রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সোমবার জেলেনস্কি রাশিয়ায় অবস্থিত প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয়দের অধিকার ও আত্মপরিচয় সুরক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এটিই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ডায়াসপোরা গ্রুপ।
কোনো দেশের নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী যদি নিজেদের আচার-সংস্কৃতি অক্ষত রেখে অন্য কোনো দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, তাদের ডায়াসপোরা বলা হয়।
ইউক্রেনের সংবিধান অনুসারে, ইউক্রেন নাগরিকদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার অনুমতি দেয় না। তাই ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত লাখ লাখ মানুষ যাঁরা অন্যান্য দেশে বসবাস করছেন তাঁরা ইউক্রেনের পাসপোর্ট ধারণ করতে পারেন না।
এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমি ভারখোভনা রাদাতে (ইউক্রেনের এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ) এমন এক আইনের খসড়া জমা দিচ্ছি, যার মাধ্যমে বিস্তৃত আইনি সংশোধন করা যাবে এবং একাধিক নাগরিকত্ব গ্রহণের অনুমতি পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আইনের মাধ্যমে জাতিগত ইউক্রেনীয় ও বিশ্বব্যাপী তাঁদের বংশধরেরা ইউক্রেনের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। অবশ্য আক্রমণকারী দেশের নাগরিক ছাড়া।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায়ই রাশিয়াকে ‘আক্রমণকারী’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে থাকায় জাতীয় ঐক্যের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়ে আসছেন জেলেনস্কি। কারণ এ যুদ্ধে টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য কিয়েভ বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল।
ইউক্রেনের জন্য যাঁরা যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন তাঁদেরসহ এ যুদ্ধে সমর্থনকারী ডায়াসপোরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমি ইউক্রেনীয়—এ শব্দগুলো বিশেষ অর্থ বহন করে।’ তিনি ইউক্রেনীয়দের অদম্যতারও প্রশংসা করেন।
সংবিধানে সংশোধনের জন্য সংসদের অনুমতি প্রয়োজন। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার জন্য এক বছর লেগে যেতে পারে। এর জন্য সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদনও প্রয়োজন।
রাশিয়ায় অবস্থিত জাতিগত ইউক্রেনীয়দের আত্মপরিচয় সুরক্ষায় জারি করা অধ্যাদেশে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব অপরাধ এবং অপপ্রচার নথিভুক্ত করে রাখা হবে।
এই ডিক্রিতে রাশিয়ার এমন সব অংশ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ঐতিহাসিকভাবেই ইউক্রেনীয়দের বাস। এর মধ্যে সাধারণ সীমান্ত এলাকা এবং কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্রাসনোদার ও এর আশপাশের এলাকা রয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, রাশিয়ায় স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয় বসবাস করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সোমবার জেলেনস্কি রাশিয়ায় অবস্থিত প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয়দের অধিকার ও আত্মপরিচয় সুরক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এটিই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ডায়াসপোরা গ্রুপ।
কোনো দেশের নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী যদি নিজেদের আচার-সংস্কৃতি অক্ষত রেখে অন্য কোনো দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, তাদের ডায়াসপোরা বলা হয়।
ইউক্রেনের সংবিধান অনুসারে, ইউক্রেন নাগরিকদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার অনুমতি দেয় না। তাই ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত লাখ লাখ মানুষ যাঁরা অন্যান্য দেশে বসবাস করছেন তাঁরা ইউক্রেনের পাসপোর্ট ধারণ করতে পারেন না।
এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমি ভারখোভনা রাদাতে (ইউক্রেনের এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ) এমন এক আইনের খসড়া জমা দিচ্ছি, যার মাধ্যমে বিস্তৃত আইনি সংশোধন করা যাবে এবং একাধিক নাগরিকত্ব গ্রহণের অনুমতি পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আইনের মাধ্যমে জাতিগত ইউক্রেনীয় ও বিশ্বব্যাপী তাঁদের বংশধরেরা ইউক্রেনের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। অবশ্য আক্রমণকারী দেশের নাগরিক ছাড়া।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায়ই রাশিয়াকে ‘আক্রমণকারী’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে থাকায় জাতীয় ঐক্যের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়ে আসছেন জেলেনস্কি। কারণ এ যুদ্ধে টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য কিয়েভ বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল।
ইউক্রেনের জন্য যাঁরা যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন তাঁদেরসহ এ যুদ্ধে সমর্থনকারী ডায়াসপোরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমি ইউক্রেনীয়—এ শব্দগুলো বিশেষ অর্থ বহন করে।’ তিনি ইউক্রেনীয়দের অদম্যতারও প্রশংসা করেন।
সংবিধানে সংশোধনের জন্য সংসদের অনুমতি প্রয়োজন। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার জন্য এক বছর লেগে যেতে পারে। এর জন্য সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদনও প্রয়োজন।
রাশিয়ায় অবস্থিত জাতিগত ইউক্রেনীয়দের আত্মপরিচয় সুরক্ষায় জারি করা অধ্যাদেশে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব অপরাধ এবং অপপ্রচার নথিভুক্ত করে রাখা হবে।
এই ডিক্রিতে রাশিয়ার এমন সব অংশ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ঐতিহাসিকভাবেই ইউক্রেনীয়দের বাস। এর মধ্যে সাধারণ সীমান্ত এলাকা এবং কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্রাসনোদার ও এর আশপাশের এলাকা রয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, রাশিয়ায় স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয় বসবাস করেন।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২০ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২০ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২০ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২০ দিন আগে