধারা (১)-এর অধীনে এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের এই হাউস সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রধানমন্ত্রী জনাব ইমরান খানের প্রতি এটির (সদস্যদের) আস্থা নেই এবং এ কারণে একই অনুচ্ছেদের ধারা (৪) এর অধীনে তাঁর পদে কার্য থেকে বিরত রাখা উচিত।’
মজার বিষয় হলো, ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ৩ এপ্রিলের অধিবেশন স্থগিত করার পর বিরোধীরা নিজেরাই অধিবেশনটি পরিচালনা করে এবং সেখানে তারা আয়াজ সাদিককে হাউসের স্পিকার নির্বাচিত করে এবং ১৯৭ ভোটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করে।
যেহেতু বিরোধী দল হাউসের স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, সে ক্ষেত্রে তিনি শনিবারের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও দ্বিমত দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, স্পিকার আসাদ কায়সার শনিবার সংসদে সভাপতিত্ব করতে পারেন। তাঁরা দেশটির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৩ (৪)-এর কথা উল্লেখ করছেন, যেখানে লেখা আছে, ‘স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে যখন তাঁর পদ থেকে অপসারণের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে, কেবল তখনই তিনি হাউসের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন না।’
পাকিস্তানের রাজনীতিতে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। সর্বশেষ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কর্তৃক বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়টিও বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে পার্লামেন্ট আবারও পুনর্বহাল হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল আবারও বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে ইমরান খানকে। কেবল অনাস্থা ভোট নয়, আরও একগাদা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে দেশটিতে।
যা ঘটতে যাচ্ছে পাকিস্তানে:
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের অধিবেশন ডাকতে হবে স্পিকারকে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, ‘চলতি অধিবেশনেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন ডাকা স্পিকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এবং তিনি অবিলম্বে যেকোনো সময় অধিবেশন ডাকতে পারবেন, তবে তা কোনোভাবেই শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পরও যাবে না। ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিংবা কোনো ছুটি থাকলে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন কোনোভাবেই স্থগিত করা যাবে না।
আজ শুক্রবার যেকোনো সময় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকারের নির্দেশনা অনুসারে সংশ্লিষ্ট সচিবালয় শনিবার অধিবেশন আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ জারি করবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আদেশ জারি করা হয়নি।
এর আগে, ইমরান খান ও তাঁর জোটের বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গত ৭ মার্চ দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সচিবালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। পরে যাচাইবাছাই শেষে স্পিকার তা পার্লামেন্টে পেশ করেন ২৫ মার্চ। নিয়ম অনুসারে, স্পিকার ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রস্তাবটি ভোটে দিতে বাধ্য ছিলেন।
সেই মোতাবেক ৩ এপ্রিল দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আলোচ্যসূচির চারটি বিষয়বস্তুর একটি ছিল—২৮ মার্চ বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরীফ কর্তৃক প্রেরিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবের ওপর ভোটদান: ‘সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের ধারা (১)-এর অধীনে এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের এই হাউস সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রধানমন্ত্রী জনাব ইমরান খানের প্রতি এটির (সদস্যদের) আস্থা নেই এবং এ কারণে একই অনুচ্ছেদের ধারা (৪) এর অধীনে তাঁর পদে কার্য থেকে বিরত রাখা উচিত।’
মজার বিষয় হলো, ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ৩ এপ্রিলের অধিবেশন স্থগিত করার পর বিরোধীরা নিজেরাই অধিবেশনটি পরিচালনা করে এবং সেখানে তারা আয়াজ সাদিককে হাউসের স্পিকার নির্বাচিত করে এবং ১৯৭ ভোটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করে।
যেহেতু বিরোধী দল হাউসের স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, সে ক্ষেত্রে তিনি শনিবারের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও দ্বিমত দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, স্পিকার আসাদ কায়সার শনিবার সংসদে সভাপতিত্ব করতে পারেন। তাঁরা দেশটির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৩ (৪)-এর কথা উল্লেখ করছেন, যেখানে লেখা আছে, ‘স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে যখন তাঁর পদ থেকে অপসারণের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে, কেবল তখনই তিনি হাউসের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন না।’
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২৫ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২৫ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২৫ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২৫ দিন আগে