Ajker Patrika

তোষামোদ ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪২
তোষামোদ  ব্যক্তিত্ব  নষ্ট করে

তোষামোদ বা অতি প্রশংসা করা ব্যক্তিজীবনের একটি নিকৃষ্ট স্বভাব। এর মাধ্যমে পরোক্ষ মিথ্যা বলা হয়ে থাকে। যারা অতি প্রশংসা করে, তারা কেবল উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এসব করে। তোষামোদকারী কারও উদ্দেশে যা বলে, তা সে অন্তরে বিশ্বাস করে না, ফলে তা মোনাফেকি ও প্রতারণার আওতায় পড়ে। এভাবে প্রশংসা করে তোষামোদকারী নিজেকে অন্যের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করে। অপর দিকে যার প্রশংসা করা হয়, সে অহংকারের কারণে অন্যকে তুচ্ছ করে এবং আরও বেশি প্রশংসা শোনার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা তাদের কৃতকর্মের প্রতি খুশি হয় এবং যা তারা করেনি তা নিয়ে প্রশংসিত হতে পছন্দ করে, তুমি তাদের আজাব থেকে মুক্ত মনে কোরো না।’ (সুরা আলে-ইমরান/ ১৮৮)

উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তোষামোদ করার অর্থ হলো ব্যক্তির ক্ষতি করা। একদা মহানবী (সা.) কারও অতি প্রশংসা শুনে বলেছিলেন, ‘তুমি তো লোকটির মেরুদণ্ড ভেঙে দিলে। যদি কারও প্রশংসা করতেই হয় তবে বলবে, আমি তার সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করি।’ (বুখারি) যদি কেউ কারও সামনে মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করে, তবে তার অহংকার করা যাবে না, বরং চুপ থাকতে হবে। যাতে তোষামোদকারী লজ্জিত হয়। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি কাউকে মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করতে দেখো, তাহলে তার মুখে মাটি ছুড়ে মারবে।’ (মুসলিম) এমনকি কোনো ফাসিক বা পাপী ব্যক্তির প্রশংসা করাও জঘন্য অপরাধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো পাপীর প্রশংসা করা হলে আল্লাহ ক্রোধান্বিত হন এবং তাঁর আরশ প্রকম্পিত হয়।’ (বায়হাকি)

ব্যক্তির প্রশংসা যদি কারও কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে এবং সমাজ ও দেশ গঠনে সহায়তা করে, তবে যথাযোগ্য প্রশংসা করা যায়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত