দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের অবসানের পর গত আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার এবং দেশটিতে পুনরায় তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো কাতারের দোহায় মার্কিন প্রতিনিধি একটি দলের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ না হলেও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের অবস্থান যে এখনো দুই মেরুতে, বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেওয়া উভয় পক্ষের তথ্যে সেটি মোটামুটি স্পষ্ট।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোল্লা আমির খান মুত্তাকির বরাতে আল জাজিরা জানায়, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ‘সম্পর্কের নতুন অধ্যায়’ চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া তালেবানের পক্ষ থেকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ও গত বছর সই হওয়া ওয়াশিংটন-তালেবান সমঝোতা চুক্তির বাস্তবায়ন। আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান নেতারা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার
ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে অগ্রাধিকার পেয়েছে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন, আফগান ও অন্যান্য নাগরিকদের নিরাপদ প্রস্থানের বিষয়টি। পাশাপাশি নারীসহ সব আফগান নাগরিকের অধিকারের প্রতি সম্মান এবং সেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে মনোযোগী হতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
দোহায় অবস্থানরত আল জাজিরার সাংবাদিক নাতাশা জানান, দেশ শাসনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি এবং অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসা তালেবান প্রতিনিধি দল।
নাতাশা বলেন, ‘আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির আর্থিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে আছে, যাদের অর্থনীতি বহুলাংশে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।’
নাতাশার মতে, দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতির প্রত্যাশা নেই কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও ‘বিস্তর ফারাক’ রয়েছে।
এদিকে নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেও বরাবরের মতো আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করতে ভোলেনি তালেবান। শনিবারের বৈঠক শেষে আফগান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বখতারকে বলেন, ‘আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, তারা যদি আফগান সরকারকে অস্থিতিশীল করার কোনো ধরনের চেষ্টা চালায় এর ফল ভালো হবে না। পারস্পরিক সুসম্পর্কই সবার জন্য ভালো হবে।
আফগানিস্তান নিয়ে ইউএনএইচসিআর
সম্পদের অভাব আফগানদের অর্থনৈতিক দুর্দশা এড়ানোর প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে জানিয়ে, এর ফলে নতুন করে এ অঞ্চলে শরণার্থী সংকট দেখা দিতে পারে বলে শনিবার সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। পাশাপাশি, অবিলম্বে আফগানিস্তানকে প্রতিশ্রুত সহায়তা প্রদান করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র বাবর বেলুচ ইসলামাবাদে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আফগানিস্তানে মানবিক সংকট সত্যিই ভয়াবহ। আরেকটি শরণার্থী সংকট এড়াতে দেশটির প্রতি বিশ্বকে মনোযোগ দিতে হবে।’
দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের অবসানের পর গত আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার এবং দেশটিতে পুনরায় তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো কাতারের দোহায় মার্কিন প্রতিনিধি একটি দলের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ না হলেও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের অবস্থান যে এখনো দুই মেরুতে, বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেওয়া উভয় পক্ষের তথ্যে সেটি মোটামুটি স্পষ্ট।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোল্লা আমির খান মুত্তাকির বরাতে আল জাজিরা জানায়, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ‘সম্পর্কের নতুন অধ্যায়’ চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া তালেবানের পক্ষ থেকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ও গত বছর সই হওয়া ওয়াশিংটন-তালেবান সমঝোতা চুক্তির বাস্তবায়ন। আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান নেতারা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার
ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে অগ্রাধিকার পেয়েছে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন, আফগান ও অন্যান্য নাগরিকদের নিরাপদ প্রস্থানের বিষয়টি। পাশাপাশি নারীসহ সব আফগান নাগরিকের অধিকারের প্রতি সম্মান এবং সেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে মনোযোগী হতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
দোহায় অবস্থানরত আল জাজিরার সাংবাদিক নাতাশা জানান, দেশ শাসনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি এবং অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসা তালেবান প্রতিনিধি দল।
নাতাশা বলেন, ‘আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির আর্থিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে আছে, যাদের অর্থনীতি বহুলাংশে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।’
নাতাশার মতে, দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতির প্রত্যাশা নেই কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও ‘বিস্তর ফারাক’ রয়েছে।
এদিকে নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেও বরাবরের মতো আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করতে ভোলেনি তালেবান। শনিবারের বৈঠক শেষে আফগান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বখতারকে বলেন, ‘আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, তারা যদি আফগান সরকারকে অস্থিতিশীল করার কোনো ধরনের চেষ্টা চালায় এর ফল ভালো হবে না। পারস্পরিক সুসম্পর্কই সবার জন্য ভালো হবে।
আফগানিস্তান নিয়ে ইউএনএইচসিআর
সম্পদের অভাব আফগানদের অর্থনৈতিক দুর্দশা এড়ানোর প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে জানিয়ে, এর ফলে নতুন করে এ অঞ্চলে শরণার্থী সংকট দেখা দিতে পারে বলে শনিবার সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। পাশাপাশি, অবিলম্বে আফগানিস্তানকে প্রতিশ্রুত সহায়তা প্রদান করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র বাবর বেলুচ ইসলামাবাদে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আফগানিস্তানে মানবিক সংকট সত্যিই ভয়াবহ। আরেকটি শরণার্থী সংকট এড়াতে দেশটির প্রতি বিশ্বকে মনোযোগ দিতে হবে।’
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫