ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যদি দেশে বর্তমান শাসন কাঠামোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চান, তবে তাঁকে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের ওপর জারি করা ফতোয়া প্রত্যাহার করতে হবে। এমনটাই দাবি করেছেন দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডারেরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তথা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নেতারা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের ‘অস্তিত্বের হুমকি’ মোকাবিলা করতে হলে ইরানের অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার তাঁদের আগের অবস্থান বদলেছেন এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
ইরানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘আমরা কখনোই এতটা দুর্বল ছিলাম না, এবং এটি হয়তো আমাদের শেষ সুযোগ একটি (পারমাণবিক অস্ত্র) পাওয়ার। এখন না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।’
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ফতোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে অনুমান করা হয়, ২০০৩ সালে প্রথম এই ফতোয়া দেওয়া হয়। মৌখিক ওই ফতোয়ায় খামেনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, এ ধরনের অস্ত্র ইসলাম অনুযায়ী ‘সম্পূর্ণ হারাম’ বা নিষিদ্ধ।
কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তার মতে, দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ঠেকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এই ফতোয়াই একমাত্র বাধা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের নির্বাসিত অনেক বিরুদ্ধ মতাবলম্বীরা দাবি করেছেন যে, ইরান গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অপর এক ইরানি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য টেলিগ্রাফকে তেহরান থেকে জানিয়েছেন, ‘নেতা (খামেনি) আমেরিকানদের সঙ্গে আলোচনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিও নিষিদ্ধ করেছেন, যা তাঁর কাছে (বর্তমান শাসন কাঠামো টিকিয়ে রাখার) একমাত্র পথ হতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি মূলক শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছি, কিন্তু এখন এটি অর্জনের জন্য চাপ এবং যুক্তি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বর্তমান অস্তিত্বের হুমকি আমাদের এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, এত দিন সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ মেনে চলা অনেক শীর্ষ কমান্ডারই এখন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পক্ষে মত দিচ্ছেন।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কট্টরপন্থী রাজনীতিকদের পক্ষ থেকে খামেনির ওপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর বেশ কয়েকজন ইরানি এমপি দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে পারমাণবিক নীতি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
একজন সংসদ সদস্য বলেন, খামেনির ফতোয়া এখনো বহাল রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামে পরিস্থিতি ও সময়ের ওপর ভিত্তি করে ধর্মীয় রায় পরিবর্তন করা যায়। আরেক এমপি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের অবশ্যই একটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করা দরকার এবং আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’
খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি গত নভেম্বরে বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়া। তিনি বলেন, ‘ইসলামিক রিপাবলিক যদি অস্তিত্বের হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে আমাদের সামরিক কৌশল পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিগত সামর্থ্য রয়েছে—শুধু একটি ধর্মীয় নির্দেশনা আমাদের তা থেকে বিরত রেখেছে।’
এদিকে, গত বুধবার আইআরজিসি সংশ্লিষ্ট এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়, ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে। সেখানে লেখা হয়, ‘আমাদের কাছে পারমাণবিক বোমা নেই, তবে যদি আমরা চাই তাহলে একটি বানাতে পারব।’
ইরানের আধা সামরিক বাহিনী বাসিজের এক সদস্য দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমাদের কেন পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না? এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার এবং আমাদের তা থেকে বঞ্চিত করা অন্যায্য।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে একটি ধাক্কা দেওয়া প্রয়োজন, আর ইরান পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়ে সেটি দিতে পারে। পশ্চিমারা আমাদের ভালো চোখে দেখে না, আমাদের অবশ্যই তা বদলাতে হবে।’
অপরদিকে, গত ডিসেম্বরে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি জানায় যে, ইরানের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ‘নজিরবিহীন মাত্রায় পৌঁছেছে, যা কোনো বেসামরিক কারণে গ্রহণযোগ্য নয়।’ তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রকাশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুদ্ধ আমাদের স্বার্থ নয় এবং আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না।’
গণমাধ্যমে কট্টরপন্থীদের ইঙ্গিত করে ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যারা দাবি করেন, তারা এটি (পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি) করতে চান, তারাও আমাদের সেই পথে ঠেলে দিতে পারবে না।’ একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি। তিনি বলেন, ‘ইরান কখনো পারমাণবিক অস্ত্র চায়নি এবং চাইবেও না। তবে ইরান তার আইনি অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে লড়াই করবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্সিতে প্রত্যাবর্তন তেহরানের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। আইআরজিসি কমান্ডারেরা মনে করেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার, ট্রাম্প তাঁর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ পররাষ্ট্রনীতি পুনরায় চালু করেছেন। যার মধ্যে ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা অন্যতম কৌশল। এর মাধ্যমে ট্রাম্প মূলত তাঁর প্রথম মেয়াদের কঠোর নীতিই ফিরিয়ে এনেছেন। এই নীতি জো বাইডেন প্রশাসন অপেক্ষাকৃত শিথিল করেছিল।
বুধবার ট্রাম্প বলেন, তিনি এখনো ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চান। তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তিনি পোস্ট করেন, ‘আমি যাচাইযোগ্য একটি পারমাণবিক শান্তি চুক্তি চাই, যা ইরানকে শান্তিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে এবং সমৃদ্ধ হতে দেবে। আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারি এবং সম্পন্ন হলে মধ্যপ্রাচ্যে এক বড় উদ্যাপন করতে পারি। খোদা মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন!’
তবে খামেনি শুক্রবার তেহরানে সামরিক কমান্ডারদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলে কিন্তু হুমকিও দেয়। যদি তারা আমাদের হুমকি দেয়, তাহলে আমরাও তাদের হুমকি দেব।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যদি দেশে বর্তমান শাসন কাঠামোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চান, তবে তাঁকে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের ওপর জারি করা ফতোয়া প্রত্যাহার করতে হবে। এমনটাই দাবি করেছেন দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডারেরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তথা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নেতারা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের ‘অস্তিত্বের হুমকি’ মোকাবিলা করতে হলে ইরানের অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার তাঁদের আগের অবস্থান বদলেছেন এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
ইরানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘আমরা কখনোই এতটা দুর্বল ছিলাম না, এবং এটি হয়তো আমাদের শেষ সুযোগ একটি (পারমাণবিক অস্ত্র) পাওয়ার। এখন না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।’
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ফতোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে অনুমান করা হয়, ২০০৩ সালে প্রথম এই ফতোয়া দেওয়া হয়। মৌখিক ওই ফতোয়ায় খামেনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, এ ধরনের অস্ত্র ইসলাম অনুযায়ী ‘সম্পূর্ণ হারাম’ বা নিষিদ্ধ।
কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তার মতে, দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ঠেকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এই ফতোয়াই একমাত্র বাধা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের নির্বাসিত অনেক বিরুদ্ধ মতাবলম্বীরা দাবি করেছেন যে, ইরান গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অপর এক ইরানি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য টেলিগ্রাফকে তেহরান থেকে জানিয়েছেন, ‘নেতা (খামেনি) আমেরিকানদের সঙ্গে আলোচনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিও নিষিদ্ধ করেছেন, যা তাঁর কাছে (বর্তমান শাসন কাঠামো টিকিয়ে রাখার) একমাত্র পথ হতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি মূলক শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছি, কিন্তু এখন এটি অর্জনের জন্য চাপ এবং যুক্তি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বর্তমান অস্তিত্বের হুমকি আমাদের এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, এত দিন সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ মেনে চলা অনেক শীর্ষ কমান্ডারই এখন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পক্ষে মত দিচ্ছেন।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কট্টরপন্থী রাজনীতিকদের পক্ষ থেকে খামেনির ওপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর বেশ কয়েকজন ইরানি এমপি দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে পারমাণবিক নীতি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
একজন সংসদ সদস্য বলেন, খামেনির ফতোয়া এখনো বহাল রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামে পরিস্থিতি ও সময়ের ওপর ভিত্তি করে ধর্মীয় রায় পরিবর্তন করা যায়। আরেক এমপি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের অবশ্যই একটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করা দরকার এবং আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’
খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি গত নভেম্বরে বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়া। তিনি বলেন, ‘ইসলামিক রিপাবলিক যদি অস্তিত্বের হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে আমাদের সামরিক কৌশল পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিগত সামর্থ্য রয়েছে—শুধু একটি ধর্মীয় নির্দেশনা আমাদের তা থেকে বিরত রেখেছে।’
এদিকে, গত বুধবার আইআরজিসি সংশ্লিষ্ট এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়, ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে। সেখানে লেখা হয়, ‘আমাদের কাছে পারমাণবিক বোমা নেই, তবে যদি আমরা চাই তাহলে একটি বানাতে পারব।’
ইরানের আধা সামরিক বাহিনী বাসিজের এক সদস্য দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমাদের কেন পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না? এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার এবং আমাদের তা থেকে বঞ্চিত করা অন্যায্য।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে একটি ধাক্কা দেওয়া প্রয়োজন, আর ইরান পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়ে সেটি দিতে পারে। পশ্চিমারা আমাদের ভালো চোখে দেখে না, আমাদের অবশ্যই তা বদলাতে হবে।’
অপরদিকে, গত ডিসেম্বরে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি জানায় যে, ইরানের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ‘নজিরবিহীন মাত্রায় পৌঁছেছে, যা কোনো বেসামরিক কারণে গ্রহণযোগ্য নয়।’ তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রকাশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুদ্ধ আমাদের স্বার্থ নয় এবং আমরা পারমাণবিক অস্ত্র চাই না।’
গণমাধ্যমে কট্টরপন্থীদের ইঙ্গিত করে ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যারা দাবি করেন, তারা এটি (পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি) করতে চান, তারাও আমাদের সেই পথে ঠেলে দিতে পারবে না।’ একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি। তিনি বলেন, ‘ইরান কখনো পারমাণবিক অস্ত্র চায়নি এবং চাইবেও না। তবে ইরান তার আইনি অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে লড়াই করবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্সিতে প্রত্যাবর্তন তেহরানের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। আইআরজিসি কমান্ডারেরা মনে করেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার, ট্রাম্প তাঁর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ পররাষ্ট্রনীতি পুনরায় চালু করেছেন। যার মধ্যে ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা অন্যতম কৌশল। এর মাধ্যমে ট্রাম্প মূলত তাঁর প্রথম মেয়াদের কঠোর নীতিই ফিরিয়ে এনেছেন। এই নীতি জো বাইডেন প্রশাসন অপেক্ষাকৃত শিথিল করেছিল।
বুধবার ট্রাম্প বলেন, তিনি এখনো ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চান। তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তিনি পোস্ট করেন, ‘আমি যাচাইযোগ্য একটি পারমাণবিক শান্তি চুক্তি চাই, যা ইরানকে শান্তিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে এবং সমৃদ্ধ হতে দেবে। আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারি এবং সম্পন্ন হলে মধ্যপ্রাচ্যে এক বড় উদ্যাপন করতে পারি। খোদা মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন!’
তবে খামেনি শুক্রবার তেহরানে সামরিক কমান্ডারদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলে কিন্তু হুমকিও দেয়। যদি তারা আমাদের হুমকি দেয়, তাহলে আমরাও তাদের হুমকি দেব।’
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২২ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২২ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২২ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২২ দিন আগে