কাঠের পাটাতন দেখলে মনে হবে শত শত বছরের পুরোনো। দীর্ঘদিন রাখার পর কাঠ দেখতে যেমন হয় ঠিক তেমন। রংটাও এমনই বার্তা দেয়। দড়ি আর কাপড়গুলোও বর্তমান সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। আর সামনের দিকে থাকা একটি ডিজাইন মনে করিয়ে দেবে রাজকীয় জাহাজ যাত্রার ইতিহাস। বাণিজ্যের জন্য যখন এক বন্দর থেকে আরেক বন্দরে যাত্রা করা হতো তখন এমন রাজকীয় ভাব দেখা যেতো জাহাজের গঠনে।
সুইডেনের স্টকহোমের পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই জাহাজ দেখলে এসব চিন্তাই মনে আসবে। অনেকেই পুরোনো কোনো জাহাজ ভেবে এখানে কিছু সময় কাটিয়ে যান। তবে কোনো তুখোড় ইতিহাসবিদের নজরে পড়লে তিনি ক্ষণিক সময়ের মধ্যে ধরে ফেলতে পারবেন এটি আসলে ১৭৪৫ সালে ডুবে যাওয়া সুইডিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গোথেবার্গ জাহাজ। কিন্তু ডুবে যাওয়া সেই জাহাজ অক্ষত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাহলে হুবহু সেটি এখানে এল কী করে? বিচিত্র সেই গল্প জানা গেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে।
১৭৩১ সাল থেকে ১৮১৩ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য কার্যক্রম চালায় সুইডিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তাঁদের নজর ছিল এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দিকে। বিশেষ করে চীনে। চীনা পণ্য চা এবং চাল সর্বপ্রথম সুইডেনে নিয়ে আসে তাঁরা। আমদানি রপ্তানিতে তাঁদের অন্যতম জাহাজ ছিল গোথেবার্গ। দেশটির একটি শহরের নামে নামকরণ করা এ জাহাজ ১৭৪৫ সালে একযাত্রায় চীন থেকে ফিরে আসার সময় ডুবে যায়। গত শতকের আশির দশকে এর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান ডুবুরিরা।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৯৩ সালে আবার চালু হয় সুইডিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এবার তাঁরা ভিন্ন মিশন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। দেশটির জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়। এরই মধ্যে ইতিহাসের গোথেবার্গ অধ্যায়কে ফিরে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মূল কারণ, বিখ্যাত সেই জাহাজ আবারও নির্মাণ করলে বাণিজ্য খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।
এখানেই বিচিত্র এক কাজ করেন নীতিনির্ধারকেরা। ২০০ বছর পর হুবহু জাহাজটিই নির্মাণ করতে চান তাঁরা। তবে ব্যবহার করা হবে ডুবে যাওয়া জাহাজের বিভিন্ন অংশের মতোই সব উপাদান। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই সময়ের এ জাতীয় জিনিসগুলোই ব্যবহার করা হয় রেপ্লিকা নির্মাণে। পুরোনো এসব সরঞ্জাম খুঁজে বের করতেই বেশির ভাগ সময় চলে যায় কারিগরদের। তখনকার সময়ে এটিই ছিল কাঠের তৈরি সবচেয়ে বড় জাহাজ। মূল জাহাজ ছিল ১৯২ ফুট লম্বা, প্রস্থ ৩৬ ফুট। আর উলম্বভাবে এটি ১৫৪ মিটার। হুবহু রেপ্লিকা তৈরি করতে তাঁদের সময় লাগে এক দশকের বেশি। নাম দেওয়া হয় ‘গোথেবার্গ ২ ’।
সুইডেনের বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া এ রেপ্লিকা। আগামী বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো যাত্রা করবে এশিয়ার উদ্দেশে। আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে সুইডেন থেকে লন্ডন, লিসবন, পালমা দে মালোরকা, এথেন্স, আলেকজান্দ্রা, জিবুতি, মাসকাট, চেন্নাই, সিঙ্গাপুর, হো চি মিন সিটি ও হংকং হয়ে চীন পৌঁছাবে এটি। অক্টোবর নাগাদ সাংহাইয়ে নোঙর করবে ‘গোথেবার্গ ২ ’। ৮০ ক্রু নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও প্রতিটি বন্দর থেকে ৫০ জন করে নেওয়া হবে। এর মানে মোট ক্রু হবে ৬০০।
কাঠের পাটাতন দেখলে মনে হবে শত শত বছরের পুরোনো। দীর্ঘদিন রাখার পর কাঠ দেখতে যেমন হয় ঠিক তেমন। রংটাও এমনই বার্তা দেয়। দড়ি আর কাপড়গুলোও বর্তমান সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। আর সামনের দিকে থাকা একটি ডিজাইন মনে করিয়ে দেবে রাজকীয় জাহাজ যাত্রার ইতিহাস। বাণিজ্যের জন্য যখন এক বন্দর থেকে আরেক বন্দরে যাত্রা করা হতো তখন এমন রাজকীয় ভাব দেখা যেতো জাহাজের গঠনে।
সুইডেনের স্টকহোমের পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই জাহাজ দেখলে এসব চিন্তাই মনে আসবে। অনেকেই পুরোনো কোনো জাহাজ ভেবে এখানে কিছু সময় কাটিয়ে যান। তবে কোনো তুখোড় ইতিহাসবিদের নজরে পড়লে তিনি ক্ষণিক সময়ের মধ্যে ধরে ফেলতে পারবেন এটি আসলে ১৭৪৫ সালে ডুবে যাওয়া সুইডিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গোথেবার্গ জাহাজ। কিন্তু ডুবে যাওয়া সেই জাহাজ অক্ষত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাহলে হুবহু সেটি এখানে এল কী করে? বিচিত্র সেই গল্প জানা গেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে।
১৭৩১ সাল থেকে ১৮১৩ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য কার্যক্রম চালায় সুইডিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তাঁদের নজর ছিল এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দিকে। বিশেষ করে চীনে। চীনা পণ্য চা এবং চাল সর্বপ্রথম সুইডেনে নিয়ে আসে তাঁরা। আমদানি রপ্তানিতে তাঁদের অন্যতম জাহাজ ছিল গোথেবার্গ। দেশটির একটি শহরের নামে নামকরণ করা এ জাহাজ ১৭৪৫ সালে একযাত্রায় চীন থেকে ফিরে আসার সময় ডুবে যায়। গত শতকের আশির দশকে এর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান ডুবুরিরা।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৯৩ সালে আবার চালু হয় সুইডিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এবার তাঁরা ভিন্ন মিশন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। দেশটির জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়। এরই মধ্যে ইতিহাসের গোথেবার্গ অধ্যায়কে ফিরে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মূল কারণ, বিখ্যাত সেই জাহাজ আবারও নির্মাণ করলে বাণিজ্য খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।
এখানেই বিচিত্র এক কাজ করেন নীতিনির্ধারকেরা। ২০০ বছর পর হুবহু জাহাজটিই নির্মাণ করতে চান তাঁরা। তবে ব্যবহার করা হবে ডুবে যাওয়া জাহাজের বিভিন্ন অংশের মতোই সব উপাদান। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই সময়ের এ জাতীয় জিনিসগুলোই ব্যবহার করা হয় রেপ্লিকা নির্মাণে। পুরোনো এসব সরঞ্জাম খুঁজে বের করতেই বেশির ভাগ সময় চলে যায় কারিগরদের। তখনকার সময়ে এটিই ছিল কাঠের তৈরি সবচেয়ে বড় জাহাজ। মূল জাহাজ ছিল ১৯২ ফুট লম্বা, প্রস্থ ৩৬ ফুট। আর উলম্বভাবে এটি ১৫৪ মিটার। হুবহু রেপ্লিকা তৈরি করতে তাঁদের সময় লাগে এক দশকের বেশি। নাম দেওয়া হয় ‘গোথেবার্গ ২ ’।
সুইডেনের বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া এ রেপ্লিকা। আগামী বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো যাত্রা করবে এশিয়ার উদ্দেশে। আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে সুইডেন থেকে লন্ডন, লিসবন, পালমা দে মালোরকা, এথেন্স, আলেকজান্দ্রা, জিবুতি, মাসকাট, চেন্নাই, সিঙ্গাপুর, হো চি মিন সিটি ও হংকং হয়ে চীন পৌঁছাবে এটি। অক্টোবর নাগাদ সাংহাইয়ে নোঙর করবে ‘গোথেবার্গ ২ ’। ৮০ ক্রু নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও প্রতিটি বন্দর থেকে ৫০ জন করে নেওয়া হবে। এর মানে মোট ক্রু হবে ৬০০।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫