আদালতের নির্দেশের আট মাস পর ভারতের মণিপুর রাজ্যে জাতিগত সহিংসতায় নিহত ৮৭ জনকে সমাহিত করা হয়েছে আজ বুধবার। স্থানীয় কুকি সম্প্রদায়ের এক নেতার বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মণিপুরের আদিবাসী ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের (আইটিএলএফ) মুখপাত্র গিঞ্জা ভুয়ালজং বলেন, ‘৮৭টি লাশকে সমাহিত করা হয়েছে। এটা মিশ্র আবেগের একটি দিন। দুঃখের মাঝেও স্বস্তির অনুভূতি হচ্ছে কারণ, অবশেষে আমরা আমাদের শহীদদের শান্তিতে বিশ্রাম দিতে পারছি।’
গত মে মাসে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিই এবং খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যটিতে অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন।
দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভূমির অধিকার এবং সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতা ঘিরে শুরু হয়েছিল উত্তেজনা। মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লাভের জন্য জাতিগত বিভাজন বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
জাতিগত এই সহিংসতায় বিভাজন স্পষ্ট হয়ে পড়ে মণিপুরে। একপাশে মেইতেই এবং অন্যপাশে কুকি সম্প্রদায়। প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনীগুলো বিরোধী সম্প্রদায়কে দূরে রাখার জন্য বেড়া স্থাপন করেছিল। এ কারণে, অনেক পরিবারই তাদের আত্মীয়দের মৃতদেহ পায়নি।
নিহতদের দেহাবশেষ রাজ্যের রাজধানী মেইতিই অধ্যুষিত এলাকা ইম্ফলের মর্গে পড়ে ছিল। গত মে মাসে ভারতের শীর্ষ আদালত রাজ্য কর্তৃপক্ষকে এসব মরদেহ দাহ বা সমাহিত করার নির্দেশ দেয়। এরপর ৬৪ জনের দেহাবশেষ ইম্ফল থেকে বিমানে করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত সপ্তাহে কাংপোকপি জেলায় ১৯টি লাশ দাফন করা হয়েছিল।
কুকি অধ্যুষিত চুড়াচাঁদপুর এলাকায় গণ সমাহিত করা হয়। কফিনের লম্বা লাইন ছিল সেখানে। অধিকাংশের ওপরই ছিল খ্রিষ্টান ক্রস চিহ্ন।
এই সহিংসতার জন্য মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মণিপুরের রাজ্য কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার মণিপুরে হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিভাজনমূলক নীতি গ্রহণ করেছিল বলেই এমন রক্তক্ষয়ী জাতিগত সহিংসতা ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এ মাসের শুরুতে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের টেংনুপাল জেলায় বন্দুক যুদ্ধে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার ইন্টারনেটের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে সঙ্গে, মণিপুরে নতুন সংঘর্ষের পর জনসমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশের আট মাস পর ভারতের মণিপুর রাজ্যে জাতিগত সহিংসতায় নিহত ৮৭ জনকে সমাহিত করা হয়েছে আজ বুধবার। স্থানীয় কুকি সম্প্রদায়ের এক নেতার বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মণিপুরের আদিবাসী ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের (আইটিএলএফ) মুখপাত্র গিঞ্জা ভুয়ালজং বলেন, ‘৮৭টি লাশকে সমাহিত করা হয়েছে। এটা মিশ্র আবেগের একটি দিন। দুঃখের মাঝেও স্বস্তির অনুভূতি হচ্ছে কারণ, অবশেষে আমরা আমাদের শহীদদের শান্তিতে বিশ্রাম দিতে পারছি।’
গত মে মাসে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিই এবং খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যটিতে অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন।
দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভূমির অধিকার এবং সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতা ঘিরে শুরু হয়েছিল উত্তেজনা। মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লাভের জন্য জাতিগত বিভাজন বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
জাতিগত এই সহিংসতায় বিভাজন স্পষ্ট হয়ে পড়ে মণিপুরে। একপাশে মেইতেই এবং অন্যপাশে কুকি সম্প্রদায়। প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনীগুলো বিরোধী সম্প্রদায়কে দূরে রাখার জন্য বেড়া স্থাপন করেছিল। এ কারণে, অনেক পরিবারই তাদের আত্মীয়দের মৃতদেহ পায়নি।
নিহতদের দেহাবশেষ রাজ্যের রাজধানী মেইতিই অধ্যুষিত এলাকা ইম্ফলের মর্গে পড়ে ছিল। গত মে মাসে ভারতের শীর্ষ আদালত রাজ্য কর্তৃপক্ষকে এসব মরদেহ দাহ বা সমাহিত করার নির্দেশ দেয়। এরপর ৬৪ জনের দেহাবশেষ ইম্ফল থেকে বিমানে করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত সপ্তাহে কাংপোকপি জেলায় ১৯টি লাশ দাফন করা হয়েছিল।
কুকি অধ্যুষিত চুড়াচাঁদপুর এলাকায় গণ সমাহিত করা হয়। কফিনের লম্বা লাইন ছিল সেখানে। অধিকাংশের ওপরই ছিল খ্রিষ্টান ক্রস চিহ্ন।
এই সহিংসতার জন্য মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মণিপুরের রাজ্য কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার মণিপুরে হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিভাজনমূলক নীতি গ্রহণ করেছিল বলেই এমন রক্তক্ষয়ী জাতিগত সহিংসতা ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এ মাসের শুরুতে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের টেংনুপাল জেলায় বন্দুক যুদ্ধে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার ইন্টারনেটের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে সঙ্গে, মণিপুরে নতুন সংঘর্ষের পর জনসমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২০ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২০ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২০ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২০ দিন আগে