Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত, কনটেইনারজটের শঙ্কা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ০৫
চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত, কনটেইনারজটের শঙ্কা

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারজটেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস, চট্টগ্রাম বন্দর ও শিপিং এজেন্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, গত দুই দিনে বন্দরের ভেতরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। তবে পণ্য সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৪টি কনটেইনার টিইউস ডেলিভারি নেওয়ার কথা থাকলেও তার মধ্যে ডেলিভারি হয়েছে মাত্র ৬১৩টি।

বেসরকারি কনটেইনার ডিপোমালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানিয়েছেন, প্রতিদিন ডিপোগুলো থেকে ২ হাজারের বেশি টিইউস কনটেইনার রপ্তানি হয়। আমদানি হয় প্রায় ১ হাজার কনটেইনার এবং খালি কনটেইনার মুভমেন্ট করে প্রায় ২ হাজার। তবে গত শুক্রবার আমদানি-রপ্তানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, চলমান পরিবহন ধর্মঘটে যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, তা অশনিসংকেত। করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের পোশাকশিল্পে সুদিন ফিরতে শুরু করলেও, চলমান পরিবহন ধর্মঘটে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

এদিকে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারজটের আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানান, প্রতিদিনই বন্দরের ইয়ার্ডে হাজার হাজার কনটেইনার নামছে। ধর্মঘটের কারণে কনটেইনার জাহাজীকরণের সমস্যা হচ্ছে। কনটেইনার সময়মতো জাহাজীকরণ করতে না পারলে জাহাজের জরিমানা গুনতে হবে। এতে বন্দরে কনটেইনারজটের সৃষ্টি হয়ে জাহাজজটও দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. সালাউদ্দিন রিজভী বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা শুধু শুল্কায়ন করে থাকি। মূলত পণ্য আমদানি-রপ্তানির পর জাহাজীকরণ ও ডেলিভারি হয় বন্দর থেকে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, গতকাল শনিবার কোনো পণ্য খালাস হয়নি এবং কোনো কনটেইনার অফডকে নেওয়া হচ্ছে না। বন্দরের ইয়ার্ডে মোট ৪৯ হাজার ১৮ টিইউস কনটেইনার ধারণক্ষমতা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৩৮ টিইউস কনটেইনার ইয়ার্ডে রয়েছে। শুক্র ও শনিবার আরও ৪ থেকে ৫ হাজার কনটেইনার জমা হবে। এ ছাড়া বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমের জন্য ১৫ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয়। সব মিলিয়ে এ অবস্থা চলতে থাকলে কনটেইনার জট তৈরি হবে বলে জানান তিনি।

চলমান পরিবহন ধর্মঘটে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চুও। তবে দাবি না মানা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান ট্রাক ও প্রাইম মুভার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহাম্মদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত