ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
নিজ বাসায় যুব মহিলা লীগের নেত্রীকে যুবদলের এক কর্মী নির্মমভাবে পেটাচ্ছে— এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজে পোস্ট করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একটি আধাপাকা ঘরের মাঝখানে এক নারীকে বড় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। আর ওই নারী মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন।
‘Bodier Matubber’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘এই দখলদার ইউনুস সাহেবের শাসন আমল বাহ্ কি চমৎকার এইমাত্র জানা গেলো যুব মহিলালীগের নেত্রীকে বাসায় গিয়ে হাড়গোড় ভেঙ্গে দিয়েছে যুবদলের এক দুর্ধর্ষ ক্যাডার। দেশে যদি কোন আইন থাকে তাকে আইনের আওতায় আনা হক। আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। একদিন এর কঠিন বিচার হবে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর রাত ৮টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৪ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ২২৫। পোস্টে ৪৫টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৭৮। এসব কমেন্টে ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার বলে কেউ কেউ কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছেন। মো. এনামুল হক এনামুল নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘হে আল্লাহ তুমি জুলুমবাজ দের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করো।’ (বানান অপরিবর্তিত) Uzzal Mridha লিখেছে, ‘কার কাছে বিচার চাইবে এই হতভাগা জাতি।’ (বানান অপরিবর্তিত)
‘সত্যের কথা বলি’, ‘Md Biplob’ ও ‘AR IF’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
এই পোস্টগুলোর কোথাও স্থান বা সূত্রের উল্লেখ নেই।
ভিডিওটির কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘news 24 online’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি আজকে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত হয়। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে থাকা নারী ও মধ্য বয়সী পুরুষ, তাঁদের পোশাক, ঘরের অবস্থানের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদনটি হিন্দি ভাষায় লেখা। ভাষান্তর করে জানা যায়, ঘটনাটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এলাকার। এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটানোর ভিডিও পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
রিইভার্স ইমেজ সার্চে একই তথ্যে ভিডিওটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম রিপাবলিকের এক্স অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) পাওয়া যায়।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে এসব তথ্যসূত্র গুগলে সার্চ করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম রিপাবলিকে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ভারতের জম্মুর আম্ব ঘরোটা এলাকার। ভিডিও যাকে দেখা যাচ্ছিল, তার নাম সাদাক হুসেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিলেন। সেই ভিডিও খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত সাদাক হুসেনকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয়।
একই তথ্য আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ETV Bharat ও News18 এর প্রতিবেদন থেকে একই তথ্য জানা যায়।
সুতরাং, যুব মহিলা লীগের নেত্রীকে নিজ বাসায় গিয়ে যুবদলের এক কর্মী নির্মমভাবে পেটানোর দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ভিডিওটি বাংলাদেশের ঘটনা নয়। সেটি ভারতের জম্মুতে এক ব্যক্তির স্ত্রীকে পেটানোর ঘটনা।
নিজ বাসায় যুব মহিলা লীগের নেত্রীকে যুবদলের এক কর্মী নির্মমভাবে পেটাচ্ছে— এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজে পোস্ট করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একটি আধাপাকা ঘরের মাঝখানে এক নারীকে বড় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। আর ওই নারী মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন।
‘Bodier Matubber’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘এই দখলদার ইউনুস সাহেবের শাসন আমল বাহ্ কি চমৎকার এইমাত্র জানা গেলো যুব মহিলালীগের নেত্রীকে বাসায় গিয়ে হাড়গোড় ভেঙ্গে দিয়েছে যুবদলের এক দুর্ধর্ষ ক্যাডার। দেশে যদি কোন আইন থাকে তাকে আইনের আওতায় আনা হক। আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। একদিন এর কঠিন বিচার হবে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর রাত ৮টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৪ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ২২৫। পোস্টে ৪৫টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৭৮। এসব কমেন্টে ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার বলে কেউ কেউ কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছেন। মো. এনামুল হক এনামুল নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘হে আল্লাহ তুমি জুলুমবাজ দের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করো।’ (বানান অপরিবর্তিত) Uzzal Mridha লিখেছে, ‘কার কাছে বিচার চাইবে এই হতভাগা জাতি।’ (বানান অপরিবর্তিত)
‘সত্যের কথা বলি’, ‘Md Biplob’ ও ‘AR IF’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
এই পোস্টগুলোর কোথাও স্থান বা সূত্রের উল্লেখ নেই।
ভিডিওটির কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘news 24 online’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি আজকে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত হয়। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে থাকা নারী ও মধ্য বয়সী পুরুষ, তাঁদের পোশাক, ঘরের অবস্থানের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদনটি হিন্দি ভাষায় লেখা। ভাষান্তর করে জানা যায়, ঘটনাটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এলাকার। এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটানোর ভিডিও পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
রিইভার্স ইমেজ সার্চে একই তথ্যে ভিডিওটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম রিপাবলিকের এক্স অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) পাওয়া যায়।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে এসব তথ্যসূত্র গুগলে সার্চ করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম রিপাবলিকে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ভারতের জম্মুর আম্ব ঘরোটা এলাকার। ভিডিও যাকে দেখা যাচ্ছিল, তার নাম সাদাক হুসেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিলেন। সেই ভিডিও খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত সাদাক হুসেনকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয়।
একই তথ্য আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ETV Bharat ও News18 এর প্রতিবেদন থেকে একই তথ্য জানা যায়।
সুতরাং, যুব মহিলা লীগের নেত্রীকে নিজ বাসায় গিয়ে যুবদলের এক কর্মী নির্মমভাবে পেটানোর দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ভিডিওটি বাংলাদেশের ঘটনা নয়। সেটি ভারতের জম্মুতে এক ব্যক্তির স্ত্রীকে পেটানোর ঘটনা।
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
২৯ জুন ২০২৫