ঢাকা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আমদানি করবে না। দেশটির রাজ্যগুলোর ওপর এই ভার ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এমন সময় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন দেশটি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ভারত সরকারের কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাকসিন আমদানির পরিবর্তে স্থানীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদেরকে সাহায্য করতে চাইছে মোদি সরকার । সবাই যাতে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেয় সেটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্র সরকার। সরকার এরই মধ্যে চলতি মাসে ভারতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আগামী মাস থেকে প্রাপ্তবয়স্করা ভ্যাকসিন নিতে পারবে। যদিও দেশে বর্তমানে ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন সংকট রয়েছে।
ভারতে চলতি মাসে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর মোদি সরকার ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন বিক্রয়ের জন্য কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। ভ্যাকসিন আমদানির জন্য ভারত বেশ কিছু নিয়মও শিথিল করে।
তবে সূত্র বলছে, নয়াদিল্লি এখন ভ্যাকসিন আমদানির ভার রাজ্য সরকারগুলোর হাতে ছেড়ে দেবে। কেন্দ্র সরকার চাইছে, বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন বিদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে যেন চুক্তি সম্পন্ন করে। যদিও ভারত সরকার এরই মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাস্ট্রেজেনেকা-অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের মোট উৎপাদনের অর্ধেক কিনে নিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ভারত এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেনের কাছে সহায়তা চেয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ভারতে চিকিৎসা সামগ্রী সহায়তা হিসেবে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পরিস্থিতি হতাশার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আর ভ্যাকসিন কিনবে না তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর স্থানীয় অংশীদাররা আমদানি করতে পারবে।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, আমার মনে হয় না সরকার বিদেশি ভ্যাকসিন কিনবে। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কোনও বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।
করোনায় ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। রাজ্যটি জানিয়েছে, তারা ভ্যাকসিনের জন্য দেশের বাইরেও টেন্ডার আহ্বান করবে।
ভারতের কোঝিকোডড়ে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের গেস্ট প্রফেসর স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ রিজো এম জন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন কেনা উচিৎ এবং জনগণকে বিনামূল্যে এগুলো দেওয়া উচিৎ। যদি রাজ্যগুলোর কাছে এই আমদানির ভার ছেড়ে দেওয়া হয় তবে অনেক রাজ্যই হয়তো এগুলো কিনতে পারবে না । পাশাপাশি এর জন্য জনগণকেও বেশি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে হবে, যেটি হয়তো সবাই কিনতে পারবেন না।
ফাইজার বলছে, মোদি সরকারের সঙ্গে তারা ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। জনসন অ্যাৎন্ড জনসন ভারতে ছোট ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চেয়েছে। তবে এখনো তাদের ভারতে ভ্যাকসিন বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই। আরেক মার্কিন কোম্পানি মডার্নাও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ঢাকা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আমদানি করবে না। দেশটির রাজ্যগুলোর ওপর এই ভার ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এমন সময় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন দেশটি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ভারত সরকারের কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাকসিন আমদানির পরিবর্তে স্থানীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদেরকে সাহায্য করতে চাইছে মোদি সরকার । সবাই যাতে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেয় সেটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্র সরকার। সরকার এরই মধ্যে চলতি মাসে ভারতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আগামী মাস থেকে প্রাপ্তবয়স্করা ভ্যাকসিন নিতে পারবে। যদিও দেশে বর্তমানে ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন সংকট রয়েছে।
ভারতে চলতি মাসে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর মোদি সরকার ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন বিক্রয়ের জন্য কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। ভ্যাকসিন আমদানির জন্য ভারত বেশ কিছু নিয়মও শিথিল করে।
তবে সূত্র বলছে, নয়াদিল্লি এখন ভ্যাকসিন আমদানির ভার রাজ্য সরকারগুলোর হাতে ছেড়ে দেবে। কেন্দ্র সরকার চাইছে, বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন বিদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে যেন চুক্তি সম্পন্ন করে। যদিও ভারত সরকার এরই মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাস্ট্রেজেনেকা-অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের মোট উৎপাদনের অর্ধেক কিনে নিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ভারত এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেনের কাছে সহায়তা চেয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ভারতে চিকিৎসা সামগ্রী সহায়তা হিসেবে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পরিস্থিতি হতাশার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আর ভ্যাকসিন কিনবে না তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর স্থানীয় অংশীদাররা আমদানি করতে পারবে।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, আমার মনে হয় না সরকার বিদেশি ভ্যাকসিন কিনবে। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কোনও বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।
করোনায় ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। রাজ্যটি জানিয়েছে, তারা ভ্যাকসিনের জন্য দেশের বাইরেও টেন্ডার আহ্বান করবে।
ভারতের কোঝিকোডড়ে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের গেস্ট প্রফেসর স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ রিজো এম জন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন কেনা উচিৎ এবং জনগণকে বিনামূল্যে এগুলো দেওয়া উচিৎ। যদি রাজ্যগুলোর কাছে এই আমদানির ভার ছেড়ে দেওয়া হয় তবে অনেক রাজ্যই হয়তো এগুলো কিনতে পারবে না । পাশাপাশি এর জন্য জনগণকেও বেশি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে হবে, যেটি হয়তো সবাই কিনতে পারবেন না।
ফাইজার বলছে, মোদি সরকারের সঙ্গে তারা ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। জনসন অ্যাৎন্ড জনসন ভারতে ছোট ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চেয়েছে। তবে এখনো তাদের ভারতে ভ্যাকসিন বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই। আরেক মার্কিন কোম্পানি মডার্নাও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫