Ajker Patrika

‘জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবে গাজা, নৈতিকতা শেখাবেন না’

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ৩০
‘জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবে গাজা, নৈতিকতা শেখাবেন না’

ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ। যুদ্ধ শুরুর পরপরই হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকা গাজা উপত্যকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইসরায়েল। বন্ধ করে দেয় আমদানি রপ্তানি। এর মাধ্যমে কার্যত অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে গাজাকে। এবার দেশটি হুমকি দিয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি না দিলে এই অবরোধ তুলে নেওয়া হবে না। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এই হুমকি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে মন্ত্রী এই হুমকি দেন। এমনকি তিনি মানবিকতার খাতিরেও গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক পোস্টে ইসরায়েল ক্যাটজ লিখেন, ‘‘গাজায় মানবিক সহায়তার কথা বলছেন? যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলি জিম্মিরা নিজের দেশে না ফিরবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হবে না, পানির লাইন খুলে দেওয়া হবে না, জ্বালানি ভর্তি কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে না।’ 

পোস্টে ইসরায়েল ক্যাটজ গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা না দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরও লিখেন, ‘মানবতা যারা দেখায় তাদের জন্যই কেবল মানবতা দেখানো হবে। এবং দয়া করে কেউ আমাদের নৈতিকতা শেখাতে আসবে না।’ 

এর আগে, গত ১০ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় সব ধরনের খাবার, জ্বালানি, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা এবং জলসীমায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বল্প সময়ের নোটিশে দেশের ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে সক্রিয় ডিউটিতে ডেকে পাঠিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত গাজা অবরোধের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন গাজার সব বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিতে। খাদ্য, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ যেন গাজায় প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। 

ইসরায়েলের এমন ঘোষণার পর গাজার নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব জ্যান এগেলন্ড বলেছেন, ইসরায়েলের এমন উদ্যোগের ফলে গাজাবাসীর জীবনে আক্ষরিক অর্থেই ‘নরক’ নেমে আসবে। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এভাবে সবাইকে শাস্তি দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত