সদ্য সমাপ্ত জি২০ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে ১০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব দেন। এরপর থেকেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া। একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। এতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ‘প্রায় অর্ধেক’ অংশ অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল।
আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয় এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন ইউক্রেনে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বছরের প্রথম তুষারপাত হয় এবং তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে। হামলায় অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে গেছে।’
এর আগে জেলেনস্কি ইউক্রেনের এক কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা ছাড়া দিনযাপন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া হামলা করে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে যুদ্ধ শেষের কোনো আগ্রহ নেই তাদের।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ প্রশাসনের উপপ্রধান মাইকোলা পোভোরোজনিক বলেছেন, কিয়েভ এখন ভিন্ন পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার মধ্যে পুরো শহর বন্ধের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। তবে তিনি জানাননি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তারা ঠিক কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। কোনো শহর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তাদের আছে কিনা।
ইউক্রেনের জাতীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে লিখেছেন, আগ্রাসী দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যে তাদের লক্ষ্য আমাদের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করা এবং ইউক্রেনীয়দের বিদ্যুৎ ও তাপবিহীন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া।
দেশটির সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি ডিটিইকের সিইও ম্যাকসিম টিমচেনকো বলেছেন, পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসতে ‘অপারগতা’ প্রকাশ করায় এসব হামলা চালানো হচ্ছে। রাশিয়ার হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিয়েভ, ওডেসা, ভিনিৎসিয়া এবং তেরনোপিল অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামো।
চলতি শীত মৌসুমটা পার করতে নাগরিকদের বিদ্যুৎসহ সব ধরনের জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
চলমান রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ এই শীতের সময়ে ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে ‘মানবিক বিপর্যয়’ সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
এদিকে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ শাখালিনে একটি আবাসিক ভবনে সন্দেহজনক গ্যাস বিস্ফারণে নয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। ইটের তৈরি ভবনটি আশির দশকে নির্মিত। প্রাথমিকভাবে গ্যাস লিকের ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি বলেছে তারা এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে।
সদ্য সমাপ্ত জি২০ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে ১০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব দেন। এরপর থেকেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া। একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। এতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ‘প্রায় অর্ধেক’ অংশ অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল।
আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয় এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন ইউক্রেনে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বছরের প্রথম তুষারপাত হয় এবং তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে। হামলায় অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে গেছে।’
এর আগে জেলেনস্কি ইউক্রেনের এক কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা ছাড়া দিনযাপন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া হামলা করে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে যুদ্ধ শেষের কোনো আগ্রহ নেই তাদের।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ প্রশাসনের উপপ্রধান মাইকোলা পোভোরোজনিক বলেছেন, কিয়েভ এখন ভিন্ন পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার মধ্যে পুরো শহর বন্ধের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। তবে তিনি জানাননি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তারা ঠিক কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন। কোনো শহর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তাদের আছে কিনা।
ইউক্রেনের জাতীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে লিখেছেন, আগ্রাসী দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যে তাদের লক্ষ্য আমাদের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করা এবং ইউক্রেনীয়দের বিদ্যুৎ ও তাপবিহীন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া।
দেশটির সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি ডিটিইকের সিইও ম্যাকসিম টিমচেনকো বলেছেন, পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসতে ‘অপারগতা’ প্রকাশ করায় এসব হামলা চালানো হচ্ছে। রাশিয়ার হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিয়েভ, ওডেসা, ভিনিৎসিয়া এবং তেরনোপিল অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামো।
চলতি শীত মৌসুমটা পার করতে নাগরিকদের বিদ্যুৎসহ সব ধরনের জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
চলমান রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ এই শীতের সময়ে ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে ‘মানবিক বিপর্যয়’ সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
এদিকে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ শাখালিনে একটি আবাসিক ভবনে সন্দেহজনক গ্যাস বিস্ফারণে নয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। ইটের তৈরি ভবনটি আশির দশকে নির্মিত। প্রাথমিকভাবে গ্যাস লিকের ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি বলেছে তারা এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২৪ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২৪ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২৪ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২৪ দিন আগে