জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ইসরায়েলপন্থী কিছু ভুয়া অ্যাকাউন্ট। অনলাইনে জনমত তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংস্থাটির বিরুদ্ধে নানা অভিযান চালাচ্ছে অ্যাকাউন্টগুলো। অপতথ্য পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর নতুন এক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এ তথ্য প্রকাশ করে।
অনলাইনে অপতথ্য বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে ইসরায়েলি একটি দল ফেক রিপোর্টার্স। এক পর্যবেক্ষণে তারা দেখে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট জাতিসংঘের সংস্থা এবং হামাসের মধ্যে সংযোগের বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করে বেড়াচ্ছে এবং জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জনমত প্রভাবিত করার এই প্রচারণা কর্মসূচিটি মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকশো অ্যাকাউন্ট ও তিনটি নতুন সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইটের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এ অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইটগুলোর লক্ষ্য হলো ইসরায়েলপন্থী বার্তা প্রচার করা। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই প্রচারণা কর্মসূচিটি ইউএনআরডব্লিউএ–এর বিরুদ্ধে প্রচারণাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ সংস্থাটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহযোগিতা করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো মার্কিন আইনপ্রণেতা ও পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর পোস্টের জবাব দিচ্ছে। জবাবে তারা জাতিসংঘের সংস্থা ও হামাসের মধ্যে সংযোগ নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট পোস্ট করছে।
হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রচারাভিযানে এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়েছে আমেরিকান রাজনীতিবিদদের, বিশেষত ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ইসরায়েলপন্থী হিসেবে বিবেচিত অ্যাকাউন্টগুলো। ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধের সময়টাতে এই প্রচারাভিযানের কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর সর্বাধিক জনপ্রিয় বিষয় হলো ইউএনআরডব্লিউএ।’
ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটি পুরোপুরি অসমর্থিত ইসরায়েলি অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এর সহ–লেখক ছিলেন একজন সাবেক ইসরায়েলি সৈনিক।
অনলাইন প্রভাব বিস্তারের প্রচারণায় বিশেষজ্ঞ এবং কাতারের হামাস বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অধ্যয়নের সহযোগী অধ্যাপক মার্ক ওয়েন জোনসও গতমাসে একই ভুয়া অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্কের কথা উল্লেখ করেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জোনস লেখেন, ‘এক্স, থ্রেডস, ফেসবুক ও ইনস্টায় কয়েকশো ভুয়া অ্যাকাউন্ট পেলাম যেগুলো ইসরায়েলি প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এই নেটওয়ার্কে ভুয়া ওয়েবসাইটও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি, এটি ইউএনআরডব্লিউএ বিরোধী #disinformation ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে সংহতি কমানোর চেষ্টা করছে।’
ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন ইউএনআরডব্লিউএ বিকল করে দেওয়ার জন্য ইসরায়েল আগ্রাসী সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে চলতি বছর ইসরায়েলি সরকার বলে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সংস্থাটির ১২ জন সদস্য গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলাকারী হামাসের সঙ্গে জড়িত। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালায় ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটি পর্যবেক্ষণ করতে পৃথক একটি প্যানেলও গঠন করে জাতিসংঘ।
ইসরায়েলি অভিযোগের ভিত্তিতে ১২টিরও বেশি পশ্চিমা দেশ সংস্থাটির জন্য অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। ইউএনআরডব্লিউএ গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সরবরাহ করে। গাজার জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় তাদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শরণার্থী এবং তাদের বংশধরদের নিয়ে গঠিত। মানবাধিকারকর্মীরা সতর্ক করে বলেছেন, ইউএনআরডব্লিউএর অর্থায়ন বন্ধ করা গাজার মানবিক সংকটকে আরও খারাপ করে তুলবে। গাজা বাসিন্দারা এই অঞ্চলে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে।
গতমাসে জাতিসংঘের এ সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করতে গাজায় সংস্থাটির বেশ কয়েকজন কর্মীকে নির্যাতন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশ সংস্থাটিতে তাদের অর্থায়ন পুনর্বহাল করেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ইসরায়েলপন্থী কিছু ভুয়া অ্যাকাউন্ট। অনলাইনে জনমত তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংস্থাটির বিরুদ্ধে নানা অভিযান চালাচ্ছে অ্যাকাউন্টগুলো। অপতথ্য পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর নতুন এক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এ তথ্য প্রকাশ করে।
অনলাইনে অপতথ্য বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে ইসরায়েলি একটি দল ফেক রিপোর্টার্স। এক পর্যবেক্ষণে তারা দেখে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট জাতিসংঘের সংস্থা এবং হামাসের মধ্যে সংযোগের বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করে বেড়াচ্ছে এবং জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জনমত প্রভাবিত করার এই প্রচারণা কর্মসূচিটি মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকশো অ্যাকাউন্ট ও তিনটি নতুন সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইটের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এ অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইটগুলোর লক্ষ্য হলো ইসরায়েলপন্থী বার্তা প্রচার করা। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই প্রচারণা কর্মসূচিটি ইউএনআরডব্লিউএ–এর বিরুদ্ধে প্রচারণাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ সংস্থাটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহযোগিতা করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো মার্কিন আইনপ্রণেতা ও পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর পোস্টের জবাব দিচ্ছে। জবাবে তারা জাতিসংঘের সংস্থা ও হামাসের মধ্যে সংযোগ নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট পোস্ট করছে।
হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রচারাভিযানে এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়েছে আমেরিকান রাজনীতিবিদদের, বিশেষত ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ইসরায়েলপন্থী হিসেবে বিবেচিত অ্যাকাউন্টগুলো। ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধের সময়টাতে এই প্রচারাভিযানের কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর সর্বাধিক জনপ্রিয় বিষয় হলো ইউএনআরডব্লিউএ।’
ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটি পুরোপুরি অসমর্থিত ইসরায়েলি অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এর সহ–লেখক ছিলেন একজন সাবেক ইসরায়েলি সৈনিক।
অনলাইন প্রভাব বিস্তারের প্রচারণায় বিশেষজ্ঞ এবং কাতারের হামাস বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অধ্যয়নের সহযোগী অধ্যাপক মার্ক ওয়েন জোনসও গতমাসে একই ভুয়া অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্কের কথা উল্লেখ করেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জোনস লেখেন, ‘এক্স, থ্রেডস, ফেসবুক ও ইনস্টায় কয়েকশো ভুয়া অ্যাকাউন্ট পেলাম যেগুলো ইসরায়েলি প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এই নেটওয়ার্কে ভুয়া ওয়েবসাইটও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি, এটি ইউএনআরডব্লিউএ বিরোধী #disinformation ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে সংহতি কমানোর চেষ্টা করছে।’
ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন ইউএনআরডব্লিউএ বিকল করে দেওয়ার জন্য ইসরায়েল আগ্রাসী সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে চলতি বছর ইসরায়েলি সরকার বলে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সংস্থাটির ১২ জন সদস্য গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলাকারী হামাসের সঙ্গে জড়িত। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালায় ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটি পর্যবেক্ষণ করতে পৃথক একটি প্যানেলও গঠন করে জাতিসংঘ।
ইসরায়েলি অভিযোগের ভিত্তিতে ১২টিরও বেশি পশ্চিমা দেশ সংস্থাটির জন্য অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। ইউএনআরডব্লিউএ গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সরবরাহ করে। গাজার জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় তাদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শরণার্থী এবং তাদের বংশধরদের নিয়ে গঠিত। মানবাধিকারকর্মীরা সতর্ক করে বলেছেন, ইউএনআরডব্লিউএর অর্থায়ন বন্ধ করা গাজার মানবিক সংকটকে আরও খারাপ করে তুলবে। গাজা বাসিন্দারা এই অঞ্চলে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে।
গতমাসে জাতিসংঘের এ সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করতে গাজায় সংস্থাটির বেশ কয়েকজন কর্মীকে নির্যাতন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশ সংস্থাটিতে তাদের অর্থায়ন পুনর্বহাল করেছে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫