বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে সিরিয়ার কার্যত নতুন নেতা এখন আহমেদ আল-শারআ (আবু মোহাম্মদ আল–জোলানি নামেও পরিচিত)। তিনি দাবি করেছেন, সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
সৌদি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আশারক আল-আওসাতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন জোলানি।
সুন্নি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত আল-তাহরির আশ-শামের এই নেতা বলেন, ‘সিরিয়ার বিদ্রোহী পক্ষ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি প্রকল্পকে ৪০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।’ জোলানির বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার যে, ইরানের প্রতি সিরিয়ার অবস্থান এখন পুরোপুরি বদলে গেছে।
জোলানি আরও বলেন, ‘আমরা এখন রাষ্ট্র গঠনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। সিরিয়া আর কখনোই আরব বা উপসাগরীয় কোনো দেশের জন্য হুমকি বা অস্থিতিশীলতার প্ল্যাটফর্ম হবে না।’
বাশার আল-আসাদের শাসনামলে সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব এবং এর মাধ্যমে আরব অঞ্চল অস্থিতিশীল করার প্রবণতাকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন জোলানি। তিনি উল্লেখ করেন—সিরিয়া আর কখনোই এমন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে না। বিশেষ করে, সিরিয়া থেকে আরব দেশগুলোর রাজধানীগুলোতে ইরানের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, সংঘাত উসকে দেওয়া এবং ক্যাপ্টাগনের মতো মাদক পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ইরানি মিলিশিয়াদের সরিয়ে দিয়ে এবং সিরিয়াকে ইরানি প্রভাব থেকে মুক্ত করে আমরা অঞ্চলটির স্বার্থ রক্ষা করেছি—যা কূটনীতি বা বাহ্যিক চাপেও সম্ভব হয়নি।’
ইরানের ইসলামি সরকার সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে বিপর্যস্ত। ২০১১ সালে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ইরান তাঁকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি সিরিয়ায় মিত্র শাসকের পতন এবং লেবাননে সহযোগী হিজবুল্লাহর পরাজয় ইরানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
জোলানি দাবি করেছেন, আসাদের সরকার ইরানের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল ছিল। আরব ঐক্যের জন্য এটি ছিল অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন—জর্ডানের কর্মকর্তারা একবার সিরিয়ার সরকারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তারা জর্ডানে ক্যাপ্টাগন পাচার বন্ধ করছে না। উত্তরে বলা হয়েছিল, ‘পর্যাপ্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ হবে না।’
জোলানি বর্তমানে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-কে একটি উন্নয়ন মডেল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এমনটি সিরিয়াও অনুসরণ করতে চায়।
লেবাননের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আর কখনোই হস্তক্ষেপ করবে না এবং নিজ দেশের চ্যালেঞ্জগুলোর দিকেই মনোযোগ দেবে।’
দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে সবার মতামতকে স্বীকার করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির প্রয়োজন বলেও মনে করেন জোলানি। তিনি আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং জাতীয় ঐক্য গড়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার নতুন প্রশাসন আরব বিশ্বের একজন বিশ্বস্ত সদস্য হিসেবে নিজের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চায় এবং কোনো বহিরাগত এজেন্ডার অংশ হতে চায় না।’
বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে সিরিয়ার কার্যত নতুন নেতা এখন আহমেদ আল-শারআ (আবু মোহাম্মদ আল–জোলানি নামেও পরিচিত)। তিনি দাবি করেছেন, সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
সৌদি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আশারক আল-আওসাতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন জোলানি।
সুন্নি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত আল-তাহরির আশ-শামের এই নেতা বলেন, ‘সিরিয়ার বিদ্রোহী পক্ষ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি প্রকল্পকে ৪০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।’ জোলানির বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার যে, ইরানের প্রতি সিরিয়ার অবস্থান এখন পুরোপুরি বদলে গেছে।
জোলানি আরও বলেন, ‘আমরা এখন রাষ্ট্র গঠনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। সিরিয়া আর কখনোই আরব বা উপসাগরীয় কোনো দেশের জন্য হুমকি বা অস্থিতিশীলতার প্ল্যাটফর্ম হবে না।’
বাশার আল-আসাদের শাসনামলে সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব এবং এর মাধ্যমে আরব অঞ্চল অস্থিতিশীল করার প্রবণতাকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন জোলানি। তিনি উল্লেখ করেন—সিরিয়া আর কখনোই এমন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে না। বিশেষ করে, সিরিয়া থেকে আরব দেশগুলোর রাজধানীগুলোতে ইরানের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, সংঘাত উসকে দেওয়া এবং ক্যাপ্টাগনের মতো মাদক পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ইরানি মিলিশিয়াদের সরিয়ে দিয়ে এবং সিরিয়াকে ইরানি প্রভাব থেকে মুক্ত করে আমরা অঞ্চলটির স্বার্থ রক্ষা করেছি—যা কূটনীতি বা বাহ্যিক চাপেও সম্ভব হয়নি।’
ইরানের ইসলামি সরকার সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে বিপর্যস্ত। ২০১১ সালে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ইরান তাঁকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি সিরিয়ায় মিত্র শাসকের পতন এবং লেবাননে সহযোগী হিজবুল্লাহর পরাজয় ইরানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
জোলানি দাবি করেছেন, আসাদের সরকার ইরানের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল ছিল। আরব ঐক্যের জন্য এটি ছিল অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন—জর্ডানের কর্মকর্তারা একবার সিরিয়ার সরকারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তারা জর্ডানে ক্যাপ্টাগন পাচার বন্ধ করছে না। উত্তরে বলা হয়েছিল, ‘পর্যাপ্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ হবে না।’
জোলানি বর্তমানে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-কে একটি উন্নয়ন মডেল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এমনটি সিরিয়াও অনুসরণ করতে চায়।
লেবাননের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আর কখনোই হস্তক্ষেপ করবে না এবং নিজ দেশের চ্যালেঞ্জগুলোর দিকেই মনোযোগ দেবে।’
দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে সবার মতামতকে স্বীকার করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির প্রয়োজন বলেও মনে করেন জোলানি। তিনি আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং জাতীয় ঐক্য গড়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার নতুন প্রশাসন আরব বিশ্বের একজন বিশ্বস্ত সদস্য হিসেবে নিজের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চায় এবং কোনো বহিরাগত এজেন্ডার অংশ হতে চায় না।’
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫