Ajker Patrika

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রতিটি সেকেন্ড মৃত্যুঝুঁকিতে কাটাচ্ছেন সাংবাদিকেরা

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ২৬
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রতিটি সেকেন্ড মৃত্যুঝুঁকিতে কাটাচ্ছেন সাংবাদিকেরা

‘ফিলিস্তিনের গাজায় যেখানে গণহত্যা চালানো হয়েছে কিংবা বোমাবর্ষণ হয়েছে, খবর সংগ্রহে সেখানে যেতে আমরা ভয় পাই। কারণ, একই স্থানে আবারও হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। প্রতিটি মুহূর্ত বিপদের। সাইদ আল-তাওয়েল, মোহাম্মদ সুব ও হিশাম আলনওয়াজার মতো আমাদের সহকর্মীরা তাঁদের জীবন দিয়ে এই মূল্য চুকিয়েছে।’ গাজা উপত্যকার একটি সাইবার ক্যাফেতে বসে এসব কথা বলছিলেন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক রাকান আবদেল রহমান।

তিনি ওই ক্যাফেতে বসেই তাঁর প্রতিবেদন লেখা কিংবা ছবি ও ভিডিও পাঠানোর কাজ করেন। এ সময় তাঁর পরনে ‘প্রেস’ লেখা একটি ভেস্ট দেখা যায়। তিনি জানান, যেকোনো মুহূর্তে আবার তাঁকে ঘটনাস্থলে যেতে হতে পারে। তাই এই প্রস্তুতি। ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলা ও অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় ইন্টারনেট ও বিদ্যুতের সুবিধা নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তথ্য পাঠানো সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। আবদেল রহমান বলেন, ‘বাজে ইন্টারনেট সংযোগ এবং বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে আমরা রিয়েল টাইমে রিপোর্ট করতে পারি না। এমনকি রিপোর্ট করার মতো উপযুক্ত কোনো জায়গাও নেই এখানে। অনেক সময় প্রেস ভেস্ট ও হেলমেট পরা সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরায়েলি বাহিনী।’

 কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় অন্তত ১১ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইদ আল-তাওয়েল, মোহাম্মদ সুব ও হিশাম আলনওয়াজার নামের ওই তিন সাংবাদিক ১০ অক্টোবর ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন। ওই দিন গাজায় বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হওয়া একটি ভবনের ছবি তুলছিলেন তাঁরা। ওই ভবন থেকে সাংবাদিকেরা প্রায় ১০০ মিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করে সাংবাদিকদের কাছাকাছি একটি ভবনে হামলা চালায়। এতে ওই তিন সাংবাদিক নিহত হন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত