Ajker Patrika

কারাবন্দী সু চির ছবি নয় এটি

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২: ৩২
কারাবন্দী সু চির ছবি নয় এটি

ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে অনেকেই দাবি করছেন, মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চির কারাবন্দী অবস্থার ছবি এটি।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী বন্দী সেলের বিছানায় বসে আছেন। বিছানার পাশেই একটি কমোড।

বেশির ভাগ পোস্টের ক্যাপশন এভাবে লেখা হয়েছে, ‘দেখেনতো চিনেন কি না? আমি কিন্তু চিনতে পারছি, তবে খুব কষ্ট হইছে চিনতে। ক্ষমতা এমন এক জিনিস আজ আছে তো কাল নেই। এটাই সবার জন্য বড় শিক্ষা!’

এ রকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

মূল ছবি (বাঁয়ে), সম্পাদনা করা ছবি (ডানে)ফ্যাক্টচেক
বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত ১১ মার্চের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর সু চিকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে এবং তাঁর দলের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাইকে আটক করা হয়েছে।

ছবিটি সম্পাদনা করা
রিভার্স ইমেজ সার্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্য আরেকটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এই ছবিতে কয়েদির খাটে বসা নারীটির মুখের অংশটি ছাড়া বাকি অংশ হুবহু একই রকম। 

অনলাইনে ছবি যাচাইয়ের ওয়েবসাইট ফটো–ফরেনসিকের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, আসল ছবির নারীর মুখের অংশ সম্পাদনা করে অং সান সু চির মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।   

ফটো ফরেনসিকে জানা যায়, ছবির নারীর মুখের অংশটি সম্পাদনা করা হয়েছেমূল ছবিটি আট বছর আগের
ছবিটির উৎস যাচাই করে দেখা যায়, উইকিমিডিয়া কমোনস ওয়েবসাইটে ২০১৩ সালের ১২ জুলাই ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ইংরেজি ভাষায় লেখা ছবির বর্ণনার অংশটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, গরাদের পেছনে একজন নারী কারাবন্দী, যার কারাকক্ষে রয়েছে একটি টয়লেট, একটি বিছানা। কয়েদিদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কারাকক্ষের নকশা করা হয়েছে।

তবে ছবিটি কার বা কোথায় তোলা, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শতাধিক ওয়েবসাইটে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটগুলোতে বিভিন্ন আইনি বিষয় নিয়ে লেখা ব্লগে প্রতীকী ছবি হিসেবে ছবিটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

সু চির বর্তমান অবস্থা
গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চিসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী। আটক হওয়ার পর থেকে সু চির কোনো ছবি গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সিদ্ধান্ত
কারাবন্দী অং সান সু চির ছবি দাবি করে যে ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি সম্পাদনা করা। মূল ছবিটি ২০১৩ সালে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত