Ajker Patrika

ধুলায় নাকাল ইবির শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা

ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ০৯
ধুলায় নাকাল ইবির শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করার জন্য খুলনা কুষ্টিয়া মহাসড়কটি ব্যবহার করেন। কিন্তু দুই বছর ধরে মহাসড়কটি বেহাল থাকায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারীরাও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির বিভিন্ন স্থান খানাখন্দে ভরা। একটু বৃষ্টিতেই জমছে পানি। পানি শুকালেই সৃষ্টি হচ্ছে প্রচণ্ড ধুলাবালু। প্রতিনিয়ত ধুলাবালুর মাঝেই এই ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দিন যত যাচ্ছে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা তত কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। প্রায় দিনই সড়কে ঘটছে ছোট–খাটো দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় দ্রুত সড়কটির সংস্কার দাবি করেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন, কুষ্টিয়া শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসতে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। সড়কের এই অবস্থার কারণে ক্লাসে যেতে ইচ্ছা করে না। বাসে যেতে শরীরের সবকিছু নড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িগুলো চরম ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে চলাচল করছে। দিন যত যাচ্ছে ক্যাম্পাসে গিয়ে–এসে ক্লাস করা তত কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, ‘এই সড়কে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন। পাশাপাশি সড়কে অতিরিক্ত ধুলাবালু থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, মহাসড়কটি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০টি গাড়ি চার শিফটে প্রতিনিয়ত চলাচল করে। সড়কের এই দশার কারণে এসব গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো সমস্যা হয়। কয়েক দিন পর পরই মেরামত করতে হচ্ছে গাড়িগুলোকে। ফলে মেরামত খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাঁরা জানিয়েছেন খুব দ্রুতই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সড়ক সংস্কারের বিষয়ে ইতিমধ্যেই আমরা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে কাজ শেষ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী পিয়াস কুমার বলেন, ‘মহাসড়কের সংস্কারকাজের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। আমাদের হাতে এখনোও পর্যাপ্ত সময় আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যই সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত