সুকৃতা বড়ুয়া, প্রিন্সিপাল করেসপনডেন্ট, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
গাজার সাংবাদিকেরা সেখানকার ঘটনাগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী। তবে তাঁরা দেখছেন অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্নভাবে। এক চিলতে ভূখণ্ডে দিনের পর দিন ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে দেখছেন তাঁরা। আর এসব খবরই তাঁরা বাইরের দুনিয়ার কাছে পাঠাচ্ছেন। জীবন বাজি রেখে যাঁরা সংবাদ পাঠানোর কাজগুলো করছেন, তাঁরা হলেন—ওয়ায়েল আল-দাহদুহ, প্লেস্তিয়া আলাকাদ, মোতাজ আজাইজারা। ২২ বছরের প্লেস্তিয়ার কথাই ধরুন। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিয়মিত রিপোর্ট পোস্ট করছেন তিনি। তিন দিনের জন্য নীরব ছিল তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল। কারণ ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না। আতঙ্কিত ফলোয়াররা তাঁর কমেন্ট সেকশন মন্তব্যের বন্যায় প্লাবিত করে দিয়েছিলেন। তাঁদের একটাই জিজ্ঞাসা ছিল, প্লেস্তিয়া ঠিক আছেন তো, বেঁচে আছেন তো!
আল জাজিরার গাজা ব্যুরোপ্রধান ওয়ায়েল পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে টিভিতে লাইভ দিচ্ছিলেন। ঠিক তখন তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ১৮ মাস বয়সী নাতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়। টিভি সাংবাদিক হিসেবে তিনি এই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন যে হাসপাতালে প্রাণহীন দেহের ছবি কীভাবে ধারণ করতে হয়। ওয়ায়েল তো পেশাদার, তাই সব হারিয়েও শোক প্রকাশের জন্য বেশি সময় নেননি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তিনি আল জাজিরার সম্প্রচারে ফিরে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি জানি, এই বিয়োগব্যথা, হৃদয়ের এই রক্তক্ষরণের পরেও আমাকে ক্যামেরার সামনে ফিরতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব যোগাযোগ করতে হবে। এটা আমার কর্তব্য।’ (হায় ওয়ায়েল, আমি নিশ্চিত জানি, এ জন্য আপনি পুলিৎজার বা সাংবাদিকতার অন্য কোনো দশাসই আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাবেন না।)
এভাবে তাঁদের আমাদের কাছে আসাটা কখনোই চাইনি। তাঁদের বিষয় তো ছিল শুধু গাজা ও এর আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মতো প্রতিবেদন করা। এখন তাঁরা আমাদের কাছে ছবির পর ছবি পাঠাচ্ছেন। সংখ্যাতীত মৃত্যুর ঘটনাবলি টানা হালনাগাদ করছেন। আপডেট করছেন নিরবচ্ছিন্ন হতাশা। অথচ নিজেদের সীমাহীন কষ্টের-দুঃখের কথাটা জানতে দিতে চান না। তাঁদের একমাত্র ক্ষীণ আশা, এসব তথ্য বিধ্বংসী ধ্বংসযজ্ঞকে থামাতে সাহায্য করবে, আমাদের চুপ করে বসে থাকতে দেবে না। এতে করে হয়তো তাঁদের পরিবার-বন্ধু-স্বজনেরা বেঁচে যাবেন। এসব তথ্য কেবল আমাদের জন্য পেশাদার সাংবাদিকদের দ্বারা উপস্থাপিত ভাষ্য নয়, এর মধ্যে গুমরে উঠছে গাজার অসহায় সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্য আর্তনাদ। গাজায় কোনো বিদেশি সাংবাদিক নেই। ফলে নিজেদের নিজস্ব ফোন, ক্যামেরা ও কণ্ঠস্বরই তাঁদের সম্বল। তাঁরা তাঁদের ছবি ও শব্দের নিঃশব্দ ফল্গু আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে এক অদ্ভুত অসম প্রতিকূলতার মোকাবিলা করছেন বীরত্বের সঙ্গে।
গাজার এই বন্ধুরা যখন এত সাহসী, তখন আমাদের মধ্যে কে আছেন যে হতাশা বোধ করবেন? সে কারণে আমাদের সামাজিক মাধ্যমের ফিডগুলো তাঁদের ও গাজার সাধারণ নাগরিকদের তোলা ছবিতে প্লাবিত হয়েছে। যেখানে আছে রক্তের প্রলেপে ঢাকা এক টুকরো রুটি, আঘাত পাওয়া শিশুদের সান্ত্বনারত কোনো পুরুষ, মৃত শিশুসন্তানের শরীরে শেষ চুম্বন এঁকে দেওয়া কোনো মা। আমরা সেসব দেখছি। দেখে গভীরভাবে আন্দোলিত হচ্ছি। আরও দেখতে সামাজিক মাধ্যম স্ক্রল করছি। এক মাসের বেশি সময় ধরে আমি এসব ছবি দেখে চলেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করেছি। আমি অনুভব করি যে এর মধ্য দিয়ে আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তা হয়নি। আমার বিশ্বাস ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। হয়তো সব সাংবাদিক ন্যায়বিচারের অনুভূতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হন না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে চাই, আমরা অধিকাংশই সময়ের সাক্ষ্য দেওয়ার গুরুত্বে বিশ্বাসী। গাজার সাহসী সাংবাদিকেরা অন্য রকম পন্থায় এই সাক্ষ্য দিয়ে চলেছেন। এই আশায় দিচ্ছেন যে তাঁরা বিশ্বের সামনে যা উপস্থাপন করেছেন, তা হিংসা-ঘৃণার দুর্লঙ্ঘ পর্বত ডিঙিয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ও মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। যদিও বিশ্ব এসব সত্যেরই সাক্ষী, তবুও বিদ্বেষ আর বোমা শিলাবৃষ্টির মতো অব্যাহত রয়েছে গাজায়।
মানুষের এই ট্র্যাজেডির চূড়ান্ত সময়ে, আসলে কোনো ধরনের আদর্শিক শক্তির ইচ্ছাপত্র কি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে? না হলে তাঁরা শোক-তাপ, ভয় ও মৃত্যুর অবাধ প্রবাহের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে সবকিছু জানান দিয়ে যাচ্ছেন। আর গোটা বিশ্ব নির্বিকার চিত্তে দেখে চলেছে এই মৃত্যু ও ধ্বংসকে।
সাহসিকতার এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের মধ্যে একটি বিষয় আমাকে নাড়া দিয়েছে, যখন চাপা দেওয়া সত্যকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো, যখন সাংবাদিক সালমান আল-বশির তাঁর সহকর্মী মোহাম্মদ আবু হাতাব হত্যার প্রতিবেদন করার সময় প্রেস লেখা তাঁর নীল রঙের হেলমেট এবং জ্যাকেটটি টেনে খুলে ফেললেন। মনে হলো, তিনি ভাবছেন এসব কিছুই তাঁদের রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়।
সালমান বলছিলেন, ‘কেউ আমাদের দেখছে না। কত বড় ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, কেউ দেখছে না। গাজায় আমরা প্রতিনিয়ত যে অপরাধের সম্মুখীন হচ্ছি তা কেউ দেখছে না...আমরা এসবের শিকার এবং তা অন্যদের জন্য সরাসরি টেলিভিশনের খোরাক হিসেবে। আমরা একের পর এক মারা যাচ্ছি, শহীদ হচ্ছি, আমরা অপেক্ষা করছি, কখন কার পালা আসে।’
(দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
গাজার সাংবাদিকেরা সেখানকার ঘটনাগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী। তবে তাঁরা দেখছেন অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্নভাবে। এক চিলতে ভূখণ্ডে দিনের পর দিন ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে দেখছেন তাঁরা। আর এসব খবরই তাঁরা বাইরের দুনিয়ার কাছে পাঠাচ্ছেন। জীবন বাজি রেখে যাঁরা সংবাদ পাঠানোর কাজগুলো করছেন, তাঁরা হলেন—ওয়ায়েল আল-দাহদুহ, প্লেস্তিয়া আলাকাদ, মোতাজ আজাইজারা। ২২ বছরের প্লেস্তিয়ার কথাই ধরুন। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিয়মিত রিপোর্ট পোস্ট করছেন তিনি। তিন দিনের জন্য নীরব ছিল তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল। কারণ ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না। আতঙ্কিত ফলোয়াররা তাঁর কমেন্ট সেকশন মন্তব্যের বন্যায় প্লাবিত করে দিয়েছিলেন। তাঁদের একটাই জিজ্ঞাসা ছিল, প্লেস্তিয়া ঠিক আছেন তো, বেঁচে আছেন তো!
আল জাজিরার গাজা ব্যুরোপ্রধান ওয়ায়েল পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে টিভিতে লাইভ দিচ্ছিলেন। ঠিক তখন তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ১৮ মাস বয়সী নাতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়। টিভি সাংবাদিক হিসেবে তিনি এই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন যে হাসপাতালে প্রাণহীন দেহের ছবি কীভাবে ধারণ করতে হয়। ওয়ায়েল তো পেশাদার, তাই সব হারিয়েও শোক প্রকাশের জন্য বেশি সময় নেননি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তিনি আল জাজিরার সম্প্রচারে ফিরে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি জানি, এই বিয়োগব্যথা, হৃদয়ের এই রক্তক্ষরণের পরেও আমাকে ক্যামেরার সামনে ফিরতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব যোগাযোগ করতে হবে। এটা আমার কর্তব্য।’ (হায় ওয়ায়েল, আমি নিশ্চিত জানি, এ জন্য আপনি পুলিৎজার বা সাংবাদিকতার অন্য কোনো দশাসই আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাবেন না।)
এভাবে তাঁদের আমাদের কাছে আসাটা কখনোই চাইনি। তাঁদের বিষয় তো ছিল শুধু গাজা ও এর আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মতো প্রতিবেদন করা। এখন তাঁরা আমাদের কাছে ছবির পর ছবি পাঠাচ্ছেন। সংখ্যাতীত মৃত্যুর ঘটনাবলি টানা হালনাগাদ করছেন। আপডেট করছেন নিরবচ্ছিন্ন হতাশা। অথচ নিজেদের সীমাহীন কষ্টের-দুঃখের কথাটা জানতে দিতে চান না। তাঁদের একমাত্র ক্ষীণ আশা, এসব তথ্য বিধ্বংসী ধ্বংসযজ্ঞকে থামাতে সাহায্য করবে, আমাদের চুপ করে বসে থাকতে দেবে না। এতে করে হয়তো তাঁদের পরিবার-বন্ধু-স্বজনেরা বেঁচে যাবেন। এসব তথ্য কেবল আমাদের জন্য পেশাদার সাংবাদিকদের দ্বারা উপস্থাপিত ভাষ্য নয়, এর মধ্যে গুমরে উঠছে গাজার অসহায় সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্য আর্তনাদ। গাজায় কোনো বিদেশি সাংবাদিক নেই। ফলে নিজেদের নিজস্ব ফোন, ক্যামেরা ও কণ্ঠস্বরই তাঁদের সম্বল। তাঁরা তাঁদের ছবি ও শব্দের নিঃশব্দ ফল্গু আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে এক অদ্ভুত অসম প্রতিকূলতার মোকাবিলা করছেন বীরত্বের সঙ্গে।
গাজার এই বন্ধুরা যখন এত সাহসী, তখন আমাদের মধ্যে কে আছেন যে হতাশা বোধ করবেন? সে কারণে আমাদের সামাজিক মাধ্যমের ফিডগুলো তাঁদের ও গাজার সাধারণ নাগরিকদের তোলা ছবিতে প্লাবিত হয়েছে। যেখানে আছে রক্তের প্রলেপে ঢাকা এক টুকরো রুটি, আঘাত পাওয়া শিশুদের সান্ত্বনারত কোনো পুরুষ, মৃত শিশুসন্তানের শরীরে শেষ চুম্বন এঁকে দেওয়া কোনো মা। আমরা সেসব দেখছি। দেখে গভীরভাবে আন্দোলিত হচ্ছি। আরও দেখতে সামাজিক মাধ্যম স্ক্রল করছি। এক মাসের বেশি সময় ধরে আমি এসব ছবি দেখে চলেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করেছি। আমি অনুভব করি যে এর মধ্য দিয়ে আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তা হয়নি। আমার বিশ্বাস ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। হয়তো সব সাংবাদিক ন্যায়বিচারের অনুভূতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হন না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে চাই, আমরা অধিকাংশই সময়ের সাক্ষ্য দেওয়ার গুরুত্বে বিশ্বাসী। গাজার সাহসী সাংবাদিকেরা অন্য রকম পন্থায় এই সাক্ষ্য দিয়ে চলেছেন। এই আশায় দিচ্ছেন যে তাঁরা বিশ্বের সামনে যা উপস্থাপন করেছেন, তা হিংসা-ঘৃণার দুর্লঙ্ঘ পর্বত ডিঙিয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ও মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। যদিও বিশ্ব এসব সত্যেরই সাক্ষী, তবুও বিদ্বেষ আর বোমা শিলাবৃষ্টির মতো অব্যাহত রয়েছে গাজায়।
মানুষের এই ট্র্যাজেডির চূড়ান্ত সময়ে, আসলে কোনো ধরনের আদর্শিক শক্তির ইচ্ছাপত্র কি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে? না হলে তাঁরা শোক-তাপ, ভয় ও মৃত্যুর অবাধ প্রবাহের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে সবকিছু জানান দিয়ে যাচ্ছেন। আর গোটা বিশ্ব নির্বিকার চিত্তে দেখে চলেছে এই মৃত্যু ও ধ্বংসকে।
সাহসিকতার এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের মধ্যে একটি বিষয় আমাকে নাড়া দিয়েছে, যখন চাপা দেওয়া সত্যকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো, যখন সাংবাদিক সালমান আল-বশির তাঁর সহকর্মী মোহাম্মদ আবু হাতাব হত্যার প্রতিবেদন করার সময় প্রেস লেখা তাঁর নীল রঙের হেলমেট এবং জ্যাকেটটি টেনে খুলে ফেললেন। মনে হলো, তিনি ভাবছেন এসব কিছুই তাঁদের রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়।
সালমান বলছিলেন, ‘কেউ আমাদের দেখছে না। কত বড় ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, কেউ দেখছে না। গাজায় আমরা প্রতিনিয়ত যে অপরাধের সম্মুখীন হচ্ছি তা কেউ দেখছে না...আমরা এসবের শিকার এবং তা অন্যদের জন্য সরাসরি টেলিভিশনের খোরাক হিসেবে। আমরা একের পর এক মারা যাচ্ছি, শহীদ হচ্ছি, আমরা অপেক্ষা করছি, কখন কার পালা আসে।’
(দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫