অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
আমাদের জিব লক লক করে ওঠে মিষ্টি দেখলে, লালাও ঝরে। মিষ্টি-মণ্ডা দেখলেই কেমন যেন খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু মিষ্টির চেয়ে তিতা যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা কজনে জেনেছেন? আদা, তিত করলা, চিরতা, নিমপাতা কী চমৎকার স্বাস্থ্যের জন্য! পাচকতন্ত্রের জন্য তিতা স্বাদের খাবার খুব উপকারী।
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ তিতা পাতা, মূল, ফলকে পরিপাক টনিক হিসেবে ব্যবহার করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পেট পুরে খাওয়ার পর তিতা বেশ হজমি হয়ে ওঠে।
‘ইনটেগ্রেটিভ হেলথ এক্সপার্ট’ ও ‘ডিসকভার দ্য সিক্রেট টু পারফেক্ট হেলথ’ এমন কয়েকটি বেস্ট সেলার বইয়ের লেখক ডা. তাজ ভাটিয়া, এম ডি বলেন, ‘তিতা খাবারকে তিতা বলে সেগুলোর স্বাদের জন্য। আর কর্মের জন্য এরা লালা ক্ষরণ ও অম্ল রস বাড়ায়।’
ডা. ভাটিয়া বলেন, ‘তিতা খাবার পরিপাকতন্ত্র উদ্দীপ্ত করে আর অন্ত্রে খাদ্যের শোষণ বাড়ায়।’
তিতা খেলে পাকস্থলীর অম্ল রস ক্ষরণ হয়। তাতে পরিপাকের অন্যান্য প্রক্রিয়া সচল হয় এবং অন্ত্রে এর প্রভাব পড়ে। তিতা খেলে পাচক এনজাইম নিঃসরণ বাড়ে, ফলে অন্ত্রে খাদ্যকণার শোষণ বেড়ে যায়।
এ ছাড়া তিতা বাড়তি এনজাইম ঠেকায়। ঠেকায় লিকি গাঁট। পরিপাকতন্ত্র চুঁইয়ে খাদ্যকণা আর অণুজীব বাইরে পড়ে ঘটায় প্রদাহ। এমন ঘটনাও সামাল দেয় তিতা।
আরও তথ্য-প্রমাণ আছে, তিতা খাবার অন্ত্রে কাজ করে প্রবায়োটিকের মতো। এ ধরনের খাবারে আছে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ। এগুলো অন্ত্রের উপকারী জীবাণুর বৃদ্ধিকে উদ্দীপ্ত করে।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, তিতা খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে মিষ্টির প্রতি আগ্রহ দমাতে সহায়তা করে। ক্লিফরড আর সেডিভি আরও বলেন, ‘তিতা খাবার উদ্ভিজ্জ ও ভিটামিন, খনিজ আর আঁশে সমৃদ্ধ। তাই এগুলো অত্যন্ত পুষ্টিকর।’
আজকাল বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্ক, পরিপাকতন্ত্র ও যকৃতের ওপর স্বাদ গ্রাহকের ভূমিকা বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা করছেন। করলা সেদ্ধ, নিমপাতা ভাজি—এসব তিতা দিয়ে একসময় বাঙালির খাবার শুরু হতো। দশম শতকে বাগদাদি রান্নায় তিতার প্রাধান্য ছিল। তিতা পাটশাক, গিমা শাক আর ঘি দিয়ে নিমপাতা ভাজি। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, সোনা মুগের ডাল আর উচ্ছে ভাজার কথা। মেথিশাক, শজনে ফুলও তিতা মুখের স্বাদ বদলায়।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
আমাদের জিব লক লক করে ওঠে মিষ্টি দেখলে, লালাও ঝরে। মিষ্টি-মণ্ডা দেখলেই কেমন যেন খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু মিষ্টির চেয়ে তিতা যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা কজনে জেনেছেন? আদা, তিত করলা, চিরতা, নিমপাতা কী চমৎকার স্বাস্থ্যের জন্য! পাচকতন্ত্রের জন্য তিতা স্বাদের খাবার খুব উপকারী।
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ তিতা পাতা, মূল, ফলকে পরিপাক টনিক হিসেবে ব্যবহার করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পেট পুরে খাওয়ার পর তিতা বেশ হজমি হয়ে ওঠে।
‘ইনটেগ্রেটিভ হেলথ এক্সপার্ট’ ও ‘ডিসকভার দ্য সিক্রেট টু পারফেক্ট হেলথ’ এমন কয়েকটি বেস্ট সেলার বইয়ের লেখক ডা. তাজ ভাটিয়া, এম ডি বলেন, ‘তিতা খাবারকে তিতা বলে সেগুলোর স্বাদের জন্য। আর কর্মের জন্য এরা লালা ক্ষরণ ও অম্ল রস বাড়ায়।’
ডা. ভাটিয়া বলেন, ‘তিতা খাবার পরিপাকতন্ত্র উদ্দীপ্ত করে আর অন্ত্রে খাদ্যের শোষণ বাড়ায়।’
তিতা খেলে পাকস্থলীর অম্ল রস ক্ষরণ হয়। তাতে পরিপাকের অন্যান্য প্রক্রিয়া সচল হয় এবং অন্ত্রে এর প্রভাব পড়ে। তিতা খেলে পাচক এনজাইম নিঃসরণ বাড়ে, ফলে অন্ত্রে খাদ্যকণার শোষণ বেড়ে যায়।
এ ছাড়া তিতা বাড়তি এনজাইম ঠেকায়। ঠেকায় লিকি গাঁট। পরিপাকতন্ত্র চুঁইয়ে খাদ্যকণা আর অণুজীব বাইরে পড়ে ঘটায় প্রদাহ। এমন ঘটনাও সামাল দেয় তিতা।
আরও তথ্য-প্রমাণ আছে, তিতা খাবার অন্ত্রে কাজ করে প্রবায়োটিকের মতো। এ ধরনের খাবারে আছে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ। এগুলো অন্ত্রের উপকারী জীবাণুর বৃদ্ধিকে উদ্দীপ্ত করে।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, তিতা খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে মিষ্টির প্রতি আগ্রহ দমাতে সহায়তা করে। ক্লিফরড আর সেডিভি আরও বলেন, ‘তিতা খাবার উদ্ভিজ্জ ও ভিটামিন, খনিজ আর আঁশে সমৃদ্ধ। তাই এগুলো অত্যন্ত পুষ্টিকর।’
আজকাল বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্ক, পরিপাকতন্ত্র ও যকৃতের ওপর স্বাদ গ্রাহকের ভূমিকা বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা করছেন। করলা সেদ্ধ, নিমপাতা ভাজি—এসব তিতা দিয়ে একসময় বাঙালির খাবার শুরু হতো। দশম শতকে বাগদাদি রান্নায় তিতার প্রাধান্য ছিল। তিতা পাটশাক, গিমা শাক আর ঘি দিয়ে নিমপাতা ভাজি। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, সোনা মুগের ডাল আর উচ্ছে ভাজার কথা। মেথিশাক, শজনে ফুলও তিতা মুখের স্বাদ বদলায়।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুমোদিত করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১১ আগস্ট ২০২৫ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) নামের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের বহু মানুষ। তবে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে এ সমস্যা কমে যেতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
১১ আগস্ট ২০২৫বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে সভাপতি, মহাসচিবসহ পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছেন হারুন-শাকিল প্যানেল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
১০ আগস্ট ২০২৫