পারমাণবিক অস্ত্রবাহী অত্যাধুনিক সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে রাশিয়া। প্রয়োজনে যেকোনো সময় ব্যবহার করা হবে। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার যেকোনো স্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ২০২২ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়। সে সময় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্লেসেৎস্ক থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। পরে এটি প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের কামচাটকা উপদ্বীপে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। সারমাত সিরিজের এই আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে ১০টি বা তার চেয়েও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত করা সম্ভব।
রসকসমসের প্রধান ইউরি বরিসভ গত শুক্রবার জানিয়েছেন, সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’ রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সারমাত কৌশলগত ব্যবস্থাটিকে যুদ্ধের জন্য সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।’ তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ইউরি বরিসভ।
সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এই কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে শত্রুরা আমাদের ব্যাপারে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আরএস-২৮ নামে সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র একই সঙ্গে ১০টি বা তারও অধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং এসব ওয়ারহেডের প্রতিটি আলাদা আলাদাভাবে কাজ করতে পারে। পাশাপাশি এটি বিশ্বের যেকোনো, এমনকি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র স্যাটান বা শয়তান নামে পরিচিত। পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা, সারমাত একটানা ১৮ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
সারমাত সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজ করে আসছে রাশিয়া। ফলে এই পরীক্ষা হয়তো রাশিয়ার প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য নতুন কোনো সংবাদ নয়। তবে, এই পরীক্ষা যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান সংকট আরও গভীর করবে এবং ইউক্রেনের মিত্রদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশ্লেষকেরা।
নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে পুতিন বলেছেন, ‘নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং এতে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রতিরক্ষার সব আধুনিক কৌশলকে অতিক্রম করতে সক্ষম। বিশ্বে এটির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই এবং দীর্ঘ সময় এর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেও না।’
পুতিন আরও বলেন, ‘এই অনন্য অস্ত্রটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধের সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে। বাহ্যিক হুমকি থেকে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং যারা আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের দেশকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য চিন্তার নতুন খোরাক জোগাবে।’
পারমাণবিক অস্ত্রবাহী অত্যাধুনিক সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে রাশিয়া। প্রয়োজনে যেকোনো সময় ব্যবহার করা হবে। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার যেকোনো স্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ২০২২ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়। সে সময় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্লেসেৎস্ক থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। পরে এটি প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের কামচাটকা উপদ্বীপে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। সারমাত সিরিজের এই আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে ১০টি বা তার চেয়েও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত করা সম্ভব।
রসকসমসের প্রধান ইউরি বরিসভ গত শুক্রবার জানিয়েছেন, সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’ রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সারমাত কৌশলগত ব্যবস্থাটিকে যুদ্ধের জন্য সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।’ তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ইউরি বরিসভ।
সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এই কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে শত্রুরা আমাদের ব্যাপারে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আরএস-২৮ নামে সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র একই সঙ্গে ১০টি বা তারও অধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং এসব ওয়ারহেডের প্রতিটি আলাদা আলাদাভাবে কাজ করতে পারে। পাশাপাশি এটি বিশ্বের যেকোনো, এমনকি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র স্যাটান বা শয়তান নামে পরিচিত। পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা, সারমাত একটানা ১৮ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
সারমাত সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজ করে আসছে রাশিয়া। ফলে এই পরীক্ষা হয়তো রাশিয়ার প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য নতুন কোনো সংবাদ নয়। তবে, এই পরীক্ষা যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান সংকট আরও গভীর করবে এবং ইউক্রেনের মিত্রদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশ্লেষকেরা।
নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে পুতিন বলেছেন, ‘নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং এতে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রতিরক্ষার সব আধুনিক কৌশলকে অতিক্রম করতে সক্ষম। বিশ্বে এটির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই এবং দীর্ঘ সময় এর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেও না।’
পুতিন আরও বলেন, ‘এই অনন্য অস্ত্রটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধের সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে। বাহ্যিক হুমকি থেকে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং যারা আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের দেশকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য চিন্তার নতুন খোরাক জোগাবে।’
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫