জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের গুরুত্বপূর্ণ অবদান চোখে পড়ে। দারিদ্র্য হ্রাস, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তুলতে রেমিট্যান্স অনন্য অবদান রাখছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ অবদান আরও বেড়েছে। চলমান মহামারি পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতিকে যে ঝুঁকির মুখোমুখি করেছে, তা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও রেমিট্যান্সের অবদান রয়েছে। করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স কিছুটা কমলেও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে বেড়েছে। সরকারের দিক থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে।
মানুষ উন্নত বেতন, উন্নত জীবনযাত্রার জন্য নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যান কর্মজীবন শুরু করতে। যার ফলে, বিদেশে কর্মরত এবং বিদেশে বাস করা লোকেরা প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স আয় করেন এবং আয় করা রেমিট্যান্স নিজ দেশে পাঠান। যত বেশি লোক বিদেশে কাজ করেন, তত বেশি রেমিট্যান্স দেশের আয় হিসাবে যোগ হয়।
বর্তমানে দেশের মোট অভিবাসনের একটি বড় অংশজুড়ে আছে শ্রমিকদের অস্থায়ী দেশান্তর। ১৯৬৭-৭৭ সাল পর্যন্ত বিদেশে কাজ করত এমন লোকের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ হাজার। আর বর্তমানে ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি বিদেশে অর্থোপার্জন করে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখছেন।
২০১৮ সালে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের অভিবাসী ও শ্রমিকদের গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করে, সেখানে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন, কাতার ও আফ্রিকার লিবিয়া বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর কানাডাও বাংলাদেশের অভিবাসীদের কাছে অন্যতম গন্তব্য হিসেবে উঠে আসে।
রেমিট্যান্স নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ১৯৭৬-৭৭ সালে মাত্র ৪৯ মিলিয়ন (৪ কোটি ৯০ লাখ) ডলার দিয়ে শুরু হলেও ২০২০ সালে বাংলাদেশ ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (১ ডলার=৮৪ ডলার) রেমিট্যান্স পেয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। সবচেয়ে বড় কথা রেমিট্যান্সের টাকায় দেশের আমদানি ব্যয়ের একটি বড় অংশ মেটানো হয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পেছনেও রেমিট্যান্সের অবদান।
২০১৬ সালের খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ খানার অন্তত একজন সদস্য প্রবাসী অভিবাসী। বিষয়টি স্বাভাবিক যে শহরের তুলনায় গ্রাম থেকে অভিবাসনের হারই বেশি। গ্রামের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৬৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ অর্থই ব্যয় হয়ে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষেত্রে। এ ছাড়া ২৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ রেমিট্যান্স ব্যবহার হয় বিভিন্ন বিনিয়োগে, ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বিভিন্ন টেকসই দ্রব্যের বিনিয়োগে এবং বাকি অংশ সঞ্চয়ে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ডায়নামিকসে অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তা বিভিন্ন পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। তুলনামূলকভাবে দেখা গেছে, অভিবাসী আছে গ্রামের এমন খানাগুলোয় দারিদ্র্যের হার কম এবং খাদ্য ও খাদ্য-বহির্ভূত খরচের পরিমাণ বেশি।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে টাকা দেশে তাঁদের স্বজনদের কাছে পাঠাচ্ছেন, তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসছে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগের অংক। স্বাধীনতার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে সৌদি আরব থেকে। এর পরের অবস্থানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশের ৫০ বছরে রেমিট্যান্সের অবদান বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, দেশে রেমিট্যান্সের অবদান ২০ বছর আগেও অত বেশি ছিল না। ৯০-এর দশকে বেশ কিছু চুক্তি হয়। এরপর বিদেশে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ে। রেমিট্যান্সের প্রভাবে দেশের রিজার্ভ বেড়েছে। রেমিট্যান্সের টাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যেসব এলাকায় বেশি রেমিট্যান্স আসছে সেখানে জমির দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রভাবে ব্যালেন্স অব পেমেন্টেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের গুরুত্বপূর্ণ অবদান চোখে পড়ে। দারিদ্র্য হ্রাস, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তুলতে রেমিট্যান্স অনন্য অবদান রাখছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ অবদান আরও বেড়েছে। চলমান মহামারি পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতিকে যে ঝুঁকির মুখোমুখি করেছে, তা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও রেমিট্যান্সের অবদান রয়েছে। করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স কিছুটা কমলেও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে বেড়েছে। সরকারের দিক থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে।
মানুষ উন্নত বেতন, উন্নত জীবনযাত্রার জন্য নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যান কর্মজীবন শুরু করতে। যার ফলে, বিদেশে কর্মরত এবং বিদেশে বাস করা লোকেরা প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স আয় করেন এবং আয় করা রেমিট্যান্স নিজ দেশে পাঠান। যত বেশি লোক বিদেশে কাজ করেন, তত বেশি রেমিট্যান্স দেশের আয় হিসাবে যোগ হয়।
বর্তমানে দেশের মোট অভিবাসনের একটি বড় অংশজুড়ে আছে শ্রমিকদের অস্থায়ী দেশান্তর। ১৯৬৭-৭৭ সাল পর্যন্ত বিদেশে কাজ করত এমন লোকের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ হাজার। আর বর্তমানে ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি বিদেশে অর্থোপার্জন করে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখছেন।
২০১৮ সালে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের অভিবাসী ও শ্রমিকদের গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করে, সেখানে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন, কাতার ও আফ্রিকার লিবিয়া বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর কানাডাও বাংলাদেশের অভিবাসীদের কাছে অন্যতম গন্তব্য হিসেবে উঠে আসে।
রেমিট্যান্স নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ১৯৭৬-৭৭ সালে মাত্র ৪৯ মিলিয়ন (৪ কোটি ৯০ লাখ) ডলার দিয়ে শুরু হলেও ২০২০ সালে বাংলাদেশ ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (১ ডলার=৮৪ ডলার) রেমিট্যান্স পেয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। সবচেয়ে বড় কথা রেমিট্যান্সের টাকায় দেশের আমদানি ব্যয়ের একটি বড় অংশ মেটানো হয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পেছনেও রেমিট্যান্সের অবদান।
২০১৬ সালের খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ খানার অন্তত একজন সদস্য প্রবাসী অভিবাসী। বিষয়টি স্বাভাবিক যে শহরের তুলনায় গ্রাম থেকে অভিবাসনের হারই বেশি। গ্রামের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৬৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ অর্থই ব্যয় হয়ে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষেত্রে। এ ছাড়া ২৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ রেমিট্যান্স ব্যবহার হয় বিভিন্ন বিনিয়োগে, ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বিভিন্ন টেকসই দ্রব্যের বিনিয়োগে এবং বাকি অংশ সঞ্চয়ে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ডায়নামিকসে অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তা বিভিন্ন পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। তুলনামূলকভাবে দেখা গেছে, অভিবাসী আছে গ্রামের এমন খানাগুলোয় দারিদ্র্যের হার কম এবং খাদ্য ও খাদ্য-বহির্ভূত খরচের পরিমাণ বেশি।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে টাকা দেশে তাঁদের স্বজনদের কাছে পাঠাচ্ছেন, তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসছে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগের অংক। স্বাধীনতার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে সৌদি আরব থেকে। এর পরের অবস্থানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশের ৫০ বছরে রেমিট্যান্সের অবদান বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, দেশে রেমিট্যান্সের অবদান ২০ বছর আগেও অত বেশি ছিল না। ৯০-এর দশকে বেশ কিছু চুক্তি হয়। এরপর বিদেশে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ে। রেমিট্যান্সের প্রভাবে দেশের রিজার্ভ বেড়েছে। রেমিট্যান্সের টাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যেসব এলাকায় বেশি রেমিট্যান্স আসছে সেখানে জমির দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রভাবে ব্যালেন্স অব পেমেন্টেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫