ইউক্রেন সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সৌদি আরবে রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসার আগে এ কথা বলেন তিনি।
ইউক্রেন ইস্যুতে আজ সৌদি আরবের জেদ্দায় বসতে যাচ্ছে বিশেষ বৈঠক। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে থাকবেন পররাষ্ট্র মার্কো রুবিও ও হোয়াইট হাউসের অন্য কর্মকর্তারা এবং ইউক্রেনের তরফ থেকে থাকবে একটি প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান সহযোগী আন্দ্রেই ইয়ারমাক। জেলেনস্কি বলেছেন, বৈঠকে সম্পূর্ণ গঠনমূলক অবস্থান গ্রহণ করবে ইউক্রেন এবং আলোচনা থেকে চলমান সংকট নিরসনে বাস্তবসম্মত সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
বৈঠকে যাওয়ার পথে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, কিয়েভ সমঝোতায় প্রস্তুত কি না, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এই সংঘাত বন্ধ করতে বা অন্তত কিছুটা শান্ত করতে উভয় পক্ষকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাশিয়া পুরো ইউক্রেন দখল করতে পারবে না, আবার ইউক্রেনও শিগগিরই রাশিয়াকে ২০১৪ সালের সীমান্তে ফেরত পাঠাতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করেন পুতিন।
ওভাল অফিসে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর এটিই হবে দুই দেশের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের সব ধরনের সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করে দেয় মার্কিন প্রশাসন।
যদিও সৌদি বৈঠকে দুই প্রেসিডেন্ট অংশ নেবেন না, তবু আলোচনা ফলপ্রসূ করতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি তাঁর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের জেদ্দায় পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাস্তবসম্মত প্রস্তাব আলোচনায় রয়েছে। মূল বিষয় হলো দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
এদিকে, ওয়াশিংটনের সমর্থন হারানোর সুযোগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দখলে থাকা রুশ অঞ্চল কুরস্কেও ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে রাশিয়ার সেনারা।
শান্তি প্রতিষ্ঠাকেই এমন সিদ্ধান্তের আসল কারণ বলে জাহির করছে মার্কিন প্রশাসন। তবে, ইউক্রেনে খনিজ সম্পদ পেলে সামরিক সহায়তা পুনরায় চালু করবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ওভাল অফিসে উত্তেজনার পর, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে খনিজ চুক্তিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে, খনিজের বিনিময়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে কি না, সে বিষয়ে পাকাপোক্ত কোনো কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের সহযোগী স্টিভ উইটকফ বলেছেন, জেদ্দার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে। ফক্স নিউজে তিনি বলেন, ‘আমি খুব আশাবাদী। সবকিছু ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।’ তবে, রুবিও সতর্ক করেছেন যে খনিজ চুক্তি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত হয়নি কিছু।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, শুধু খনিজ সম্পদের বিনিময়ে সামরিক সহায়তা পুনরায় চালু করবেন না ট্রাম্প। তাদের ভাষ্যমতে, ওয়াশিংটনের সামরিক সহায়তা পেতে আরও কিছু শর্ত মানতে হবে ইউক্রেনকে—ছেড়ে দিতে হবে রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া কিছু ভূখণ্ড, প্রস্তুতি নিতে হবে নির্বাচনের, এমনকি জেলেনস্কির পদত্যাগও চাইতে পারে মার্কিন প্রশাসন। যদিও এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউস। তবে, একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না গুঞ্জন। এর আগে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইউক্রেন সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সৌদি আরবে রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসার আগে এ কথা বলেন তিনি।
ইউক্রেন ইস্যুতে আজ সৌদি আরবের জেদ্দায় বসতে যাচ্ছে বিশেষ বৈঠক। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে থাকবেন পররাষ্ট্র মার্কো রুবিও ও হোয়াইট হাউসের অন্য কর্মকর্তারা এবং ইউক্রেনের তরফ থেকে থাকবে একটি প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান সহযোগী আন্দ্রেই ইয়ারমাক। জেলেনস্কি বলেছেন, বৈঠকে সম্পূর্ণ গঠনমূলক অবস্থান গ্রহণ করবে ইউক্রেন এবং আলোচনা থেকে চলমান সংকট নিরসনে বাস্তবসম্মত সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
বৈঠকে যাওয়ার পথে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, কিয়েভ সমঝোতায় প্রস্তুত কি না, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এই সংঘাত বন্ধ করতে বা অন্তত কিছুটা শান্ত করতে উভয় পক্ষকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাশিয়া পুরো ইউক্রেন দখল করতে পারবে না, আবার ইউক্রেনও শিগগিরই রাশিয়াকে ২০১৪ সালের সীমান্তে ফেরত পাঠাতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করেন পুতিন।
ওভাল অফিসে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর এটিই হবে দুই দেশের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের সব ধরনের সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করে দেয় মার্কিন প্রশাসন।
যদিও সৌদি বৈঠকে দুই প্রেসিডেন্ট অংশ নেবেন না, তবু আলোচনা ফলপ্রসূ করতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি তাঁর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের জেদ্দায় পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাস্তবসম্মত প্রস্তাব আলোচনায় রয়েছে। মূল বিষয় হলো দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
এদিকে, ওয়াশিংটনের সমর্থন হারানোর সুযোগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দখলে থাকা রুশ অঞ্চল কুরস্কেও ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে রাশিয়ার সেনারা।
শান্তি প্রতিষ্ঠাকেই এমন সিদ্ধান্তের আসল কারণ বলে জাহির করছে মার্কিন প্রশাসন। তবে, ইউক্রেনে খনিজ সম্পদ পেলে সামরিক সহায়তা পুনরায় চালু করবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ওভাল অফিসে উত্তেজনার পর, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে খনিজ চুক্তিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে, খনিজের বিনিময়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে কি না, সে বিষয়ে পাকাপোক্ত কোনো কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের সহযোগী স্টিভ উইটকফ বলেছেন, জেদ্দার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে। ফক্স নিউজে তিনি বলেন, ‘আমি খুব আশাবাদী। সবকিছু ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।’ তবে, রুবিও সতর্ক করেছেন যে খনিজ চুক্তি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত হয়নি কিছু।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, শুধু খনিজ সম্পদের বিনিময়ে সামরিক সহায়তা পুনরায় চালু করবেন না ট্রাম্প। তাদের ভাষ্যমতে, ওয়াশিংটনের সামরিক সহায়তা পেতে আরও কিছু শর্ত মানতে হবে ইউক্রেনকে—ছেড়ে দিতে হবে রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া কিছু ভূখণ্ড, প্রস্তুতি নিতে হবে নির্বাচনের, এমনকি জেলেনস্কির পদত্যাগও চাইতে পারে মার্কিন প্রশাসন। যদিও এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউস। তবে, একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না গুঞ্জন। এর আগে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২১ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২১ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২১ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২১ দিন আগে