কলকাতা সংবাদদাতা
ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে, বিবৃতিতে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী শক্ত অবস্থানেরও প্রতিফলন ছিল না।
বিবৃতিতে পেহেলগাম প্রসঙ্গ বাদ পড়লেও বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য পরোক্ষভাবে ভারতকে দায়ী করা হয়। ভারতীয় কূটনীতিক মহলের ধারণা, পাকিস্তানের চাপে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পেহেলগামের কথা বাদ রাখা হয়েছে।
ভারত বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছে, বেলুচিস্তানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। বরং ইসলামাবাদ নিজ দেশের ভেতর তাকিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করুক। একইভাবে পাকিস্তানও ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিজেদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘যৌথ বিবৃতির ভাষা নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয়। সেখানে পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কোনো উল্লেখ নেই। অথচ পাকিস্তানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভারত ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি এবং শেষ পর্যন্ত কোনো যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়নি।’
চীনের ছিংদাও শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। এই সম্মেলনে রাশিয়া, পাকিস্তান ও চীনসহ সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও মূলত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করে। বর্তমানে এই সংস্থার ১০টি সদস্য রাষ্ট্র—বেলারুশ, চীন, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সকল এসসিও সদস্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ শান্তি, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক আস্থার অভাবই এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সমস্যার মূল কারণই হলো মৌলবাদ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং অস্ত্রের বিস্তার যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অরাজনৈতিক শক্তির হাতে যায়, তাহলে কখনই শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ জরুরি। যারা সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, মদদ দেয়, ব্যবহার করে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিছু দেশ আছে যারা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদকে তাদের নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়। এমন দ্বিমুখী নীতির কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-এর উচিত এ ধরনের দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া।’
পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে এমন হামলা আর না হয়, তা প্রতিরোধে ভারত প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘পেহেলগামে হামলার সময় নির্দোষ মানুষদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা জাতিসংঘ-ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার একটি শাখা। পেহেলগামের হামলার ধরন লস্কর-ই-তৈয়্যবার পূর্বের হামলার সঙ্গে মিলে যায়। ভারতের সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতির বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখিয়েছি। ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনা করা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। ভারত কাউকে ছাড় দেবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে, সংগঠিত করে, অর্থ জোগান দেয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদই অন্যায় ও অপরাধ। এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর উচিত একবাক্যে এর নিন্দা করা।
রাজনাথ সিংয়ের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থানেরই প্রকাশ। সম্প্রতি চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারত যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিচ্ছে, সেটিরই অংশ এটি। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করতে আটটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ ওই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ২৬ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে, বিবৃতিতে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী শক্ত অবস্থানেরও প্রতিফলন ছিল না।
বিবৃতিতে পেহেলগাম প্রসঙ্গ বাদ পড়লেও বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য পরোক্ষভাবে ভারতকে দায়ী করা হয়। ভারতীয় কূটনীতিক মহলের ধারণা, পাকিস্তানের চাপে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পেহেলগামের কথা বাদ রাখা হয়েছে।
ভারত বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছে, বেলুচিস্তানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। বরং ইসলামাবাদ নিজ দেশের ভেতর তাকিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করুক। একইভাবে পাকিস্তানও ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিজেদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘যৌথ বিবৃতির ভাষা নিয়ে ভারত সন্তুষ্ট নয়। সেখানে পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কোনো উল্লেখ নেই। অথচ পাকিস্তানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভারত ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি এবং শেষ পর্যন্ত কোনো যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়নি।’
চীনের ছিংদাও শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। এই সম্মেলনে রাশিয়া, পাকিস্তান ও চীনসহ সদস্য দেশগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও মূলত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করে। বর্তমানে এই সংস্থার ১০টি সদস্য রাষ্ট্র—বেলারুশ, চীন, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সকল এসসিও সদস্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ শান্তি, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক আস্থার অভাবই এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সমস্যার মূল কারণই হলো মৌলবাদ, উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং অস্ত্রের বিস্তার যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অরাজনৈতিক শক্তির হাতে যায়, তাহলে কখনই শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ জরুরি। যারা সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, মদদ দেয়, ব্যবহার করে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিছু দেশ আছে যারা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদকে তাদের নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়। এমন দ্বিমুখী নীতির কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়। এসসিও-এর উচিত এ ধরনের দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া।’
পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে এমন হামলা আর না হয়, তা প্রতিরোধে ভারত প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘পেহেলগামে হামলার সময় নির্দোষ মানুষদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা জাতিসংঘ-ঘোষিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার একটি শাখা। পেহেলগামের হামলার ধরন লস্কর-ই-তৈয়্যবার পূর্বের হামলার সঙ্গে মিলে যায়। ভারতের সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতির বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখিয়েছি। ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনা করা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। ভারত কাউকে ছাড় দেবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে, সংগঠিত করে, অর্থ জোগান দেয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদই অন্যায় ও অপরাধ। এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর উচিত একবাক্যে এর নিন্দা করা।
রাজনাথ সিংয়ের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থানেরই প্রকাশ। সম্প্রতি চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারত যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিচ্ছে, সেটিরই অংশ এটি। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করতে আটটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২৩ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২৩ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২৩ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২৩ দিন আগে