গাজার চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ শিশু নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
লাজারিনি ইউনিসেফের একটি তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘গাজায় এক ঘণ্টায় একটি শিশু নিহত হচ্ছে। এগুলো শুধুমাত্র সংখ্যা নয়—অনেকগুলো ছোট্ট প্রাণের অকাল মৃত্যু। এই শিশু মৃত্যুকে কোনোভাবেই ন্যায্যতা দেওয়া সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বেঁচে আছে, তারা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতের শিকার। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে এই শিশুরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ভবিষ্যৎ খুঁজছে। এদের জীবনের ঘড়ি ক্রমশ থেমে যাচ্ছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের তথ্যমতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪৪ শতাংশই শিশু। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি শিশুদের জন্য গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটকেই তুলে ধরে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গাজায় বসবাসকারী ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে তাদের ‘মৃত্যু অতি সন্নিকটে’। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু, বিশেষত ছেলেরা (৭২ শতাংশ) তাদের মৃত্যু কামনা করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্সে’র সহায়তায় গাজার একটি স্থানীয় এনজিও এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। এনজিওটি প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন বা ‘নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ জরিপের মাধ্যমে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯২ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, তারা ‘বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছে না’। অর্থাৎ তারা তাদের বর্তমান পরিস্থিতি গ্রহণ করতে অক্ষম। ৭৯ শতাংশ শিশু রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে এবং ৭৩ শতাংশ শিশুর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের লক্ষণ দেখা গেছে।
ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্স ইউকে’র প্রধান নির্বাহী হেলেন প্যাটিনসন বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, শিশুদের থাকার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক স্থানগুলির একটি গাজা। হাসপাতাল, স্কুল এবং বাড়িঘরের মতো মৌলিক অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি, গাজার শিশুদের মানসিক অবস্থা গুরুতর আঘাতের শিকার। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে চরমভাবে প্রভাব ফেলছে।’
জরিপটি গাজার ৫০৪ টি পরিবারের ৫০৪ জন শিশুর ওপর পরিচালিত হয়। যেখানে প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন শারীরিকভাবে অক্ষম, আহত বা একা শিশু আছে। শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই হতাশ, উদ্বিগ্ন এবং মানসিক চাপের শিকার। শিশুদের এই অবস্থা শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই তাদের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গাজার চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ শিশু নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
লাজারিনি ইউনিসেফের একটি তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘গাজায় এক ঘণ্টায় একটি শিশু নিহত হচ্ছে। এগুলো শুধুমাত্র সংখ্যা নয়—অনেকগুলো ছোট্ট প্রাণের অকাল মৃত্যু। এই শিশু মৃত্যুকে কোনোভাবেই ন্যায্যতা দেওয়া সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বেঁচে আছে, তারা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতের শিকার। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে এই শিশুরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ভবিষ্যৎ খুঁজছে। এদের জীবনের ঘড়ি ক্রমশ থেমে যাচ্ছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের তথ্যমতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪৪ শতাংশই শিশু। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি শিশুদের জন্য গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটকেই তুলে ধরে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গাজায় বসবাসকারী ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে তাদের ‘মৃত্যু অতি সন্নিকটে’। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু, বিশেষত ছেলেরা (৭২ শতাংশ) তাদের মৃত্যু কামনা করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্সে’র সহায়তায় গাজার একটি স্থানীয় এনজিও এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। এনজিওটি প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন বা ‘নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ জরিপের মাধ্যমে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯২ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, তারা ‘বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছে না’। অর্থাৎ তারা তাদের বর্তমান পরিস্থিতি গ্রহণ করতে অক্ষম। ৭৯ শতাংশ শিশু রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে এবং ৭৩ শতাংশ শিশুর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের লক্ষণ দেখা গেছে।
ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্স ইউকে’র প্রধান নির্বাহী হেলেন প্যাটিনসন বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, শিশুদের থাকার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক স্থানগুলির একটি গাজা। হাসপাতাল, স্কুল এবং বাড়িঘরের মতো মৌলিক অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি, গাজার শিশুদের মানসিক অবস্থা গুরুতর আঘাতের শিকার। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে চরমভাবে প্রভাব ফেলছে।’
জরিপটি গাজার ৫০৪ টি পরিবারের ৫০৪ জন শিশুর ওপর পরিচালিত হয়। যেখানে প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন শারীরিকভাবে অক্ষম, আহত বা একা শিশু আছে। শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই হতাশ, উদ্বিগ্ন এবং মানসিক চাপের শিকার। শিশুদের এই অবস্থা শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই তাদের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫