Ajker Patrika

দুর্গাপূজায় তানোরে কদর বাড়ল নারকেলের

মিজানুর রহমান, তানোর
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ২২: ০১
দুর্গাপূজায় তানোরে কদর বাড়ল নারকেলের

পূজার সময় নাড়ু বানানোর রীতি অনেক পুরোনো। গ্রামে বা শহরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব পরিবারে বানানো হয় নানা স্বাদের নারকেলের নাড়ু। পুজোতে বেড়াতে আসা অতিথিদের মুড়ি, বিভিন্ন ধরনের ফল, লুচি ও মিষ্টির সঙ্গে নাড়ু দিয়ে আপ্যায়ন করা হিন্দু সম্প্রদায়ের রীতি। এই নাড়ু তৈরিতে প্রয়োজন হয় নারকেলের। তাই পূজার সময় অন্য অঞ্চলের মতো রাজশাহীর তানোর উপজেলাতেও নারকেলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

আগামীকাল দুর্গাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজাকে কেন্দ্র করে উপজেলায় বেড়েছে নারকেলের চাহিদা।

তানোরে প্রকারভেদে একেকটি নারকেল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮৫ টাকায়।

তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরশহরসহ পুরো তানোর উপজেলায় প্রায় ১৪ জন নারকেলের পাইকারি বিক্রেতা আছে। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতা আছে প্রায় ২৫ জন। ভিড়টা বেশি পাইকারি দোকানে।

উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকার বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, ‘বাড়িতে নারকেলের গাছ নাই। পূজার সময় বাড়িতে নাড়ু না হলে কেমন একটা খাপছাড়া দেখায়। নাড়ু ছাড়া পূজার খাবার যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজনদের নাড়ু দিয়েই তো আপ্যায়ন করতে হবে। এ জন্য ১১টি মাঝারি আকারের নারকেলে কিনেছি।’

হরিপুর গ্রামের তাজমুল তাজ জানান, বাড়িতে ছেলে-মেয়ে আছে। তাদের জন্য নারকেল কিনছেন। নারকেল দিয়ে নাড়ুর পাশাপাশি ক্ষীর ও পায়েস করা হবে।

পৌরসদরের চাপড়া বাজারের প্রসেনজিৎ কুমার বলেন, ‘পূজাতে নাড়ু ছাড়া চিন্তা করা যায় না কোনো হিন্দুবাড়ি। তাই পূজাতে খাবারের তালিকায় থাকে বিভিন্ন রকম নাড়ু।’

তানোর উপজেলার পাইকারি নারকেল বিক্রেতা ময়েজ আলী বলেন, পূজার মৌসুমে নারকেলের চাহিদা বেড়ে যায়। এলাকা ছাড়াও বরিশাল থেকে নারকেল নিয়ে আসছেন তাঁরা। এখন পূজার সময় গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০টি নারকেল বিক্রি করেন। প্রতিটি নারকেল আকারভেদে দাম ৪০ থেকে ৮৫ টাকা। পূজায় বেশি বিক্রি হলেও অন্য সময় দিনে ৫০ থেকে ৮০টি নারকেল বিক্রি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত