ইরান ও ইসরায়েল উভয়েই ভারতের মিত্র দেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যকার সংঘাতের কারণে উভয়সংকটে পড়েছে দেশটি। বিশেষ করে উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি। এই অবস্থায় ভারত এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ নেয়নি। তবে জানিয়েছে, বর্তমান সংকটের পরিণতির পূর্ণাঙ্গ স্বরূপ মূল্যায়নের পরই কেবল দেশটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে।
গত শনিবার ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দেশকেই ‘ধৈর্য ধরার’ আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি ‘সংলাপ ও কূটনীতির’ মাধ্যমে সংকট সমাধানে পরামর্শ দিয়েছে। নয়াদিল্লি এই সংঘাতকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এর ফলে অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের কৌশলগত মৈত্রী আছে। দুই দেশ বিগত কয়েক দশক ধরেই প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ জোট সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়।
এমনকি প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি ইসরায়েল সফরও করেছেন। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ উষ্ণ। সব মিলিয়ে ভারতের কাছে ইসরায়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, বিশেষ করে নিরাপত্তা খাতে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও রাশিয়ার পর ইসরায়েলই ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী।
এদিকে, ইরানের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। কয়েক শ বছরের পুরোনো। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দুই দেশই সেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে গেছে। এমনকি ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরও ভাটা পড়েনি দুই দেশের সম্পর্কে।
ইরান ভারতে অন্যতম প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশ। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আগে ইরান ভারতে দ্বিতীয় শীর্ষ তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল। বিগত চার বছর ধরে ইরান থেকে ভারত কোনো জ্বালানি তেল না কিনতে পারলেও দুই দেশের সম্পর্ক এখনো অটুট।
সর্বশেষ ২০২২ সালে ইরান ও ভারত একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। বছরখানেক আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শংকর নিজেও ইরান সফরে গিয়েছিলেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে। এ ছাড়া ইরানে ভারতের বিশাল বিনিয়োগ আছে। একটি উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রকল্প হলো ইরানে চাবাহার বন্দর নির্মাণ।
তবে এই সংঘাতের ফলাফল হিসেবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি হরমুজ প্রণালি থেকে ইসরায়েলি মালিকানার একটি মালবাহী জাহাজ আটক করে। সেই জাহাজের বেশ কয়েকজন নাবিক ভারতীয়। অবশ্য ইরানি কর্তৃপক্ষ নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে, তাঁরা ভারতীয় নাবিকদের সঙ্গে দেশটি কর্মকর্তাদের দেখা করার ব্যবস্থা করবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
সব মিলিয়ে ইরান ও ইসরায়েলের মতো ভারতের দুই মিত্র দেশ একে অপরের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় নয়াদিল্লি বেশ খানিকটা উদ্বিগ্ন। তবে দেশটি দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে এখনই নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। বরং অপেক্ষা করে পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র মূল্যায়নের পরই সে বিষয়ে এগিয়ে যেতে চায়।
এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্যসচিব সুনিল বার্থওয়ালে বলেছেন, ‘আঞ্চলিক সংঘাতের সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত। এটা অবশ্য সত্যি যে, সংঘাতের আবহ না থাকলে আমাদের পণ্যের রপ্তানি আরও বাড়ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা পরিপূর্ণভাবে বোঝার পরপরই কেবল নীতিগত হস্তক্ষেপ করা হবে এবং এই ধারাবাহিকতায় সমস্যাগুলোর সমাধানে যা যা করা প্রয়োজন তা সরকার অবশ্যই করবে।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস
ইরান ও ইসরায়েল উভয়েই ভারতের মিত্র দেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যকার সংঘাতের কারণে উভয়সংকটে পড়েছে দেশটি। বিশেষ করে উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি। এই অবস্থায় ভারত এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ নেয়নি। তবে জানিয়েছে, বর্তমান সংকটের পরিণতির পূর্ণাঙ্গ স্বরূপ মূল্যায়নের পরই কেবল দেশটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে।
গত শনিবার ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দেশকেই ‘ধৈর্য ধরার’ আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি ‘সংলাপ ও কূটনীতির’ মাধ্যমে সংকট সমাধানে পরামর্শ দিয়েছে। নয়াদিল্লি এই সংঘাতকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এর ফলে অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের কৌশলগত মৈত্রী আছে। দুই দেশ বিগত কয়েক দশক ধরেই প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ জোট সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়।
এমনকি প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি ইসরায়েল সফরও করেছেন। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ উষ্ণ। সব মিলিয়ে ভারতের কাছে ইসরায়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, বিশেষ করে নিরাপত্তা খাতে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও রাশিয়ার পর ইসরায়েলই ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী।
এদিকে, ইরানের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। কয়েক শ বছরের পুরোনো। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দুই দেশই সেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে গেছে। এমনকি ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরও ভাটা পড়েনি দুই দেশের সম্পর্কে।
ইরান ভারতে অন্যতম প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশ। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আগে ইরান ভারতে দ্বিতীয় শীর্ষ তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল। বিগত চার বছর ধরে ইরান থেকে ভারত কোনো জ্বালানি তেল না কিনতে পারলেও দুই দেশের সম্পর্ক এখনো অটুট।
সর্বশেষ ২০২২ সালে ইরান ও ভারত একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। বছরখানেক আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শংকর নিজেও ইরান সফরে গিয়েছিলেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে। এ ছাড়া ইরানে ভারতের বিশাল বিনিয়োগ আছে। একটি উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রকল্প হলো ইরানে চাবাহার বন্দর নির্মাণ।
তবে এই সংঘাতের ফলাফল হিসেবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি হরমুজ প্রণালি থেকে ইসরায়েলি মালিকানার একটি মালবাহী জাহাজ আটক করে। সেই জাহাজের বেশ কয়েকজন নাবিক ভারতীয়। অবশ্য ইরানি কর্তৃপক্ষ নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে, তাঁরা ভারতীয় নাবিকদের সঙ্গে দেশটি কর্মকর্তাদের দেখা করার ব্যবস্থা করবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
সব মিলিয়ে ইরান ও ইসরায়েলের মতো ভারতের দুই মিত্র দেশ একে অপরের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় নয়াদিল্লি বেশ খানিকটা উদ্বিগ্ন। তবে দেশটি দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে এখনই নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। বরং অপেক্ষা করে পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র মূল্যায়নের পরই সে বিষয়ে এগিয়ে যেতে চায়।
এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্যসচিব সুনিল বার্থওয়ালে বলেছেন, ‘আঞ্চলিক সংঘাতের সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত। এটা অবশ্য সত্যি যে, সংঘাতের আবহ না থাকলে আমাদের পণ্যের রপ্তানি আরও বাড়ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা পরিপূর্ণভাবে বোঝার পরপরই কেবল নীতিগত হস্তক্ষেপ করা হবে এবং এই ধারাবাহিকতায় সমস্যাগুলোর সমাধানে যা যা করা প্রয়োজন তা সরকার অবশ্যই করবে।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং এর প্রধান সহযোগী একটি গ্রুপকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়।
২৩ দিন আগেজাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা শিগগিরই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২৩ দিন আগেআরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এক রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, ভারতকে পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু নদীর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর পানি অবাধভাবে প্রবাহিত হতে দিতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, ভারতের নতুন হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পসমূহ চুক্তির নির্ধারিত মানদণ্
২৩ দিন আগেপাকিস্তান আবারও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভারত পাকিস্তানের ‘বড় ক্ষতি’ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী...
২৩ দিন আগে