Ajker Patrika

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এক বছরে নারী গ্রাহক বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৩০
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এক বছরে নারী গ্রাহক বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি

করোনাকালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েই চলছে। দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার আওতায় শতকরা ৪৬ দশমিক ৫২ ভাগ গ্রাহকই নারী। এমনকি নারীদের জমা করা আমানতও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুন মাসে নারী গ্রাহকের সংখ্যা শতকরা ৪৬ দশমিক ৫২ ভাগ। আর ২০২০ সালের জুন মাসে তা ছিল শতকরা ৩০ ভাগ এবং ২০১৯ সালে জুন মাসে ছিল শতকরা ২০ ভাগ।

সারা দেশে ২৮টি ব্যাংক ১৭ হাজার ১৪৫টি আউটলেট এবং ১২ হাজার ৯১২টি এজেন্টের মাধ্যমে তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২১ অর্থবছরে এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ছিল ১ কোটি ২২ লাখ। যার মধ্যে নারী গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার। শতকরা হিসাবে যা ৪৬ দশমিক ৫২ ভাগ। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৭২১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার যে কেউ চাইলেই এখন টাকা লেনদেন করতে পারছেন। যেকোনো প্রয়োজনে দরকার হলে অল্প সময়েই টাকা পাচ্ছেন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যয়ও সাশ্রয়ী। আর গ্রামাঞ্চলের নারীরাই সবচেয়ে বেশি এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় যুক্ত হচ্ছেন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারির কারণে নারীরা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দিকে অধিক হারে ঝুঁকেছেন। সে জন্যই নতুন ধারার এ ব্যাংকিংয়ে আমানত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামস্-উল ইসলাম বলেন, দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এজেন্ট ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবাকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

ব্যাংকগুলোতে নারী গ্রাহকের হিসাব ২০২০ সালে ৩০ শতাংশের মতো থাকলেও এখন তা শতকরা ৪৫ ভাগের সীমানা ছুঁয়েছে জানিয়ে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে গ্রামীণ নারীরা অধিক হারে যুক্ত হচ্ছেন। কারণ, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সিংহভাগ কার্যক্রম চলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

রোজিনা বেগম নামে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক হিসাবধারী বলেন, অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা থেকে শুরু করে আমানতের টাকা জমা ও উত্তোলন, মোবাইল টপ-আপ, টাকা স্থানান্তর, রেমিট্যান্সের অর্থ উত্তোলন, ইউটিলিটি বিল এবং যানবাহনের লাইসেন্স ফি প্রদান সব সহজ করেছে এজেন্ট ব্যাংকিং।

২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায় প্রথমে শুধু পল্লি এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং করার সুযোগ দেওয়া হলেও পরের বছর নীতিমালা কিছুটা সংশোধন করে পৌর ও শহরাঞ্চলেও এজেন্ট ব্যাংকিং করার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্যাংক এশিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত