নতুন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানকে ধ্বংস করবেন এবং গাজায় হামাসের অবশিষ্ট শক্তিকেও চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের ফাতাহ পার্টির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। গত ১৯ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাতাহ পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ হামদান এমন মন্তব্য করেছেন।
গাজায় প্রায় ১ বছর ৩ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর হামলায় বিপর্যস্ত হামাস। কিন্তু পশ্চিম তীরের এই সশস্ত্র বাহিনীটি ফাতাহ পার্টি দ্বারা পরিচালিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বরের শুরুর দিকে কিছু বন্দুকধারী পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের শরণার্থীশিবির থেকে দুটি সরকারি গাড়ি চুরি করেছিল। পরে তারা এসব গাড়িতে হামাস ও আইএসের পতাকা উড়িয়ে রাস্তায় প্রদর্শন করে। অন্যদিকে এসব শরণার্থীশিবিরে কঠোর নিরাপত্তা থাকার পরও নিজেদের সম্পদ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
হামাস ও অন্যান্য ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, ফিলিস্তিন শাসন করা মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ পার্টির সঙ্গে পশ্চিমা দেশ—বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সখ্যতা আছে। আর এ কারণেই ফাতাহ পার্টিকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে হামাস ও অন্যান্য ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
ফাতাহ পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ হামদান দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘আমরা হামাসকে মোকাবিলা করতে চাচ্ছি। কিন্তু তাদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। এর কারণ ফিলিস্তিনের বাইরেও হামাসের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পৃক্ততা আছে। যা তাদের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’ এ সময় তিনি ইরানের দিকে ইঙ্গিত করেন।
তবে হামদান আশা করেন, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসলে হামাস ও অন্যান্য জিহাদিদের পরাজয় হবে।
হামদান বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ট্রাম্প ও ইসরায়েল ইরানকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে। ফলে হামাস (সমর্থকেরা) একদিন বিকল্প না পেয়ে আবারও ফিলিস্তিনি হয়ে উঠবে।’
ফাতাহ পার্টির এই নেতা জানান, ডিসেম্বরের ৬ তারিখ জেনিনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হামাসের তিন চরমপন্থী যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এরপর কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সব চরমপন্থী যোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করে জেনিন থেকে হামাসকে নির্মূল করা হবে।
২০০৬ সালের নির্বাচনে ফাতাহ পার্টিকে পরাজিত করে গাজার পশ্চিম তীরের ক্ষমতা দখল করেছিল হামাস। কিন্তু ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উপর্যুপরি আক্রমণের কারণে আরও সশস্ত্র হয়ে ওঠে গোষ্ঠীটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাস সদস্যরা সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা এবং আড়াই শ জনকে জিম্মি করলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
হামদান বলেন, ‘হামাস আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ও জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্ব এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারে না।’
এদিকে গাজার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি গড়ারও নিন্দা জানিয়েছেন হামদান। তিনি বলেন, ‘গাজার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারি ও জোর করে বসতি স্থাপন আমরা মেনে নিতে পারি না।’
হামদান আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আমেরিকার সঙ্গে এমন একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে চান যেন ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষা অর্জিত হয়।’
তবে তিনি মার্কিন নীতির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি অভিযোগ করেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক চরমপন্থার উত্থানের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিই দায়ী।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করে, মধ্যপ্রাচ্যের চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীগুলোর বেশির ভাগই আমেরিকায় সৃষ্টি হয়।’
নতুন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানকে ধ্বংস করবেন এবং গাজায় হামাসের অবশিষ্ট শক্তিকেও চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের ফাতাহ পার্টির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। গত ১৯ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাতাহ পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ হামদান এমন মন্তব্য করেছেন।
গাজায় প্রায় ১ বছর ৩ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর হামলায় বিপর্যস্ত হামাস। কিন্তু পশ্চিম তীরের এই সশস্ত্র বাহিনীটি ফাতাহ পার্টি দ্বারা পরিচালিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বরের শুরুর দিকে কিছু বন্দুকধারী পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের শরণার্থীশিবির থেকে দুটি সরকারি গাড়ি চুরি করেছিল। পরে তারা এসব গাড়িতে হামাস ও আইএসের পতাকা উড়িয়ে রাস্তায় প্রদর্শন করে। অন্যদিকে এসব শরণার্থীশিবিরে কঠোর নিরাপত্তা থাকার পরও নিজেদের সম্পদ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
হামাস ও অন্যান্য ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, ফিলিস্তিন শাসন করা মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ পার্টির সঙ্গে পশ্চিমা দেশ—বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সখ্যতা আছে। আর এ কারণেই ফাতাহ পার্টিকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে হামাস ও অন্যান্য ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
ফাতাহ পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ হামদান দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘আমরা হামাসকে মোকাবিলা করতে চাচ্ছি। কিন্তু তাদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। এর কারণ ফিলিস্তিনের বাইরেও হামাসের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পৃক্ততা আছে। যা তাদের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’ এ সময় তিনি ইরানের দিকে ইঙ্গিত করেন।
তবে হামদান আশা করেন, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসলে হামাস ও অন্যান্য জিহাদিদের পরাজয় হবে।
হামদান বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ট্রাম্প ও ইসরায়েল ইরানকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে। ফলে হামাস (সমর্থকেরা) একদিন বিকল্প না পেয়ে আবারও ফিলিস্তিনি হয়ে উঠবে।’
ফাতাহ পার্টির এই নেতা জানান, ডিসেম্বরের ৬ তারিখ জেনিনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হামাসের তিন চরমপন্থী যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এরপর কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সব চরমপন্থী যোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করে জেনিন থেকে হামাসকে নির্মূল করা হবে।
২০০৬ সালের নির্বাচনে ফাতাহ পার্টিকে পরাজিত করে গাজার পশ্চিম তীরের ক্ষমতা দখল করেছিল হামাস। কিন্তু ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উপর্যুপরি আক্রমণের কারণে আরও সশস্ত্র হয়ে ওঠে গোষ্ঠীটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাস সদস্যরা সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা এবং আড়াই শ জনকে জিম্মি করলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
হামদান বলেন, ‘হামাস আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ও জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্ব এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারে না।’
এদিকে গাজার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি গড়ারও নিন্দা জানিয়েছেন হামদান। তিনি বলেন, ‘গাজার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারি ও জোর করে বসতি স্থাপন আমরা মেনে নিতে পারি না।’
হামদান আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আমেরিকার সঙ্গে এমন একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে চান যেন ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষা অর্জিত হয়।’
তবে তিনি মার্কিন নীতির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি অভিযোগ করেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক চরমপন্থার উত্থানের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিই দায়ী।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করে, মধ্যপ্রাচ্যের চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীগুলোর বেশির ভাগই আমেরিকায় সৃষ্টি হয়।’
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫