এত দ্রুত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটবে–তা অনেকেই কল্পনাও করেননি। কাবুলের বাসিন্দা এবং এই শহরে সাম্প্রতিক সময়ে আশ্রয় নেওয়া অসংখ্য আফগানকে সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক আশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল–এত সহজে কাবুলে পতন ঘটবে না। তাদের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু গতকাল রোববার মাত্র এক দিনের ব্যবধানেই বদলে গেছে পুরো চিত্র। এ অবস্থায় পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছেন না সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা সাধারণ মানুষের একটি বিপুল অংশ।
এত এত আশ্বাস দিয়ে স্বয়ং প্রেসিডেন্টই পালিয়ে গেছেন রোববার। সেদিন কাবুলের পুলিশ পোস্টগুলো শূন্য পড়েছিল। পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের উর্দি ফেলে সাধারণ মানুষের পোশাক পরে গা ঢাকা দিয়েছে। তালেবানের রক্ত চক্ষু এড়াতে মুছে দেওয়া হচ্ছে নগরীর দেওয়ালে দেওয়ালে থাকা নারীদের পোস্টার। চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পারলার। আর শহরের পূর্ব পার্শ্বে থাকা কাবুলের প্রধান কারাগারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই কারাগারে বেশির ভাগ বন্দীই ছিলেন তালেবান।
গত কয়েক দিন ধরেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে অসংখ্য আফগানের ঢল নেমেছিল রাজধানী কাবুলে। তালেবানের হাত থেকে বাঁচতেই এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এই শহরেও যখন তালেবান এল তখন সবার আগেই সরকারি ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এ অবস্থায় রাজধানীর হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে ভিড় করতে শুরু করেছেন হাজার হাজার আফগান। আছেন বিদেশি নাগরিকরাও। পুরো বিমান বন্দরজুড়ে এখন এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে–বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে আছে একটি উড়োজাহাজ। আর এটিতে ওঠার চেষ্টা করছেন শত শত মানুষ। কে কাকে ডিঙিয়ে উঠবে সেই চেষ্টা করছেন সবাই। এমনও দেখা গেছে–অনেকে ঠেলাঠেলিতে না গিয়ে বিমানের সিঁড়ির একটি প্রান্ত ধরেই কোনোরকমে ঝুলে আছেন। যেন এভাবেই তারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাবেন।
এ অবস্থায় গতকাল সোমবার বিমানবন্দরের ভেতর অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, তারা কারও হামলায় নাকি পদদলিত হয়ে মারা গেছেন তা এখনো অস্পষ্ট। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের ফাঁকা গুলি ছোড়ার খবরও পাওয়া গেছে।
এদিকে, রোববারই মার্কিন দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের কোনো ধরনের হুড়োহুড়ির মধ্যে না গিয়ে নিজ নিজ স্থানে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিকসহ মার্কিন নাগরিকদের কাবুলের বিভিন্ন এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে। অন্যান্য দেশও তাদের নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কিন্তু অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে আফগান নাগরিকেরা।
গতকাল নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে পালানোর চেষ্টা করা শাহরা কারিমির কথা বলা হয়। আফগান চলচ্চিত্রের প্রধান এই নারী। নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যায়–পায়ে হেঁটেই তিনি বাড়ি থেকে রওনা হয়েছেন। মাথাটি ওড়নায় ঢেকে হন্যে হয়ে ছুটছেন। আর বলছিলেন, ‘তালেবানরা ঢুকে পড়েছে শহরে। আমরা তাই পালাচ্ছি।’ শেষ পর্যন্ত তিনি পালাতে পেরেছেন কি–না, তা অবশ্য জানা যায়নি।
এত দ্রুত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটবে–তা অনেকেই কল্পনাও করেননি। কাবুলের বাসিন্দা এবং এই শহরে সাম্প্রতিক সময়ে আশ্রয় নেওয়া অসংখ্য আফগানকে সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক আশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল–এত সহজে কাবুলে পতন ঘটবে না। তাদের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু গতকাল রোববার মাত্র এক দিনের ব্যবধানেই বদলে গেছে পুরো চিত্র। এ অবস্থায় পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছেন না সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা সাধারণ মানুষের একটি বিপুল অংশ।
এত এত আশ্বাস দিয়ে স্বয়ং প্রেসিডেন্টই পালিয়ে গেছেন রোববার। সেদিন কাবুলের পুলিশ পোস্টগুলো শূন্য পড়েছিল। পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের উর্দি ফেলে সাধারণ মানুষের পোশাক পরে গা ঢাকা দিয়েছে। তালেবানের রক্ত চক্ষু এড়াতে মুছে দেওয়া হচ্ছে নগরীর দেওয়ালে দেওয়ালে থাকা নারীদের পোস্টার। চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পারলার। আর শহরের পূর্ব পার্শ্বে থাকা কাবুলের প্রধান কারাগারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই কারাগারে বেশির ভাগ বন্দীই ছিলেন তালেবান।
গত কয়েক দিন ধরেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে অসংখ্য আফগানের ঢল নেমেছিল রাজধানী কাবুলে। তালেবানের হাত থেকে বাঁচতেই এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এই শহরেও যখন তালেবান এল তখন সবার আগেই সরকারি ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এ অবস্থায় রাজধানীর হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে ভিড় করতে শুরু করেছেন হাজার হাজার আফগান। আছেন বিদেশি নাগরিকরাও। পুরো বিমান বন্দরজুড়ে এখন এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে–বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে আছে একটি উড়োজাহাজ। আর এটিতে ওঠার চেষ্টা করছেন শত শত মানুষ। কে কাকে ডিঙিয়ে উঠবে সেই চেষ্টা করছেন সবাই। এমনও দেখা গেছে–অনেকে ঠেলাঠেলিতে না গিয়ে বিমানের সিঁড়ির একটি প্রান্ত ধরেই কোনোরকমে ঝুলে আছেন। যেন এভাবেই তারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাবেন।
এ অবস্থায় গতকাল সোমবার বিমানবন্দরের ভেতর অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, তারা কারও হামলায় নাকি পদদলিত হয়ে মারা গেছেন তা এখনো অস্পষ্ট। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের ফাঁকা গুলি ছোড়ার খবরও পাওয়া গেছে।
এদিকে, রোববারই মার্কিন দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের কোনো ধরনের হুড়োহুড়ির মধ্যে না গিয়ে নিজ নিজ স্থানে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিকসহ মার্কিন নাগরিকদের কাবুলের বিভিন্ন এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে। অন্যান্য দেশও তাদের নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কিন্তু অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে আফগান নাগরিকেরা।
গতকাল নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে পালানোর চেষ্টা করা শাহরা কারিমির কথা বলা হয়। আফগান চলচ্চিত্রের প্রধান এই নারী। নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যায়–পায়ে হেঁটেই তিনি বাড়ি থেকে রওনা হয়েছেন। মাথাটি ওড়নায় ঢেকে হন্যে হয়ে ছুটছেন। আর বলছিলেন, ‘তালেবানরা ঢুকে পড়েছে শহরে। আমরা তাই পালাচ্ছি।’ শেষ পর্যন্ত তিনি পালাতে পেরেছেন কি–না, তা অবশ্য জানা যায়নি।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১২ আগস্ট ২০২৫আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
১২ আগস্ট ২০২৫পাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
১২ আগস্ট ২০২৫